কোনাল। কণ্ঠশিল্পী। গত ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লিডার:আমিই বাংলাদেশ’ সিনেমায় তাঁর গাওয়া গান ‘সুরমা সুরমা’ শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। এ গান ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তাঁর সঙ্গে-

‘সুরমা সুরমা’গানটি দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কেমন লাগছে?

ভীষণ ভালো। গানটি দুই বাংলায় ঈদের রেকর্ড ভেঙেছে। গানটি দিয়ে এত ভালোবাসা পাব, বুঝিনি। তবে এটি যখন রেকর্ড করি তখনই বুঝেছি, এক ধরনের  শ্রোতাকে টার্গেট করবে। আমার কাছে শ্রোতাদের প্রত্যাশাও বেড়েছে। এ কারণে এখন সিনেমার কোনো গান গাইতে গেলে মনে হয়, ‘সুরমা সুরমা’র চেয়ে ভালো হতে হবে। 

শ্রোতাদের পাশাপাশি তারকা, গুণী পরিচালক এবং প্রযোজকরাও এ গানের প্রশংসা করছেন। শিল্পী হিসেবে অনুভূতি কেমন? 

গানের মানুষরা যখন বলেন, কোন গান ভালো হয়েছে, তখন আরও অনুপ্রাণিত হই। কারণ তাঁরা বুঝেশুনেই এটি বলছেন। গানটি যখন মুক্তি পেয়েছে, বাপ্পা দার [বাপ্পা মজুমদার] কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছি। এছাড়া সংগীতাঙ্গনের অনেকেই গানটি ভালোলাগার কথা জানিয়েছেন। গুণী মানুষদের কাছ থেকে প্রশংসা পেলে পরিশ্রম সার্থক হয়ে ওঠে। 

আপনার গাওয়া ‘মেঘের নৌকা’ গানটি দর্শক বেশ শুনছেন। ‘সুরমা সুরমা’ও আলোচনায়। এটি আপনার সংগীত ক্যারিয়ারের জন্য কতটা ইতিবাচক?

সব ভালো গান সবসময় জনপ্রিয় হয় না। এটি অসাধারণ কথার গান। সুরও চমৎকার। এটি আমাদের পুরো টিমের জন্য ইতিবাচক। সর্বোপরি চলচ্চিত্রের গানের জন্য ইতিবাচক। গতানুতিক গানের ভিড়ে যখন একটি ভালো কথা ও সুরের গান জনপ্রিয় হয়,তা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্যও ভালো। ‘মেঘের নৌকা’ গানটি ‘প্রহেলিকা’ সিনেমায় ব্যবহৃত হয়েছে। এটি এখনও মুক্তি পায়নি। তারপরও অনেক হই-হুল্লোড়। আশা করছি,  সিনেমাটি মুক্তির পর গানটি নিয়ে আরও সাড়া পাব। ক্যারিয়ারে যোগ করবে নতুন মাত্রা।

চলচ্চিত্রের গানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এমনটা কি সবসময় চেয়েছিলেন?

আমি সব সময় প্লেব্যাকেই ব্যস্ত হতে চেয়েছি। যাঁদের দেখে গানে এসেছি, তাঁরা সবাই প্লেব্যাক শিল্পী।তাঁদের দেখেই চলচ্চিত্রের গানকে আরও বেশি ভালোবেসেছি। শুরু থেকেই ইচ্ছা ছিল সফল প্লেব্যাক শিল্পী হওয়ার। সে লক্ষ্যেই  এগিয়ে চলেছি। 

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

প্লেব্যাকের পাশাপাশি অডিও গান করছি। নাটক এবং ওয়েব সিরিজের গানেও ব্যস্ত সময় কাটছে। স্টেজশোর ব্যাস্ততাতো আছেই।

আপনাকে প্রায়ই দেখি শিশু ও নারী অধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকেন

গান  আমার নেশা ও পেশা। আর নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করি একান্তই ভালোলাগা থেকে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্লি চাইল্ডহুড  ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে মাস্টার্স করেছি। এটি আমার আগ্রহের জায়গাও বটে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও শিশু ও নারীর অধিকার নিয়ে বিভিন্ন সভা ও সেমিনারে অংশ নিই। 

নিজেকে ব্যাখা করেন কী করে? 

আমি খুবই আবেগপ্রবণ। সত্য ও স্বচ্ছতা পছন্দ করি। সরাসরি সবকিছু বলে দিই। আর আমাকে খুশি করা খুব সহজ।