‘ম্যাডাম ফুলি’ নির্মাতা শহিদুল ইসলাম খোকনকে হারানোর নয় বছর

শহীদুল ইসলাম খোকন
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫:২৬
আশি ও নব্বই দশকের নির্মাতা শহীদুল ইসলাম খোকনের সিনেমা মানেই হলে উপচেপড়া ভিড়। একের পর এক অ্যাকশনধর্মী সিনেমা দিয়ে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তখন তার সিনেমা মুক্তি পাওয়া মানেই ছিল, প্রেক্ষাগৃহের টিকিট কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইন। গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা শহীদুল ইসলাম খোকনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
দীর্ঘদিন মুখগহ্বরের মোটর নিউরন ডিজিসে (এএলএস) আক্রান্ত হয়ে ভুগছিলেন নির্মাতা খোকন। এরপর ২০১৬ সালের আজকের এই দিনে সকাল সোয়া আটটায় রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি।
শহীদুল ইসলাম খোকনের জন্ম ১৯৫৭ সালের ১৫ মে। জনপ্রিয় অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানার সঙ্গে পরিচয় ও সখ্যের সূত্রে ঢাকার চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন তিনি। শুরুটা হয় সোহেল রানার সহকারী হিসেবে। খোকনের নিজের বানানো প্রথম সিনেমা ছিল ‘রক্তের বন্দী’।
শুরুর দিকে খোকনের সিনেমা ভালো ব্যবসা করতে না পারলেও চিত্রনায়ক রুবেলকে নিয়ে খোকনের ‘লড়াকু’ দারুণ সাফল্য পায়। এরপর ‘পালাবি কোথায়’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘ভণ্ড’, ‘ঘাতক’, ‘লড়াকু’, ‘বীরপুরুষ’, ‘লাল সবুজ’, ‘বজ্রমুষ্ঠি’, ‘সতর্ক শয়তান’, ‘বিষদাঁত’, ‘উত্থান পতন’ ও ‘টপ রংবাজ’-এর মতো বহু দর্শকপ্রিয় সিনেমা এসেছে তার হাত দিয়ে। দুটি সিনেমায় অভিনয় ছাড়াও তিনি নির্মাণ করেছেন প্রায় ৪০টির মতো সিনেমা।
ড্যানি সিডাক, ইলিয়াস কোবরার মতো অ্যাকশন সিনেমার অনেক অভিনেতাই ঢাকাই সিনেমায় এসেছেন শহীদুল ইসলাম খোকনের হাত ধরে। তার চলচ্চিত্রে মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর, অপরাধীর বিরুদ্ধে সচেতন নাগরিকের লড়াই এসেছে বার বার। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাও তার চলচ্চিত্রকে ছুঁয়ে গেছে। তিনি তার কাজের মাধ্যমে যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন দর্শক মনে।
- বিষয় :
- সিনেমা