ঘর সাজাতে বুক শেলফ
আল আমীন
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০
বুক শেলফ কেবল বই রাখার তাক হিসেবেই নয়, ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতেও সাহায্য করে। বুক শেলফে বই ছাড়াও রাখতে পারেন অন্যান্য জিনিস। দেয়ালের রং, ঘরের আকৃতি ইত্যাদি নানা দিক বিবেচনা করে এ আসবাব নির্বাচন করা উচিত।
বুক শেলফের ডিজাইন: শোবার ঘর, হলরুম, খাবার ঘর বা অফিস কক্ষ বা লাইব্রেরিতে ব্যবহারের জন্য নানা ধরনের বুক শেলফ রয়েছে। যেমন ফ্রি-স্ট্যান্ডিং, ক্ল্যাসিক, ভাসমান, স্টাডি টেবিল বা ওয়ার্কস্টেশনসহ বুক শেলফ, রুম ডিভাইডার ও মাই বুক শেলফ। এ ছাড়া শিশুদের জন্য আলাদাভাবে সৃজনশীল ডিজাইনে নানা রকম বুক শেলফ বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
আপনি যদি ঘরে ক্ল্যাসিক ভাব আনতে চান, তাহলে কাঠের তৈরি শেলফ ব্যবহার করতে পারেন। দেখতে অনেকটা আলমারির মতো পাঁচ স্তরবিশিষ্ট শেলফগুলো বেশ মজবুত এবং হালকা ডিজাইনের। শেলফগুলোয় একই সঙ্গে আধুনিক ও ট্র্যাডিশনাল ভাব রয়েছে।
ফ্রি-স্ট্যান্ডিং বুক শেলফ: এটি সহজেই একটি ভিন্ন স্থানে সরানো যায়। বেশি লম্বা হলে এটিকে দেয়ালের সঙ্গে লটকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ বুক শেলফগুলোর বেশির ভাগই খোলা স্টোরেজ। তবে কিছু ডিজাইনের দরজা বা ড্রয়ার থাকতে পারে।
বসার ঘরের জন্য কাচের শেলফ: কাচের বুক শেলফ বসার ঘরের জন্য আদর্শ। এগুলো বিভিন্ন ডিজাইনের হতে পারে। চাইলে এতে এলইডি লাইটও সংযোজন করতে পারেন।
শোবার ঘরে কিউব বুক শেলফ: কিউব বুক শেলফ যে কোনো আকৃতির হতে পারে। এগুলোকে একটি ষড়ভুজ, ত্রিভুজ বা আপনার পছন্দের যে কোনো আকৃতিতে তৈরি করে নিতে পারেন। ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের বই আলাদাভাবে রাখতে সমান আকারের বা বিভিন্ন আকারের কিউব বেছে নিতে পারেন। প্রতিটি ঘনক্ষেত্রে বই রাখার পরিবর্তে সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে ইনডোর প্লান্ট, ছবির ফ্রেম, শোপিস বা অন্যান্য শিল্পকর্ম দিয়ে কয়েকটি কিউব সাজাতে পারেন।
ভাসমান বুক শেলফ: এটি এমন ধরনের আসবাব যাতে দেখা যায়, বই ঘরের দেয়ালে সাজানো, কিন্তু কোনো তাক দৃশ্যমান নয়। আকর্ষণীয় ফিটিংয়ের কারণে কাঠ বা ধাতুর ভাসমান বুক শেলফগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে অল্প পরিসরে একটুখানি বুক শেলফ রাখতে চাইলে এ ডিজাইন বেছে নিতে পারেন। চাহিদাও মিটবে, ঘরের সৌন্দর্যও বাড়বে।
অল্প পরিসরের ঘরে কর্নার বুক শেলফও ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো অল্প জায়গা নেয়, তবে বই বেশি রাখা যায় এবং ঘরের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দেয়। এটি ঘরের দেয়ালে ঝুলিয়ে বা মেঝেতেই রাখা যেতে পারে।
স্টাডি টেবিল বা ওয়ার্কস্টেশনসহ বুক শেলফ: একটু বড় পরিসরের রুমের ক্ষেত্রে বুক শেলফের সঙ্গে একটি স্টাডি টেবিল থাকা সুবিধাজনক। এটি ঘরের নান্দনিকতায়ও নতুন মাত্রা যোগ করে। হোম অফিসের জন্যও এটি সহায়ক। একটি আরামদায়ক কাঠের চেয়ার বা অফিস চেয়ারসহ শক্ত কাঠের স্টাডি টেবিল বেছে নিতে পারেন। টেবিলের নিচে একটি ছোট বুক শেলফ দিয়ে কাস্টমাইজ করা যেতে পারে। রাখতে পারবেন বই, প্রয়োজন কাগজপত্রসহ অন্যান্য ছোটখাটো জিনিসও।
হোম লাইব্রেরির জন্য: বইপ্রেমী মাত্রই নিজের মতো করে সাজানো একটি হোম লাইব্রেরির স্বপ্ন দেখেন। এ ক্ষেত্রে জানালার কাছাকাছি স্থান, একটি কোণ বা সিঁড়ির নিচের স্থান বেছে নিতে পারেন। হোম লাইব্রেরি প্রশস্ত হতে হবে না। আলো প্রবেশ করে এবং শান্ত পরিবেশ পাওয়া যায় এমন জায়গা আদর্শ হবে। দেয়ালের উচ্চতা অনুযায়ী বইয়ের তাক বেছে নিন। এ ক্ষেত্রে হালকা রঙের বুক শেলফ বেছে নেওয়া ভালো।
সৃজনশীল বুক শেলফ: যদি সৃজনশীলতা পছন্দ করেন, গতানুগতিক ডিজাইনের বাইরেও নিজের পছন্দের ডিজাইনের বুক শেলফ বানিয়ে নিতে পারেন। গাছের গুঁড়ি দিয়ে এ ধরনের বুক শেলফ তৈরি করা যেতে পারে। এ ধরনের শেলফ হতে পারে তরঙ্গ, বৃত্তাকার, অর্ধচন্দ্রসহ বিভিন্ন আকৃতির। হতে পারে সোফার হাতলে কিংবা বেডের সঙ্গে সংযুক্ত বইয়ের তাকও।
মই আকৃতির: ঘরে জায়গার স্বল্পতা থাকলে মই বুক শেলফ দারুণ কাজে দেয়। এটি বেশ জনপ্রিয়। আধুনিক ডিজাইনের এসব বুক শেলফ শহুরে বাড়ির প্রয়োজন ও নন্দন বাড়ানোয় উপযোগী। এগুলোয় বেশি বই রাখা যায় না। তবে এগুলো ঘরের সৌন্দর্যে যুক্ত করে নতুন আকর্ষণ। v
- বিষয় :
- বুক শেলফ