জেনে রাখুন
কোথায় কীভাবে কর রেয়াত পাওয়া যাবে

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২২ | ১২:০০
নতুন অর্থবছর শুরু হয়েছে প্রায় এক মাস। চলছে আয়কর রিটার্ন দাখিল। করদাতারা রিটার্ন দাখিল শুরু করেছেন। আগের অর্থবছরের, অর্থাৎ ২০২১ সালের জুলাই থেকে গত জুন মাস পর্যন্ত আয়-ব্যয়ের হিসাব করে বার্ষিক রিটার্ন দিচ্ছেন। প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সাধারণভাবে রিটার্ন দাখিল করা যায়। করদাতারা নিজস্ব আয়কর সার্কেল অফিস অথবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওয়েবসাইট থেকে রিটার্ন ফরম সংগ্রহ করে রিটার্ন জমা দিতে পারেন। যাঁর যাঁর সার্কেল অফিসে রিটার্ন জমা দিতে হয়। অনলাইনেও রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা আছে, তবে তা সব সার্কেলে এখনও কার্যকর নয়। নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন দাখিল করা না হলে জরিমানা ও করের ওপর বিলম্ব সুদ দিতে হয়। তাই সময়মতো রিটার্ন দাখিল করা ভালো। তবে বিশেষ কোনো কারণে সময়মতো রিটার্ন দাখিল না করা গেলে নিজের সার্কেলের উপকর কমিশনারের কাছে আবেদন করে সময় নেওয়া যায়। করদাতারা আয়ের ওপর যেমন কর দেবেন, তেমনি নির্দিষ্ট কয়েকটি খাতে করদাতার বিনিয়োগ বা চাঁদা থাকলে করদাতা বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত পান। মোট আয়ের ওপর আরোপযোগ্য আয়করের অঙ্ক থেকে কর রেয়াতের অঙ্ক বাদ দিয়ে
কর প্রদানের সুযোগ পান করদাতা। কোথায় কোন ধরনের বিনিয়োগ ও চাঁদা দেওয়া থাকলে রেয়াত পাওয়া যায় এবং রেয়াতের হিসাব কীভাবে
করতে হয়, এনবিআর প্রকাশিত আয়কর নির্দেশিকা থেকে তা সমকালের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
আয়কর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২২টি খাতে বিনিয়োগ, চাঁদা ও অনুদান দেওয়া থাকলে করদাতা কর রেয়াত পাবেন। এসব খাতের মধ্যে রয়েছে- জীবন বীমার প্রিমিয়াম, সরকারি কর্মকর্তার প্রভিডেন্ড ফান্ডে চাঁদা, স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তা ও কর্মকর্তার চাঁদা, কল্যাণ তহবিল ও গোষ্ঠী বীমা তহবিলে চাঁদা এবং সুপার অ্যানুয়েশন ফান্ডে দেওয়া চাঁদা। এ ছাড়া যে কোনো তপশিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপোজিট পেনশন স্কিমে (ডিপিএস) বার্ষিক সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকলে রেয়াত পাওয়া যাবে। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার, স্টক, মিউচুয়াল ফান্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ, সরকার অনুমোদিত ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগেও রয়েছে কর রেয়াত। এ ছাড়া জাতির পিতার স্মৃতিরক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান, জাকাত তহবিল, এনবিআর অনুমোদিত দাতব্য হাসপাতাল, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে স্থাপিত প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক, আইসিডিডিআর,বি ও সিআরপি সাভার, সরকার অনুমোদিত জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিরক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ে কোনো প্রতিষ্ঠানে দান করলে করদাতা এসব দানের বিপরীতেও রেয়াত পাবেন।
রেয়াতের জন্য অনুমোদনযোগ্য অঙ্ক :রেয়াত পাওয়ার যোগ্য খাতে করদাতার প্রকৃত বিনিয়োগ বা চাঁদা অথবা করযোগ্য মোট আয়ের ২০ শতাংশ বা এক কোটি টাকা- এই তিনটির মধ্যে যা কম। রেয়াতের জন্য যে অঙ্ক অনুমোদন পাবে, তার ১৫ শতাংশ রেয়াত পাবেন করদাতা।
রেয়াত দাবির পদ্ধতি :বিনিয়োগজনিত রেয়াত দাবির জন্য আলাদা তপশিল রয়েছে। ২০১৬-১৭ করবছরে প্রবর্তিত নতুন রিটার্ন ফরমে তপশিলটি ২৪ডি নামে পরিচিত। নতুন রিটার্ন দাখিলকারী করদাতা বিনিয়োগ দাবি করলে রেয়াত পাওয়ার যোগ্য বিনিয়োগ বা দান ওই তপশিলে উল্লেখ করে রিটার্ন ফরমের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে বিনিয়োগ, চাঁদা বা দানের প্রমাণপত্র রিটার্নের সঙ্গে দাখিল করতে হবে।
কর রেয়াতের জন্য যেসব ডকুমেন্ট দিতে হবে :কর রেয়াত নিতে চাইলে জীবন বীমার কিস্তির প্রিমিয়াম রসিদ, ভবিষ্য তহবিলে চাঁদার সনদ, ঋণ বা ডিবেঞ্চার, সঞ্চয়পত্র, স্টক বা শেয়ারে বিনিয়োগের প্রমাণপত্র, ডিপোজিট পেনশন স্কিমে চাঁদার সনদ, কল্যাণ তহবিলে চাঁদা ও গোষ্ঠী বীমার কিস্তির সনদ এবং জাকাত তহবিলে চাঁদার সনদ দেখাতে হবে।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে কর রেয়াত :কোনো ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প যদি দেশের স্বল্পোন্নত বা সবচেয়ে কম উন্নত এলাকায় অবস্থিত হয়, তাহলে মালিক কর রেয়াত পাবেন। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে। যেসব করদাতার প্রতিষ্ঠানে আগের বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশের বেশি, তবে ২৫ শতাংশের কম উৎপাদন হবে, তাঁরা ৫ শতাংশ হারে রেয়াত পাবেন। যেসব করদাতার প্রতিষ্ঠানে উৎপাদনের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে ২৫ শতাংশের বেশি হবে, তাঁরা ১০ শতাংশ হারে কর রেয়াত পাবেন। স্বল্পোন্নত ও সবচেয়ে কম উন্নত এলাকা আয়কর আইন অনুযায়ী নির্ধারিত।
কর প্রদানের সুযোগ পান করদাতা। কোথায় কোন ধরনের বিনিয়োগ ও চাঁদা দেওয়া থাকলে রেয়াত পাওয়া যায় এবং রেয়াতের হিসাব কীভাবে
করতে হয়, এনবিআর প্রকাশিত আয়কর নির্দেশিকা থেকে তা সমকালের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
আয়কর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২২টি খাতে বিনিয়োগ, চাঁদা ও অনুদান দেওয়া থাকলে করদাতা কর রেয়াত পাবেন। এসব খাতের মধ্যে রয়েছে- জীবন বীমার প্রিমিয়াম, সরকারি কর্মকর্তার প্রভিডেন্ড ফান্ডে চাঁদা, স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তা ও কর্মকর্তার চাঁদা, কল্যাণ তহবিল ও গোষ্ঠী বীমা তহবিলে চাঁদা এবং সুপার অ্যানুয়েশন ফান্ডে দেওয়া চাঁদা। এ ছাড়া যে কোনো তপশিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপোজিট পেনশন স্কিমে (ডিপিএস) বার্ষিক সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকলে রেয়াত পাওয়া যাবে। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার, স্টক, মিউচুয়াল ফান্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ, সরকার অনুমোদিত ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগেও রয়েছে কর রেয়াত। এ ছাড়া জাতির পিতার স্মৃতিরক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান, জাকাত তহবিল, এনবিআর অনুমোদিত দাতব্য হাসপাতাল, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে স্থাপিত প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক, আইসিডিডিআর,বি ও সিআরপি সাভার, সরকার অনুমোদিত জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিরক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ে কোনো প্রতিষ্ঠানে দান করলে করদাতা এসব দানের বিপরীতেও রেয়াত পাবেন।
রেয়াতের জন্য অনুমোদনযোগ্য অঙ্ক :রেয়াত পাওয়ার যোগ্য খাতে করদাতার প্রকৃত বিনিয়োগ বা চাঁদা অথবা করযোগ্য মোট আয়ের ২০ শতাংশ বা এক কোটি টাকা- এই তিনটির মধ্যে যা কম। রেয়াতের জন্য যে অঙ্ক অনুমোদন পাবে, তার ১৫ শতাংশ রেয়াত পাবেন করদাতা।
রেয়াত দাবির পদ্ধতি :বিনিয়োগজনিত রেয়াত দাবির জন্য আলাদা তপশিল রয়েছে। ২০১৬-১৭ করবছরে প্রবর্তিত নতুন রিটার্ন ফরমে তপশিলটি ২৪ডি নামে পরিচিত। নতুন রিটার্ন দাখিলকারী করদাতা বিনিয়োগ দাবি করলে রেয়াত পাওয়ার যোগ্য বিনিয়োগ বা দান ওই তপশিলে উল্লেখ করে রিটার্ন ফরমের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে বিনিয়োগ, চাঁদা বা দানের প্রমাণপত্র রিটার্নের সঙ্গে দাখিল করতে হবে।
কর রেয়াতের জন্য যেসব ডকুমেন্ট দিতে হবে :কর রেয়াত নিতে চাইলে জীবন বীমার কিস্তির প্রিমিয়াম রসিদ, ভবিষ্য তহবিলে চাঁদার সনদ, ঋণ বা ডিবেঞ্চার, সঞ্চয়পত্র, স্টক বা শেয়ারে বিনিয়োগের প্রমাণপত্র, ডিপোজিট পেনশন স্কিমে চাঁদার সনদ, কল্যাণ তহবিলে চাঁদা ও গোষ্ঠী বীমার কিস্তির সনদ এবং জাকাত তহবিলে চাঁদার সনদ দেখাতে হবে।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে কর রেয়াত :কোনো ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প যদি দেশের স্বল্পোন্নত বা সবচেয়ে কম উন্নত এলাকায় অবস্থিত হয়, তাহলে মালিক কর রেয়াত পাবেন। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে। যেসব করদাতার প্রতিষ্ঠানে আগের বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশের বেশি, তবে ২৫ শতাংশের কম উৎপাদন হবে, তাঁরা ৫ শতাংশ হারে রেয়াত পাবেন। যেসব করদাতার প্রতিষ্ঠানে উৎপাদনের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে ২৫ শতাংশের বেশি হবে, তাঁরা ১০ শতাংশ হারে কর রেয়াত পাবেন। স্বল্পোন্নত ও সবচেয়ে কম উন্নত এলাকা আয়কর আইন অনুযায়ী নির্ধারিত।
- বিষয় :
- কর রেয়াত
- আয়কর রিটার্ন
- করদাতা