নুসরাত ফারিয়া গ্রেপ্তার: তিন পোস্টে কি লিখলেন নওশাবা

কোলাজ: সমকাল
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫ | ১৮:৪৯ | আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ | ১৯:৩২
একটি ভিডিওর কারণে বিগত সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। খেটেছেন জেল। হারিয়েছেন কাজ। এমনকি ঠকেছেন শিল্পমাধ্যম থেকেও। সরকার পরিবর্তনের পর সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, শিল্পীরা যেনে কখনো কালো তালিকায় না থাকে। কিন্তু গতকাল থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন নুসরাত ফারিয়াকে।
তাকে গ্রেপ্তারের পর নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিনয়শিল্পীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিন-চার পোস্ট শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ।
প্রথম পোস্টে তিনি লিখেছেন, “রাষ্ট্র কি ভুলে যাচ্ছে? আপনারা বাংলাদেশকে কথা দিয়েছিলেন, তার বাক স্বাধীনতা থাকবে, শিল্পী তার শিল্প চর্চা করবে আপন লয়ে। আরও কত কি? গোল্ডফিশ মেমোরি হলে তো হবে না! মনে করানোর ব্যবস্থা বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু জানে”
দ্বিতীয় পোস্টে নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে নেওয়ার একটি ছবি পোস্ট করেছেন নওশাবা। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “দমটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আমার। কেনো? কেনো রাষ্ট্র? কি দোষে একজন শিল্পী আজ এইভাবে? জনগণ জানতে চায়। জানার অধিকার আমাদের আছে! আমরা বারবার কি উদাহরণ সৃষ্টি করছি?”
তৃতীয় পোস্ট হিসেবে অভিনেতা মোস্তাফিজ নূর ইমরানের লেখা শেয়ার করেছেন নওশাবা। সেখানে লেখা, ‘আমরা শিল্পী। আমরা স্বাধীন। আমরা সর্বজনীন। আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা শুধু আমাদের কাজ করি।’
এরপর তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে করে লিখেছেন, ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: শিল্প ও শিল্পীর অবমূল্যায়ন, জাতির ধ্বংসের কারণ। শিল্পী যদি সত্যিই অপরাধী প্রমাণিত হয়, অবশ্যই তার সুষ্ঠু বিচার হোক। আত্মপক্ষ সমর্থন থাকুক। কোনও অপরাধের সঙ্গে যোগসাজশ থাকলেও তার বিচার আইন অনুযায়ী অবশ্যই হোক। কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে এমন কোনও ফায়দা যদি নিয়ে থাকেন, যেটার কারণে কারও ক্ষতি হয়েছে, তবে অবশ্যই ন্যায়বিচার হোক। দুর্নীতি থাকলে সেটা প্রমাণ হোক, সেই অনুযায়ী শাস্তিও হোক। কিন্তু মিথ্যা মামলা, আটক, হয়রানি, পাবলিক, মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল, মব ভায়োলেন্স- এসব মানহানি বন্ধ হোক এখনই।’
রোববার দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর তাকে ভাটারা থানায় হস্তান্তর এবং পরে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ভাটারা থানা এলাকায় হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রেপ্তার দেখানো হয় নুসরাত ফারিয়াকে। আজ সোমবার নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে হাজিরের পর শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরোধিতা এবং মদদ দেওয়াসহ বিভিন্ন ঘটনায় নুসরাত ফারিয়ার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক।
- বিষয় :
- নুসরাত ফারিয়া
- কাজী নওশাবা আহমেদ