পোশাকশ্রমিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন রবিউল ইসলাম। পরে নিজেই সারিকা ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানা চালু করেন। শুরুতে ভালোই চলছিল। তবে করোনা মহামারি তাঁর অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়। লোকসান সামলাতে না পেরে কারখানার সব মেশিন বিক্রি করেন। সেই অর্থে কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন। কর্মহীন হয়ে চরম বেকায়দায় পড়েন তিনি। একপর্যায়ে জড়ান মাদকের কারবারে। 

অভিনব কায়দায় মাদক বহনের সময় রাজধানীর বনশ্রী থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে ডিবি মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিম তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৭০ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক বহনে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ সমকালকে বলেন, রবিউল ২৫ বছর ধরে রামপুরা এলাকায় বসবাস করেন। তিনি রামপুরা থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকায় যেতেন। সেখান থেকে ফেনসিডিল নিয়ে আবারও রামপুরায় ফিরতেন। মোটরসাইকেলের ট্যাংকির ভেতর বিশেষ কায়দায় একটি চেম্বার তৈরি করে ফেনসিডিল বহন করতেন তিনি। এভাবে একসঙ্গে ৭০–৭৫ বোতল ফেনসিডিল বহন করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় মামলা হয়েছে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া ডিবির খিলগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম জানান, রামপুরার বনশ্রী এলাকার একটি বাসায় মোটরসাইকেলে করে ফেনসিডিল আনার খবর পেয়ে ওই বাসায় অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মোটরসাইকেল রেখে পালানোর সময় রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় মোটরসাইকেলের ট্যাংকির ভেতর থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।