ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

সংলাপ

সংলাপ

নন্দন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২২ | ১২:০০

সিনেমা 'হাওয়া' কার গায়ে জ্বালা ধরায়, কেন ধরায় তা বুঝতে চাই। বেশিরভাগ মানুষের কাছে যা সুবাতাস, তাকে বিষবাষ্প না বানালে চলছে না? আহা, কতকাল বাদে একটা শিল্পের আরোগ্য হচ্ছে, আর তা দেখে উনাদের পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে! 'হাওয়া' টিমকে সময়ের সবচেয়ে সুনির্মিত, লোকপ্রিয় সিনেমাটি উপহার দেওয়ার জন্য আমাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর কথা; আর আমরা কিনা তাদেরই হাইকোর্ট দেখাচ্ছি!


'হাওয়া'র পাখিটি রূপক অর্থে ব্যবহূত হয়েছে, আর এই নির্মাণের জন্য যে সিনেম্যাটিক রিয়েলিটি তৈরি করতে হয়েছে সেটি সত্য নয়। পাখিটির দৃশ্যধারণের পর আমরা তাকে প্রকৃতিতে মুক্ত করে দিয়েছিলাম। আর চানমাঝি যে তাঁর প্রিয় পাখিটি খেয়ে ফেলে সেটা কি শুধুই ভোগ! নাকি সমাজের ভেতর জমতে থাকা হিংস্রতা? আমি শুধু ওই বোধটাকেই ইঙ্গিত করেছি, আর সেটা নির্মাণ করেছি সিনেমার ভাষার ভেতর দিয়ে।


একটি চরিত্রে কাজের আগে চরিত্রটি দেখতে কেমন, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কী, তা জানার পর তাকে ভিজ্যুয়ালাইজ করতে হয়। এরপর পরিচালক, মেকআপশিল্পী, কস্টিউমশিল্পীসহ সবাই মিলে একটি চরিত্র তৈরি করেন। লুক নিয়ে নিজের কিছু ভাবনা শেয়ার করেছি, তবে 'হাওয়া' সিনেমা বা 'কারাগার' ওয়েব সিরিজে আমার যে লুক, সেটা আমার একার কৃতিত্ব নয়; ইউনিটের সবার। শুধু পারফরম্যান্সটা আমার।


এখন কনসার্ট বেশি হচ্ছে। গান করার সুযোগ অনেক বাড়ছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, গান থেকে অনেক বেশি ভালোবাসা পেয়েছি। গানে আরও বেশি সময় দেওয়া দরকার। এ ছাড়া এখন বাংলাদেশের অডিও-ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সে কারণেই মনে হয়েছে- নাটক অনেক করে ফেলেছি, আর না। এখন নাটক থেকে বিরতি নিচ্ছি। আবার যখন নতুন করে ফিরব, তখন আরও কিছু ভালো নাটক করব।

আরও পড়ুন

×