- বিনোদন
- আর কতদিন কোচ ছাড়া ব্রাজিল!
আর কতদিন কোচ ছাড়া ব্রাজিল!
-samakal-647c4e69afd8a.jpg)
কাতার বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতে ফিরেছে ব্রাজিল। সেই আসর শেষে ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে দাঁড়ান কোচ আদেনর বাক্কে তিতে। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করা এ কোচ যেন ব্রাজিলকে এক অতল গহ্বরে ঠেলে দিয়ে গেছেন। বিশ্বকাপের পর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটি স্থায়ী কোচ পায়নি। কবে পাবে, সেটাও নিশ্চিত নয়।
যেভাবে তারা কার্লো আনচেলেত্তির জন্য তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষায় রয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে আরও এক বছর এভাবেই কাটাতে হবে নেইমার-ভিনিসিয়ুসদের। ব্রাজিলের মতো ফুটবলপাগল দেশের জন্য এটা ভীষণ বেমানান।
এক প্রকার জোড়াতালি দিয়েই এখন চলছে ব্রাজিল দল। কাতার বিশ্বকাপ শেষে ইস্তফা দেন তিতে। অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি র্যামন মেনেজেসকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁকে জাতীয় দলে নিয়োগ দেওয়া হলেও আগে তিনি যে দায়িত্ব পালন করতেন, সেই কাজটা ঠিকই করে যাবেন। অর্থাৎ বয়সভিত্তিক দলের পাশাপাশি জাতীয় দলেরও দেখভাল করবেন। এই যেমন আর্জেন্টিনায় চলতে থাকা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে মেনেজেসের অধীনে খেলছে ব্রাজিল।
বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপ থেকে ফিরেই জাতীয় দলের দায়িত্ব নেবেন তিনি। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণের প্রতিবাদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দুটি আফ্রিকান দেশের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। সেই দুই ম্যাচে দায়িত্ব পালন শেষে মেনেজেস আবার বয়সভিত্তিক দলে ফিরে যাবেন।
যে স্পেনে ক্রমাগত বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন ভিনি, সে দেশেই ১৮ জুন গিনির বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল। ২১ জুন লিসবনে আরেক আফ্রিকান দেশ সেনেগালের মুখোমুখি হবে তারা। এ দুই ম্যাচের দল ঘোষণার পরই জাতীয় দলের স্থায়ী কোচ নিয়োগ নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) প্রেসিডেন্ট এডনাল্ডো রদ্রিগেজকে। তিনি খোলাখুলিভাবেই রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির জন্য তাঁদের অপেক্ষার বিষয়টি স্পষ্ট করেন, ‘আমাদের মূল পরিকল্পনা হলো আনচেলত্তি এবং আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এটা হবে। তিনি সেলেকাও ও ব্রাজিল ফুটবল দলকে ভালোবাসেন।’
গুঞ্জন রয়েছে ২০২৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি শেষে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেবেন এই ইতালিয়ান কোচ। সেটা হলে আগামী বছর কোপা আমেরিকা শুরুর আগে মাত্র দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ হাতে পাবেন আনচেলত্তি। কোনো একটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের আগে এইটুকু প্রস্তুতি কী যথেষ্ট? মোটেই না।
ব্রাজিল মূলত ২০২৬ বিশ্বকাপ টার্গেট করে রিয়াল মাদ্রিদের এই কোচকে চাইছে। এজন্য তারা প্রায় দেড় বছর স্থায়ী কোচ ছাড়া জাতীয় দল চালাতেও রাজি। একজন কোচের ওপর এভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়া কতটা যৌক্তিক? সেটাও আবার ব্রাজিলের মতো ফুটবলপাগল দেশের জন্য। আর এই জোড়াতালির কারণে একের পর এক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে দলকে।
গত মার্চে মরক্কোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে অনূর্ধ্ব-২০ কোপা জিতে আসা বেশ কজন টিনএজার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। যার মূল্য দিতে হয়েছে মরক্কোর কাছে ২-০ গোলে হেরে। আনচেলত্তির জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে আরও কঠিন মূল্য ব্রাজিলকে দিতে হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন