ঢাকা শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

এডিনয়েড অপারেশন

এডিনয়েড অপারেশন

ডা. নূরুল হুদা নাঈম

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২২ | ০০:০৭

৫ বছরের শিশু নাসিফ। প্রায়ই ঠান্ডা-সর্দি লেগে থাকে। মাঝেমধ্যে শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়; ঘুমানোর সময় মুখ দিয়ে লালা ঝরে; কখনওবা মুখ হাঁ করে ঘুমায় এবং গলায় শব্দ হয়। সমবয়সীদের তুলনায় চঞ্চলতা ও বুদ্ধিমত্তার অভাব দেখা যায়। চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায়, এ সমস্যার মূলে রয়েছে নাকের পেছনে থাকা টনসিল। এটাই হচ্ছে এডিনয়েড।

এডিনয়েড কী?
নাকের ঠিক পেছনের জায়গাটিকে বলে ন্যাসোফ্যারিংস। আর এখানে থাকা টনসিলকে বলে এডিনয়েড, যা বাইরে থেকে দেখা যায় না। আমাদের মুখগহ্বরে বেশকিছু টনসিল একটি রিংয়ের মতো থাকে। একে বলে ওয়েলডিয়ার্স রিং। এই রিংয়ের সবার ওপরে থাকা টনসিলই হচ্ছে এডিনয়েড। বারবার ইনফেকশন এবং প্রদাহের কারণে এটি বড় হয়ে যায় এবং সমস্যা তৈরি করে। তখন একে এডিনয়েড বলে।

লক্ষণ
-সর্দি-জ্বর লেগে থাকা। ষ মুখ হাঁ করে ঘুমানো।
-ঘুমের মধ্যে শব্দ করা।
- ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হয়ে ঘুম থেকে উঠে বসে যাওয়া অথবা বারবার এপাশ-ওপাশ করা। ষ ঘুমানোর সময় নাক ডাকা। ষ অনেক সময় ইনফেকশন নাকের পেছন থেকে ইউস্টেশিয়ান টিউবের মাধ্যমে কানে চলে যায়। ফলে কানে পর্দার আড়ালে ফ্লুইড জমে এতে কানে কম শোনা, এমনকি কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে।
- পড়ালেখায় অমনোযোগী হওয়া এবং সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে ইনটেলেকচুয়ালিটি সমস্যা। অর্থাৎ বাচ্চা কিছুটা হাবাগোবা অথবা কম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হয়ে যেতে পারে।
-টেলিভিশনের সাউন্ড বাড়িয়ে দেওয়া বা সামনে গিয়ে শোনা।
- পেছন থেকে কথা বললে বা ডাক দিলে না শোনা কিংবা হ্যাঁ/জি বলে আবার বলার জন্য অনুরোধ করা। এমন কিছু সমস্যা যদি আপনার বাচ্চার থাকে, তবে অবশ্যই একজন নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হবেন।

[সহকারী অধ্যাপক, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল]

আরও পড়ুন

×