আজ ১৯ সেপ্টেম্বর। ঢালিউডের ক্ষণজন্মা নক্ষত্র সালমান শাহর জন্মদিন। বেঁচে থাকলে ৫৩ বছরে পা রাখতেন এ অভিনেতা। ১৯৭১ সালের এই দিনে নানাবাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে তাঁর জন্ম। মৃত্যু ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। মাত্র ২৫ বছরের জীবন। অথচ এখনও কী বিস্তৃত প্রভাব তাঁর! মৃত্যুর এত বছর পরও তারকাখ্যাতি সমুজ্জ্বল। চলচ্চিত্রের ৩ তরুণ অভিনয়শিল্পী জানালেন এই নায়ককে নিয়ে তাদের অনুপ্রেরণার কথা।

সালমান শাহ অভিনীত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘জীবন সংসার’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’সহ অনেক সিনেমা হলে গিয়ে দেখেছেন অভিনেতা সাইমন সাদিক। ৯ বছর বয়স থেকেই তিনি দাদুর সঙ্গে কিশোরগঞ্জে ‘রঙমহল’ প্রেক্ষাগৃহে যেতেন। সালমানের সবই ভালো লাগে জানিয়ে সাইমন বলেন, ‘সালমান শাহ আমার স্টাইল আইকন। তাঁর সবই ভালো লাগে। তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী। আমাদের ভালোবাসার, ভালো লাগার স্বপ্নের নায়ক হয়ে থাকবেন আজীবন। সালমান শাহ ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন।’

শৈশবে বগুড়ার উত্তরা হলে মায়ের সঙ্গে সালমান শাহর সিনেমা ‘সত্যের মৃত্যু নেই’ দেখেছেন আদর আজাদ। পরবর্তী সময়ে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘পৃথিবী তোমার আমার’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’সহ সালমান শাহর সিনেমাগুলো নানা মাধ্যমে দেখেছেন। সালমান তাঁর চোখে একজন স্টাইলিস্ট হিরো জানিয়ে আদর বলেন, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’ সিনেমার টিকিট নিতে গিয়ে ঠেলাঠেলিতে মায়ের কানের দুল ছিঁড়ে গিয়েছিল। রক্তমাখা কান নিয়েও মা সিনেমা দেখেছেন। সালমান শাহর সব স্টাইলই ইউনিক। সময়ের চেয়ে বেশি এগিয়ে ছিলেন তিনি। স্টাইলিস্ট হিরো ছিলেন। আমরা এখনও সালমান শাহকে অনুসরণ করি। অনেক সিনেমার স্টান্ট তিনি নিজেই করতেন। সব মিলিয়ে সালমান মানেই অন্য রকম একটি ব্যাপার ছিল।

পারিবারিক রাজনীতির সূত্রে অভিনেতা জিয়াউল রোশানের বাবার সঙ্গে পরিচয় ছিল সালমান শাহর। সালমানের মা তাদের বাড়িতেও এসেছিলেন। তখন গল্প শুনেছেন অমর নায়কের। সালমান অভিনীত সিনেমার গান ‘পৃথিবীতে সুখ বলে যদি কিছু থেকে থাকে’, ‘ভালো আছি ভালো থেকো’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’ ভীষণ প্রিয় রোশানের। গানগুলো কতবার যে শুনেছেন তার ইয়ত্তা নেই। রোশান বলেন, চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে আমার অনুপ্রেরণার নাম সালমান। তাঁর স্টাইল অনুকরণীয়। বিশেষ করে প্রতিটি গানেই তিনি নিজস্ব স্টাইল নিয়ে হাজির হতেন দর্শকের সামনে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি যতই আধুনিক হোক, তাঁর কাছ থেকে শেখা কখনোই শেষ হবে না।