নৈতিকতায় ভর করে এগিয়ে চলুন...

আর্থার সি ক্লার্ক [১৬ ডিসেম্বর ১৯১৭-১৯ মার্চ ২০০৮] ৩ ছবি :অনলাইন
আর্থার সি ক্লার্ক
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৮:০০
আর্থার সি ক্লার্ক। কিংবদন্তি সায়েন্স ফিকশন লেখক। 'প্রোফাইলস অব দ্য ফিউচার', '২০০১ : অ্যা স্পেস অডিসি', 'দ্য ফাউন্টেনস অব প্যারাডাইস' প্রভৃতি গ্রন্থের রচয়িতা। তাঁর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের অনুপ্রেরণামূলক অংশ অনুবাদ করেছেন ফাহমিদা রিমা
ওয়েলসের লেখাগুলো ছাড়া ঊনবিংশ শতাব্দীর বেশিরভাগ সায়েন্স ফিকশনই কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। যদিও ইমাজিনেশন আর সায়েন্স ফিকশন নানা কাঠামোতে সুদীর্ঘকাল ধরেই জনপ্রিয় ছিল। নিঃসন্দেহে জুলস ভার্ন এ ক্ষেত্রে কিংবদন্তি। এরপর ইংল্যান্ডের এইচজি ওয়েলস এবং অনেকেই প্রচুর পরিমাণে সায়েন্স ফিকশন লিখেছেন। শুরুতে ১৯৩০ দশকের দিকে 'ওয়ান্ডার স্টোরিজ' ও 'অ্যামাজিং স্টোরিজ' এবং এরপর 'ওয়ান্ডার স্টোরিজ'-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটরের লেখা 'দ্য কুয়েস্ট অব স্পেস' পড়ে আমি প্রভাবিত হই। বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৩১ সালে। এর রচয়িতা ডেভিড লেজারের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ আমার জন্য আনন্দের স্মৃতি।
সম্ভাব্যতা ও অসম্ভাব্যতা
প্রায় সব ধরনের সম্ভাব্যতা এবং একই সঙ্গে সব ধরনের অসম্ভাব্যতাকে নিয়ে কাজ করেছে সায়েন্স ফিকশন। আর তা করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয়েছি আমরা; আবার ব্যর্থতাও কম নয় আমাদের। তবে সেটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নয়। ব্যাপার হলো, সায়েন্স ফিকশন অনুমানযোগ্য হয়ে না ওঠা। কী হওয়া উচিত সেটি নয়; বরং কী হতে পারে- সেটিতে আলো ফেলাই এর কাজ। কেননা, কী যে হবে তা অনুমান করা কখনোই কারও পক্ষে সম্ভব নয়; বিশেষ করে রাজনীতি ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে। টেকনোলজিক্যাল গোলকে- যেমন ফ্লাইং, স্পেস ট্রাভেল ইত্যাদি বিষয়ে আপনার পক্ষে আগ বাড়িয়ে খানিকটা অনুমান করা সম্ভব; তবে কম্পিউটারের মতো বস্তু নিয়ে আগে থেকে তেমনটা অনুমান করতে পারিনি আমরা। কম্পিউটারের এমন অবিশ্বাস্য প্রভাব সম্পর্কে আগে থেকে আন্দাজ করতে পারিনি আমরা কেউই। উদাহরণস্বরূপ, যদি আমার প্রয়াত বন্ধু ইসাক আসমিয়ভের কথাও বলি, নানা ধরনের রোবট মস্তিস্কের কথা অনুমান করলেও, আজকের দিনে কম্পিউটার যেভাবে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে, যেভাবে হয়ে উঠেছে আমাদের পোশাকের মতোই জীবনের অবিচ্ছিন্ন অংশ- সেটা আমরা কেউই আগে থেকে ধরতে পারিনি।
গোপন নয়, সবারই আছে নিজস্ব কৌশল
লেখালেখির কোনো গোপন কৌশল রয়েছে বলে মনে হয় না আমার। বরং প্রত্যেক লেখকেরই নিজ নিজ কৌশল রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে পাঠক হিসেবে আপনাকে হতে হবে উদার। তাহলেই অগুনতি অসাধারণ তথ্যের সমাধানমূলক সমাহার হাজির হবে আপনার সামনে। আর লেখার ওজনটাকেও আপনাকে উপলব্ধি করতে হবে; তা না হলে এ খাটুনি ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। অতঃপর, যদি মনে হয়, আপনার লিখতে চাওয়া সায়েন্স ফিকশনটি অন্যগুলোর চেয়ে ভালো হবে- তবেই লিখুন। ব্যক্তিগতভাবে নন-ফিকশনের চেয়ে ফিকশনই আমাকে বেশি টানে। এ ক্ষেত্রে আপনার পক্ষে একান্তই আপনার একটি মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে ফেলা সম্ভব। তবে আমি মনে করি, প্রতিটি বইয়ের ভেতরেই নৈতিকতার জায়গা থাকা উচিত। আমি বলি, যা লিখছি সেটি সম্পর্কে যথেষ্ট সুনিশ্চিত না হয়ে পরিবেশ ঘোলাটে করার অধিকার কোনো লেখকের নেই।
