ঢাকা শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

ভিটামিন 'কে'র অভাবে

ভিটামিন 'কে'র অভাবে

ডা. তারিক হাসান

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২২ | ০০:১৮

রক্ত জমাট বাঁধার কিছু ফ্যাক্টর- বলা যাবে ক্লটিং ফ্যাক্টরস টু, সেভেন ও টেন তৈরিতে ভিটামিন 'কে'র দরকার হয়। সুতরাং এর অভাবে রক্তপাত ঘটে। শিশুর প্রথম বছর বয়সে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বেশি।

ভিটামিন 'কে'র শ্রেণীবিভাগ : কে১- উৎস সবুজ পাতা শাকসবজি, লিভার, লিচু, উদ্ভিদ তেল। আমেরিকাতে বাজারের খাদ্যে সম্পৃক্ত করে দেওয়া হয়।

কে২- পরিপাক নালির ক্ষুদ্রান্ত্রে উৎপন্ন হয়। তবে মাংস, লিভার, পনির এসবে বেশ মেলে।

অভাবজনিত সংকট : তিন প্রকারের নবজাতক সময়ের রক্তপাত
প্রথম ১-১৪ দিন বয়সে শিশুর পরিপাকতন্ত্র, ত্বক, নাভী থেকে রক্তপাত। নবজাতকের ক্ষুদ্রান্ত্র এ সময়ে 'কে' ভিটামিন উৎপাদন করতে পারে না। গর্ভফুল থেকেও বেশি 'কে' ভিটামিন জরায়ুতে থাকাকালীন শিশু পায় না। বুকের মধ্যেও এর মাত্রা কম। দেরি করে মাতৃদুগ্ধ পান শুরু করালে শিশু আরও বেশি ঝুঁকিতে পড়ে।
২-১২ সপ্তাহ বয়সের শিশু। তবে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত হতে পারে। শিশুর লিভার ডিজিজ থাকলে ঝুঁকি বাড়ে। 'কে' ভিটামিন দেওয়া না হলে প্রতি লাখ শিশুর ৪-১০ জন এতে আক্রান্ত হতে পারে। মস্তিস্ক, পাকস্থলী ও ত্বকে রক্তপাত দেখা যায়।

জন্মক্ষণে বা কিছু পরে হতে পারে। মা যদি গর্ভকালীন কিছু ওষুধ যেমন ওয়ারফেরিন, ফেনোবারটাল ইত্যাদি গ্রহণ করেন, তা 'কে' ভিটামিনের কাজে বাধা দেয়।

চিকিৎসা : মাংস বা শিরায় ১ মিলিগ্রাম 'কে' ভিটামিন প্রয়োগ।
প্রয়োজনে ফ্রেশ ফ্লোজেন প্লাজমা (রক্তরস)

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাপনা : জন্মের পরপর নবজাতক শিশুকে ১ মিলিগ্রাম 'কে' ভিটামিন মাংসে দেওয়া। মুখেও খাওয়ানো যায়, যা প্রথম ১-১৪ দিন বয়সীদের রক্তপাত বন্ধে ভূমিকা রাখে। 

আরও পড়ুন

×