১৪টি বিপন্নপ্রায় ভাষাসহ ৪০টি নৃ-গোষ্ঠী ভাষা সংরক্ষণ ও ডিজিটাইজেশনের উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এর মধ্যে ৩৭টি ভাষার নমুনা সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনটি ভাষার নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। সংগৃহীত অডিও ডাটাসমূহ বাংলা, ইংরেজি ও আইপিএ অনুবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভাষাগুলোর ত্রৈবার্ষিক শব্দকোষ এবং নিজস্ব বর্ণমালার ফন্ট ও কিবোর্ড নির্মাণের কাজ চালু হয়েছে। এতে দেশের নৃ-গোষ্ঠী জাতিগুলোর ভাষা যেমন ডিজিটাল আর্কাইভিং হচ্ছে। একই সঙ্গে নৃতাত্ত্বিক ভাষাভাষী মানুষগুলো নিজ মাতৃভাষায় ডিজিটাল জগতে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারবে। 

আজ রোববার ঢাকার অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি সেমিনার কক্ষে ‌‘নৃ-গোষ্ঠী ভাষার ফন্ট ও কিবোর্ড নির্মাণ’ শিরোনামে এই সভার আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, প্রত্যেকের মাতৃভাষার প্রতি আমাদের দায় আছে। কারও মাতৃভাষার বিলুপ্তি কাম্য নয়। এ কারণে শুরু রক্ষা করা নয়, এইসব ভাষাকে বিকশিত করার ব্যবস্থাও নিতে হবে, যেন ভাষাগুলো প্রজন্মান্তরে সুরক্ষিত থাকে। 

বিসিসির সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল কবির বলেন, এই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন আমাদের দেশের সবার মাতৃভাষার সুরক্ষা ও সমৃদ্ধির সহায়ক হবে। 

মো. মাহবুব করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় নিজ নিজ ভাষা সুরক্ষা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকাইয়া উর্দু ভাষার কবি সৈয়দ আফজাল হোসেন, উর্দু অনুবাদক ও লেখক জাভেদ হুসেন, দলিত নেতা ও তেলেগু ভাষা প্রতিনিধি ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু এবং বেদে জনগোষ্ঠীর নেতা ও ঠার ভাষা প্রতিনিধি রমজান আহমেদ। এরপর চাকমা, মারমা, ম্রো, তঞ্চংগ্যা ও সান্তালি ভাষার প্রতিনিধি, প্রযুক্তিবিদ ও লেখকেরা ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের ব্যবহৃত ফন্ট ও কিবোর্ড নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। এ সময় তারা ইন্টারনেটভিত্তিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে নিজ ভাষা ও নিজ বর্ণমালায় লিখতে গিয়ে কী কী সমস্যা হয় সেগুলো তুলে ধরেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ব্যক্ত করেন।