রাজবাড়ী সুহৃদের আনন্দদিন

কুষ্টিয়ার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ীতে শিক্ষা সফরে রাজবাড়ীর সুহৃদরা
সুমনা শিল্পী
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০
ট্রেন থেকে অন্তরার নামতে না পারার পর ফিরে আসা পর্যন্ত ৪০ মিনিটের দুশ্চিন্তা টানটান উত্তেজনার মধ্যে ফেলে দেয় সবাইকে। তবে রাজবাড়ী ফেরা পর্যন্ত চমৎকার আনন্দময় একটি দিন কাটিয়েছেন রাজবাড়ীর সুহৃদরা। ট্রেন ভ্রমণ, ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন, ঘোরাঘুরি, আনন্দ আড্ডা– কোনো কিছুরই কমতি ছিল না। রাজবাড়ী সুহৃদের এবারের শিক্ষা সফরের গন্তব্য ছিল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ী ও ছেঁউড়িয়ায় লালনের মাজার দর্শন।
শিলাইদহে পৌঁছে ছায়াঘেরা খোলা মাঠে হলো সাংগঠনিক সভা। সভাপতিত্ব করেন সভাপতি কমল কান্তি সরকার। সভা শেষে সবাই বেরিয়ে পড়েন। দুপুর দেড়টায় প্রখর রোদ আর গরমে ক্লান্ত সবাই। অনেকের যেন সাধ তখনও মেটেনি। সভাপতি কমল কান্তি সরকারের চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। হবেই না কেন? ষাটোর্ধ্ব মানুষটি যেন কৈশোর ফিরে পেয়ে সবার সঙ্গে তাল মেলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন। এবার পেটে তাপ লেগেছে। হলো ভূরিভোজ।এবারের গন্তব্য ছেঁউড়িয়া লালন শাহের মাজার। স্থানটি কুমারখালী উপজেলায় অবস্থিত হলেও কুষ্টিয়া শহরের পাশেই। তাই যেতে কোনো অসুবিধা হয়নি। আধ্যাত্মিক সাধক লালনের বাসস্থান ছিল এখানে। এ ছেঁউড়িয়াতেই ভক্তদের দীক্ষা দিতেন। তারা বাউল গান ও দেহতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করতেন। মাজারে ঢুকে ডান পাশে ছোট একটি বসার স্থান। নাম দেওয়া হয়েছে ভাবঘর। ক্লান্তি যাদের ঘিরে ধরেছে, তারা সেখানেই অবস্থান নিলেন। বাকিরা ঘুরতে বেরিয়ে পড়লেন। বিকেল ৫টায় মাজারের সামনে গোল হয়ে বসা। এমনিতে নয়। সুমনা শিল্পী একটি গেম খেলেছেন। গেমটি সবাইকে অফুরন্ত আনন্দ দিয়েছে। এই খেলায় প্রথম সভাপতি কমল কান্তি সরকার, দ্বিতীয় সহসভাপতি শাহেদ মুশতার ও তৃতীয় স্মৃতি প্রামাণিক।
এবার ফেরার পালা। যথারীতি ট্রেনে করেই ফেরা হলো রাজবাড়ী। ভ্রমণ হলো, আনন্দ হলো, অজানাকে জানা হলো। সবাই সবাইকে ভালো করে জানার সুযোগ পেলেন। সবই অসাধারণ ছিলেন। সুহৃদরা এমনই...।
আবৃত্তি ও বিতর্ক সম্পাদক, সুহৃদ সমাবেশ, রাজবাড়ী
- বিষয় :
- রাজবাড়ী
- সুহৃদ সমাবেশ