ঢাকা শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

ডায়াবেটিস

গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

ডাক্তারবাড়ি ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০

ডায়াবেটিসের সঙ্গে পরিচিত নন– এমন কাউকে বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা, যা সারাজীবনের জন্য বয়ে বেড়াতে হয়। এ ছাড়া যে কোনো ব্যক্তিই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন। ডায়াবেটিসের মতো জটিল ও জীবনব্যাপী একটি রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের কাজ খুব সহজ নয়। তা ছাড়া এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার পদ্ধতিও বেশ ব্যয়বহুল। নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া, রক্ত পরীক্ষা করা, ওষুধ খাওয়া, কারও কারও ক্ষেত্রে নিয়মিত ইনসুলিন নেওয়া ছাড়াও ডায়াবেটিসের কারণে শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা, তা দেখার জন্য মাঝেমধ্যে নানা ধরনের পরীক্ষারও দরকার হয়।

যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে, তারা প্রথম দিকে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন না। কারণ, এটা হচ্ছে ধীরগতির ঘাতক। যার হয়েছে, সেদিনই তাকে বিপদে ফেলবে না, আস্তে আস্তে তার শরীরের ক্ষয় করে দেবে। শরীর যখন রক্তের সব চিনিকে (গ্লুকোজ) ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তখনই ডায়াবেটিস হয়। এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে।

এখনও ডায়াবেটিস সম্পর্কে অনেক তথ্যই আমাদের অজানা। আসুন একনজরে দেখে নিই–  কারও কারও ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস খুব ছোট বয়সেই ধরা পড়ে। আবার কারও ক্ষেত্রে মাঝবয়সে কিংবা তারও পরে ডায়াবেটিস হতে পারে। ছোট বয়সে যে ডায়াবেটিস হয়, তা সাধারণত টাইপ-১ ডায়াবেটিস (ইনসুলিন ডিপেন্ডেন্ট ডায়াবেটিস)। টাইপ-১ ডায়াবেটিস আক্রান্তরা সাধারণত রোগা এবং অল্পবয়সী হন। টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্তরা অন্যদিকে মোটা হন। কোনো কোনো টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগী রোগা-পাতলা হতেই পারেন। ডাক্তার যদি মনে করেন আপনার ইনসুলিনের প্রয়োজন আছে, তা নির্দ্বিধায় মেনে চলুন।রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে নিয়মিত হাঁটুন।

 মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সাবধান। কারণ এতে আপনার প্যানক্রিয়াস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্যানক্রিয়াস বিটা সেল (যেখান থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ হয়) বেশি মিষ্টি খেলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 

উচ্চতা কম হলে অল্প ওজন বাড়াও ক্ষতিকর। উচ্চতা তো আপনি বাড়াতে পারবেন না, সে ক্ষেত্রে ওজন কমানোর দিকে নজর দিন।

ওজন কমানোর জন্য জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ফুড হ্যাবিটসে পরিবর্তন আনুন।

প্রসেসেড খাবাব যেমন– নুডলস, বিস্কুট, চিপস এড়িয়ে চলাই উচিত।

দিনে ১০,০০০ স্টেপস হাঁটুন। যে কোনো ফিটনেস ট্র্যাকার দিয়ে দিনে কতটা হাঁটলেন তার ওপর নজর রাখতে পারবেন।

ডায়াবেটিসকে বলা হয়, সাইলেন্ট ডিজিজ। অন্য কোনো কারণে রক্ত পরীক্ষা করার সময় হঠাৎ ধরা পড়ে বা ডাক্তারের কাছে হয়তো আপনি অন্য কোনো কারণে গেছেন, তাঁর সন্দেহের কারণে রক্ত পরীক্ষা করাতে হলে হয়তো জানতে পারবেন আপনার ডায়াবেটিস আছে।  

যেহেতু ডায়াবেটিস সাইলেন্ট ডিজিজ, তাই চুপচাপ শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষতি করতে পারে। চোখ, নার্ভ, কিডনি সবই এই অসুখে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই চিকিৎসা এবং ফলোআপে গাফিলতি করবেন না।

পেটের মাপ বেড়ে গেলে বুঝতে হবে আপনার ভিসেরাল ফ্যাট ডিপোজিশন হচ্ছে ডায়াবেটিসের দিকে, তার মানে আপনি এক ধাপ এগিয়ে আছেন।

 

আরও পড়ুন

×