- বিনোদন
- বিএনপি নেতা খোকনের গ্রেপ্তার দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
বিএনপি নেতা খোকনের গ্রেপ্তার দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

রোববার নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে এই দাবি জানান তাঁরা। এতে জেলা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মী ও নিহতদের পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এর আগে শহরের আরশীনগর থেকে হত্যার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান ও ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলামকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খোকনের নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে। তাই তাঁকেসহ সব আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
ছাত্রদল নেতা সাদেকুরের বড় ভাই আলতাফ হোসেন মেম্বার, স্বজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সিনিয়র সহসভাপতি মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ তুষার, ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা ফাহিম ভূঁইয়া অভি প্রমুখ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।
গত বৃহস্পতিবার চিনিশপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়সংলগ্ন এলাকায় ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান সাদেকুর ও আশরাফুল।
এ ঘটনায় খায়রুল কবির খোকন ও তাঁর স্ত্রী কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩৫ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে নরসিংদী সদর থানায় মামলা হয়। শুক্রবার রাতে সাদেকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎসহ মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত আজ রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে খায়রুল কবির খোকন সাংবাদিকদের বলেন, জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি হওয়ার পর থেকে পুলিশের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তারা আমাদের ওপর ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে। এখন তারা নিজেরাই এসব ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বলছে।
মন্তব্য করুন