- বিনোদন
- ৫০ বছরে সোলস, থাকছে দর্শকদের গান পাঠানোর সুযোগ
৫০ বছরে সোলস, থাকছে দর্শকদের গান পাঠানোর সুযোগ

দেশের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ড সোলস। দলটি এবার ৫০ বছর পর করছে। এ উপলক্ষে বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার অভিজাত একটি ক্লাবে ৫০ বছর উদযাপনের তিনটি লোগো উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিক সূচনাহয়। লোগোগুলো ডিজাইন করেছেন সোলসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আহমেদ নেওয়াজ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই তিনটি লোগো দর্শকের ভোটে ক্রমান্বয়ে ৫০ বছর পূর্তিতে ব্যবহার হবে। ইতোমধ্যেই লোগো তিনটি ভোটিংয়ের জন্য সোলসের অফিসিয়াল ও পার্থ বড়ুয়ার ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হয়েছে।
পাশাপাশি এই আয়োজনে জানানো হয় সোলসের নতুন পরিকল্পনা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলটির বর্তমান ও পুরাতন সদস্যরা। এসময় সোলসের পার্থ বড়ুয়ার (ভোকাল ও লিড গিটার) আমন্ত্রণে মঞ্চে এসে বিশেষ একটি ঘোষণা দেন গীতিকবি সংঘের সভাপতি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। যার লেখা সোলসের বেশ কিছু গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে।
শহীদ মাহমুদ জঙ্গী জানান, সোলসের রজতজয়ন্তীতে দর্শক ও শ্রোতাদের কাছ থেকে নতুন গান আহবান করা হয়েছে। দর্শকদের লেখা গান থেকে সেরা ১০টি বাছাই করা হবে। পরবর্তীতে গানগুলো নির্মাণ করে ভিডিও আকারে প্রকাশ হবে। গান পাঠাতে হবে এ। গান পাঠানোর শেষ সময় ১৫ জুলাই।
এর আগে সোলসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ড্রামার সুব্রত বড়ুয়া রনি, আইয়ুব বাচ্চুসহ দলটির যে সদস্যরা প্রয়াত হয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাশাপাশি তাদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে পার্থ বড়ুয়া জানান, সোলস ইতোমধ্যেই বেশকিছু গান বানিয়েছে। যেগুলো হয়তো সেপ্টেম্বর থেকে ভিডিও আকারে প্রকাশ করা হবে। আরেক জনপ্রিয় ব্যান্ড রেনেসার সঙ্গে মিলেও বেশ কিছু গান করছে সোলস, যার রেকর্ডিং শুরু হয়েছে। এছাড়া দেশ-বিদেশে কনসার্টের পরিকল্পনা আছে। ।
তবে পার্থ বড়ুয়া জানালেন, দেশে এবং বিদেশে কনসার্টের জন্য বৃহৎ পরিকল্পনাই রয়েছে তাদের।
লোগো পরিবর্তনের বিষয়ে এই গায়ক-অভিনেতা বলেন, সোলসের বয়সও কম হয়নি। আমরা চাই এবার জিনিসটি প্রপারলি করার জন্য। আমাদের ৫০ বছরের পূর্তির আয়োজন চলবে, শেষ করার চেষ্টা করব ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের দিকে। কারণ সিরিজ শো, কিছু গান রিলিজ করতে হলে লম্বা সময়ের প্রয়োজন।
১৯৭২ সালে সাজেদ উল আলমের নেতৃত্বে কয়েক তরুণ সুরেলা নামের একটি ব্যান্ডের যাত্রা শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় সোলস। এই লম্বা সময়ে সোলসে অনেকে যুক্ত হয়েছেন, অনেকে বেরিয়ে গেছেন। তবে থেমে থাকেনি সোলস। চট্টগ্রামে গড়ে ওঠা এই ব্যান্ডটি প্রজন্মের পর প্রজন্মের মাঝে ধরে রেখেছে জনপ্রিয়তা।
সাজেদ উল আলম, লুলু ও রনি বড়ুয়া ছিলেন সোলসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। পরবর্তী সময়ে সোলসে যোগ দেন নকীব খান, পিলু খান, তপন চৌধুরী, নাসিম আলী খান, আইয়ুব বাচ্চু, রনি বড়ুয়া, নেওয়াজ, পার্থ বড়ুয়াসহ আরো অনেকে।
সোলসের বর্তমান লাইনআপ- নাসিম আলী খান (ভোকাল), পার্থ বড়ুয়া (ভোকাল ও লিড গিটার), আহসানুর রহমান আশিক (ড্রামস), মীর শাহরিয়ার মাসুম (কিবোর্ড) ও মারুফ হাসান রিয়েল (বেজ গিটার)।
১৯৮২ সালে প্রকাশিত হয় সোলসের প্রথম অ্যালবাম ‘সুপার সোলস’। এটি ছিল দেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় অ্যালবাম। পাঁচ দশকে ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘এ এমন পরিচয়’, ‘মনে করো’, ‘খুঁজিস যাহারে’, ‘বৃষ্টি দেখে অনেক কেঁদেছি’, ‘এই মুখরিত জীবনে চলার পথে’, ‘কেন এই নিঃসঙ্গতা’র মতো জনপ্রিয় অনেক গান উপহার দিয়েছে সোলস।
মন্তব্য করুন