বিজয়ী মুখগুলো
দুর্গম শৃঙ্গে ওয়াসফিয়া

ওয়াসফিয়া নাজরীন
--
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৮:০০
বিদায় নিল ২০২২। বছরটা কেমন গেল বাংলাদেশের তরুণদের? আমাদের এই উন্মাদ দুনিয়ায় যাঁরা নতুন অতিথি, যাঁরা তালগাছের মতো মাথা তুলে দাঁড়াতে শুরু করেছেন নিজেদের কাজ দিয়ে- প্রতিনিধিত্বশীল এই স্বপ্নবাজদের কাজ আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য ও স্বপ্ন-সম্ভাবনাকে উস্কে দেয় প্রতিনিয়ত। বছরজুড়ে সাহসে উঠে আসা এমন ছয় তরুণের সাফল্য বা অর্জনের কথা তুলে ধরেছেন আশিক মুস্তাফা
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ পাকিস্তানের কে টু জয় করেছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। ৮ হাজার ৬১১ মিটার উঁচু কে টু পর্বতারোহীদের কাছে 'হিংস্র পর্বত' নামে পরিচিত। অনেকের বিবেচনায় এ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের চেয়েও দুর্গম। কারাকোরাম পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কে টু স্থানীয়ভাবে চোগোরি নামে পরিচিত। কে টুর পাশাপাশি ব্রড পিকেও উঠেছেন ওয়াসফিয়ারা, যেটি স্থানীয়ভাবে পরিচিত ফাইচান কাংরি নামে। এর উচ্চতা ৮ হাজার ৬৮ মিটার।
ইনস্টাগ্রামে বেজ ক্যাম্পে নিজের ছবি দিয়ে ওয়াসফিয়া লিখেছেন, 'কে টু-এর হৃদয় থেকে শুভেচ্ছা। পুরো সময়ে নেটওয়ার্ক না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করছি।' আরেকটা ছবি দিয়ে লেখেন- 'মহান পিতা চোগোরিকে বা কে টু দেখে পুরো সময় কেঁদেছি আমি।' পর্বতারোহীদের জন্য দুর্গম হওয়ার কারণে কে টু-তে যাওয়া মানুষের সংখ্যা খুব বেশি না হওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে ওয়াসফিয়া বলেন, 'স্পেসে যত মানুষ গেছে, তার চেয়ে কম মানুষ গেছে কে টু-তে। মানে খুব কম মানুষই কে টু-তে যাওয়ার অ্যাটেম্প করেছে। শুধু প্রথম বাংলাদেশি নারী যাচ্ছে সেখানে। এই পর্বতে নারীরা সেভাবে সাহস করে না বলা হয়। আমাদের দলে আছেন ছয়জন নারী।' সেখানকার পরিবেশ দুর্গম হওয়ার কথা তুলে ধরে ওয়াসফিয়া বলেন, 'কারাকোরামের ভিন্ন ব্যাপার হচ্ছে ক্রেজি ওয়েদার। এভারেস্ট থেকেও এটা ভিন্নতর। শুস্ক আর রুক্ষ আবহাওয়া।' শুধু প্রথম বাংলাদেশি নয়, দুই বাংলা মিলিয়ে কে টু-জয়ী প্রথম বাঙালিও ওয়াসফিয়া নাজরীন।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ পাকিস্তানের কে টু জয় করেছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। ৮ হাজার ৬১১ মিটার উঁচু কে টু পর্বতারোহীদের কাছে 'হিংস্র পর্বত' নামে পরিচিত। অনেকের বিবেচনায় এ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের চেয়েও দুর্গম। কারাকোরাম পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কে টু স্থানীয়ভাবে চোগোরি নামে পরিচিত। কে টুর পাশাপাশি ব্রড পিকেও উঠেছেন ওয়াসফিয়ারা, যেটি স্থানীয়ভাবে পরিচিত ফাইচান কাংরি নামে। এর উচ্চতা ৮ হাজার ৬৮ মিটার।
ইনস্টাগ্রামে বেজ ক্যাম্পে নিজের ছবি দিয়ে ওয়াসফিয়া লিখেছেন, 'কে টু-এর হৃদয় থেকে শুভেচ্ছা। পুরো সময়ে নেটওয়ার্ক না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করছি।' আরেকটা ছবি দিয়ে লেখেন- 'মহান পিতা চোগোরিকে বা কে টু দেখে পুরো সময় কেঁদেছি আমি।' পর্বতারোহীদের জন্য দুর্গম হওয়ার কারণে কে টু-তে যাওয়া মানুষের সংখ্যা খুব বেশি না হওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে ওয়াসফিয়া বলেন, 'স্পেসে যত মানুষ গেছে, তার চেয়ে কম মানুষ গেছে কে টু-তে। মানে খুব কম মানুষই কে টু-তে যাওয়ার অ্যাটেম্প করেছে। শুধু প্রথম বাংলাদেশি নারী যাচ্ছে সেখানে। এই পর্বতে নারীরা সেভাবে সাহস করে না বলা হয়। আমাদের দলে আছেন ছয়জন নারী।' সেখানকার পরিবেশ দুর্গম হওয়ার কথা তুলে ধরে ওয়াসফিয়া বলেন, 'কারাকোরামের ভিন্ন ব্যাপার হচ্ছে ক্রেজি ওয়েদার। এভারেস্ট থেকেও এটা ভিন্নতর। শুস্ক আর রুক্ষ আবহাওয়া।' শুধু প্রথম বাংলাদেশি নয়, দুই বাংলা মিলিয়ে কে টু-জয়ী প্রথম বাঙালিও ওয়াসফিয়া নাজরীন।
- বিষয় :
- ওয়াসফিয়া
- দুর্গম শৃঙ্গ
- ইনস্টাগ্রাম