বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ সিরাজুল আলম খান গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর দোয়া চাওয়া হয়েছে।

সিরাজুল আলম খানের ভ্রাতুষ্পুত্রী ফারাহ খান সোমবার সমকালকে জানান, গত ৭ মে থেকে প্রস্রাবে সংক্রমণ ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে শনিবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক সমকালকে বলেন, বর্তমানে তিনি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আসাদুল কবিরের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কেবিন রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা ভুগছেন। 

সিরাজুল আলম খানের কনিষ্ঠ ভাই ফেরদৌস আলম খান সমকালকে জানান, ৮২ বছর বয়সী ও অকৃতদার এই রাজনীতিক ও বাম তাত্ত্বিক অনেক দিন ধরেই উচ্চ রক্তচাপসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। এবার রাজধানীর কলাবাগানে ভাইয়ের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি ২০২১ সালেও অসুস্থ হয়ে কিছুদিন ঢামেক হাসপাতালে ছিলেন। 

প্রসঙ্গত, ষাটের দশকের প্রথমার্ধে সিরাজুল আলম খান ও আরও কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার উদ্যোগে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস গঠিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল ছাত্রলীগ ভেঙে দুই ভাগ হয়। এ সময় সিরাজুল আলম খানের নেপথ্য নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদ প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৬৩, ১৯৭৬ ও ১৯৯২ সালে তিনি রাজনৈতিক কারণে কারারুদ্ধ হন। সিরাজুল আলম খান সচারচর জনসম্মুখে আসেন না এবং কোনো বক্তৃতা-বিবৃতি দেন না। তবে আড়ালে থেকেই রাজনৈতিক তৎপরতার জন্য তাকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়।