ওয়েলসের লেখাগুলো ছাড়া ঊনবিংশ শতাব্দীর বেশিরভাগ সায়েন্স ফিকশনই কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। যদিও ইমাজিনেশন আর সায়েন্স ফিকশন নানা কাঠামোতে সুদীর্ঘকাল ধরেই জনপ্রিয় ছিল। নিঃসন্দেহে জুলস ভার্ন এ ক্ষেত্রে কিংবদন্তি। এরপর ইংল্যান্ডের এইচজি ওয়েলস এবং অনেকেই প্রচুর পরিমাণে সায়েন্স ফিকশন লিখেছেন। শুরুতে ১৯৩০ দশকের দিকে 'ওয়ান্ডার স্টোরিজ' ও 'অ্যামাজিং স্টোরিজ' এবং এরপর 'ওয়ান্ডার স্টোরিজ'-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটরের লেখা 'দ্য কুয়েস্ট অব স্পেস' পড়ে আমি প্রভাবিত হই। বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৩১ সালে। এর রচয়িতা ডেভিড লেজারের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ আমার জন্য আনন্দের স্মৃতি।
সম্ভাব্যতা ও অসম্ভাব্যতা
প্রায় সব ধরনের সম্ভাব্যতা এবং একই সঙ্গে সব ধরনের অসম্ভাব্যতাকে নিয়ে কাজ করেছে সায়েন্স ফিকশন। আর তা করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয়েছি আমরা; আবার ব্যর্থতাও কম নয় আমাদের। তবে সেটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নয়। ব্যাপার হলো, সায়েন্স ফিকশন অনুমানযোগ্য হয়ে না ওঠা। কী হওয়া উচিত সেটি নয়; বরং কী হতে পারে- সেটিতে আলো ফেলাই এর কাজ। কেননা, কী যে হবে তা অনুমান করা কখনোই কারও পক্ষে সম্ভব নয়; বিশেষ করে রাজনীতি ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে। টেকনোলজিক্যাল গোলকে- যেমন ফ্লাইং, স্পেস ট্রাভেল ইত্যাদি বিষয়ে আপনার পক্ষে আগ বাড়িয়ে খানিকটা অনুমান করা সম্ভব; তবে কম্পিউটারের মতো বস্তু নিয়ে আগে থেকে তেমনটা অনুমান করতে পারিনি আমরা। কম্পিউটারের এমন অবিশ্বাস্য প্রভাব সম্পর্কে আগে থেকে আন্দাজ করতে পারিনি আমরা কেউই। উদাহরণস্বরূপ, যদি আমার প্রয়াত বন্ধু ইসাক আসমিয়ভের কথাও বলি, নানা ধরনের রোবট মস্তিস্কের কথা অনুমান করলেও, আজকের দিনে কম্পিউটার যেভাবে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে, যেভাবে হয়ে উঠেছে আমাদের পোশাকের মতোই জীবনের অবিচ্ছিন্ন অংশ- সেটা আমরা কেউই আগে থেকে ধরতে পারিনি।
গোপন নয়, সবারই আছে নিজস্ব কৌশল
লেখালেখির কোনো গোপন কৌশল রয়েছে বলে মনে হয় না আমার। বরং প্রত্যেক লেখকেরই নিজ নিজ কৌশল রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে পাঠক হিসেবে আপনাকে হতে হবে উদার। তাহলেই অগুনতি অসাধারণ তথ্যের সমাধানমূলক সমাহার হাজির হবে আপনার সামনে। আর লেখার ওজনটাকেও আপনাকে উপলব্ধি করতে হবে; তা না হলে এ খাটুনি ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। অতঃপর, যদি মনে হয়, আপনার লিখতে চাওয়া সায়েন্স ফিকশনটি অন্যগুলোর চেয়ে ভালো হবে- তবেই লিখুন। ব্যক্তিগতভাবে নন-ফিকশনের চেয়ে ফিকশনই আমাকে বেশি টানে। এ ক্ষেত্রে আপনার পক্ষে একান্তই আপনার একটি মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে ফেলা সম্ভব। তবে আমি মনে করি, প্রতিটি বইয়ের ভেতরেই নৈতিকতার জায়গা থাকা উচিত। আমি বলি, যা লিখছি সেটি সম্পর্কে যথেষ্ট সুনিশ্চিত না হয়ে পরিবেশ ঘোলাটে করার অধিকার কোনো লেখকের নেই।
- বিষয় :
- নৈতিকতা
- আর্থার সি ক্লার্ক
- ওয়েলস