যশোরে গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে দুজনকে আসামি করে নির্যাতিত গৃহকর্মীর মা সুফিয়া মনি বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনায় গৃহকর্তা সরকার শামীম আহমেদ ওরফে শামীম আহমেদ অংকুর (৩২) ও তার স্ত্রী জিন্নাত রেহেনা জুইকে (২৭) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

এদিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে নির্যাতিত ওই গৃহকর্মী। 

ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ের একটি পা ও একটি চোখ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আঘাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমে গেছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে (শামীম-জুই দম্পতি) তারা রংপুরে ছিল। হঠাৎ তারা কিছু না জানিয়ে নয় মাস আগে রংপুর ছেড়ে চলে যান। আমি ফোন করলে তারা ধরতেন না। দুই একবার ফোন ধরলেও মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে দিতো না। তারা ঠিকানা দিতো না। আমি তাদের বিচার চাই।’

গত বুধবার রাত ‘জাতীয় জরুরি সেবা’ ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ যশোরের ঘোপ-নওয়াপাড়া এলাকার একটি ভবন থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল আলম চৌধুরী শুক্রবার দুপুরে বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মেয়েটির স্বজনেরা আসতে দেরি করায় মামলা দায়েরের আগেই ৫৪ ধারায় তাদের আটক করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ বলেন, মেয়েটিকে দীর্ঘদিন ধরে ভোতা অস্ত্র দিয়ে পেটানোর কারণে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমে গেছে। নির্যাতনে তার দুই পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।