ঢাকা বুধবার, ২১ মে ২০২৫

অ্যাপল কী বলছে...

অ্যাপল কী বলছে...

সাব্বিন হাসান

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৩ | ০৭:৫৩

আইফোন উদ্ভাবনে ডিজিটাল দুনিয়ার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন অ্যাপলখ্যাত স্টিভ জবস। তাঁর হাত ধরেই এসেছে মোবাইল ফোনের যুগান্তকারী স্মার্ট ডিভাইস ‘আইফোন’। আইফোন তৈরির আগে গান শোনার যন্ত্র হিসেবে ‘আইপড’ নিয়ে আসে অ্যাপল।

আইফোন উদ্ভাবনে ডিজিটাল দুনিয়ার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন অ্যাপলখ্যাত স্টিভ জবস। তাঁর হাত ধরেই এসেছে মোবাইল ফোনের যুগান্তকারী স্মার্ট ডিভাইস ‘আইফোন’। আইফোন তৈরির আগে গান শোনার যন্ত্র হিসেবে ‘আইপড’ নিয়ে আসে অ্যাপল। স্টিভ জবস মিউজিক প্লেয়ারের ইতি টানতে চলেছিলেন। তখনকার সময়ে বাজারে মিউজিক প্লেয়ারের বিকল্প হিসেবে ‘আইপড’ যেন এসেই জয় করল চারপাশ।

অ্যাপল গবেষকরা ধারণা করেছিলেন, অ্যাপল যদি মিউজিক প্লেয়ারের বিকল্প কিছু তৈরি না করে, তবে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফোনে কল, ভিডিও দেখার সঙ্গে গান শোনার যন্ত্র একত্র করে ডিজিটাল পণ্য আত্মপ্রকাশ করবে। শঙ্কা ছিল, আইপড ডিভাইসের বাজার দখলে নতুন পণ্য বাজারে আসতে পারে। ঠিক তার পর থেকেই আইফোন নির্মাণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করে অ্যাপল।

স্টিভ ২০০৫ সালেই অ্যাপল গবেষকদের টাচস্ক্রিন ঘরানার প্রযুক্তিপণ্য ডিজাইনে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। ২০০৭ সালের ৯ জানুয়ারি প্রথম আইফোন আনার ঘোষণার অনুষ্ঠানে স্টিভ আইপডের ছবি উন্মোচন করেন। আইপডে ক্লিক হুইলের বদলে রোটারি ডায়াল বাটন ছিল।

অ্যাপলের প্রথম আইপড ডিজাইনার প্রকৌশলী টনি ফ্যাডেল স্টিভ জবসের রোটেটিং হুইলের ধারণা বদলে দেন। ক্লিক হুইলের বদলে মাল্টিটাচ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেন। টনি ফ্যাডেলের পরামর্শে অ্যাপল প্রকৌশলী দলকে দুই ভাগে বিভক্ত করেন স্টিভ। একটি দল সফটওয়্যার আর অন্য দলটি হার্ডওয়্যার বিনির্মাণে মনোযোগী হয়। সফটওয়্যার দলের মূল কাজ ছিল দৃষ্টিনন্দন ইন্টারফেস ডিজাইন। অন্যদিকে হার্ডওয়্যার দলের দায়িত্ব ছিল নতুন ধারণার গেজেট ডিজাইন করা, যা মোবাইল ফোনের ধারণাই আমূল বদলে দেবে। বিস্মিত হবে বিশ্ব; উন্মাদনা ছড়াবে সবখানে।

সারাবিশ্ব আবারও আইফোন উন্মাদনায় মত্ত। অপেক্ষার ইতি টানছে অ্যাপল। সেপ্টেম্বরে উন্মোচিত হবে আইফোন সংস্করণের ১৫ সিরিজের কয়েকটি মডেল। প্রথম দফায় বাজারে আসবে আইফোন ১৫ সিরিজের মডেল। কিছু দিনের ব্যবধানে অন্য মডেলগুলোও বাজারে নিজেদের অবস্থান জানান দেবে।

চার্জিং করতে ‘সি’ টাইপ পোর্ট থাকবে আইফোনের নতুন মডেলে, তা প্রায় নিশ্চিত। বহুল প্রতীক্ষিত স্মার্টফোনে মডেল সংস্করণ, ডিজাইন পরিবর্তন, দাম ও নতুন চার্জিং প্রযুক্তি সুবিধা ছাড়াও সবশেষ থান্ডারবোল্ট ডেটা ট্রান্সফার সুবিধার কথা শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে।

আইফোন ১৫ মডেল আগামী ১২ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করবে। তবে আনুষ্ঠানিক বিপণন ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। সারাবিশ্বের অ্যাপল আউটলেটগুলোয় নতুন আইফোন ২২ সেপ্টেম্বরের পর থেকেই পাওয়া যাবে বলে খবরে প্রকাশ।

অনুষ্ঠেয় অ্যাপলের বিশেষ ইভেন্টে চারটি নতুন আইফোন মডেলের দেখা মিলবে। যার মধ্যে দুটি আইফোন ১৫ মডেল আর দুটি আইফোন ১৫ প্রো সিরিজের মডেল। নামকরণ যদি আগের মতোই অপরিবর্তিত থাকে তার অর্থ হলো আইফোন ১৫, আইফোন ১৫ প্লাস, আইফোন ১৫ প্রো আর আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স মডেল।

সব মডেলেই পুরুত্ব (বেজেল) হবে আগের সংস্করণের তুলনায় কম। স্টিভ তাঁর জীবদ্দশায় আইফোন ক্রমিক সংস্করণকে ওজনে হালকা আর গড়নে পাতলা অবয়বে তৈরি করার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। যার প্রচেষ্টায় এখনও অটল রয়েছে অ্যাপল। কারণ, অ্যাপল স্বপ্নদ্রষ্টা স্টিভের সব স্বপ্নের সারথি ছিলেন টিম কুক। তাই স্টিভের পরিকল্পনা বিবেচনায় রেখেই এগিয়ে চলেছেন টিম কুক; সমৃদ্ধ করছেন আইফোন উদ্ভাবিত প্রতিটি মডেল।

ইতিহাসে আইফোন

আইফোন মানেই ইতিহাস। ২০০৭ সালের ২৯ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসে প্রথম আইফোন। অ্যাপল কোম্পানির সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি সানফ্রান্সিসকো শহরে প্রথম আইফোনের ঘোষণা করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিশ্বের কয়েকটি দেশে নতুন আইফোন বাজারে আসা নিয়ে রীতিমতো উন্মাদনা তৈরি হয়।

আরও পড়ুন

×