ঘাসফড়িঙের শহর দেখা

--
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮:০০
গল্প লিখেছেন : তাহসিনা এনাম তৃষা
ছবি এঁকেছেন : রজতএক যে ছিলো ঘাসফড়িং। সে মনের সুখে নদীর পাড়ে উড়ে বেড়াতে ভালোবাসতো। ভোরবেলায় সে ঘাসের ডগায় বসে গায়ে শিশির মাখতো। আর দুপুর রোদে বড় ঘাসের আড়ালে আরাম করতো। নদীর ধারে যে ফুলের গাছগুলো, সেই গাছের সঙ্গে ঘাসফড়িঙের দারুণ বন্ধুত্ব।
একদিন শহর থেকে উড়ে এলো এক রঙিন প্রজাপতি। সে সবাইকে শহরের গল্প শোনালো। শোনালো সে বাগানের গল্প যেখানে সে উড়ে বেড়ায়। শহরের এতো গল্প শুনে ঘাসফড়িঙের খুব ইচ্ছা হলো শহর দেখার। পরদিন খুব ভোরে বেরিয়ে পড়লো ঘাসফড়িং। উড়তে উড়তে এক সময় সে পৌঁছে গেলো শহরের সে বাগানে। বাগানের চারদিকে এতো ফুল! খুব ভালো লাগলো ঘাসফড়িঙের। যেই না একটা গোলাপ ফুলে সে বসতে গেলো, অমনি কোথা থেকে চলে এলো দুষ্টু ছেলের দল। ঘাসফড়িংকে ধরতে চায় তারা।
দুষ্টু ছেলের হাত থেকে বাঁচবার জন্য সে লুকাতে গেলো একটা মূর্তির আড়ালে। যেই না সে মূর্তির হাতের ফাঁকে লুকাতে গেলো, সে জড়িয়ে গেলো একটা মাকড়সার জালে। ঘাসফড়িং যখন নিজেকে মাকড়সার জাল থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই সে শুনতে পেলো টিক টিক টিক। সে দেখলো তার দিকে এগিয়ে আসছে এক বিশাল টিকটিকি। নিশ্চয়ই টিকটিকিটা এখন তাকে খেয়ে ফেলবে!
ভয় পেয়ে গেলো ঘাসফড়িং। সে বুঝতে পারছে না কী করবে। এদিকে টিকটিকিটা এগিয়ে আসছে। এমন সময় মাথায় একটা বুদ্ধি চলে এলো ঘাসফড়িঙের। সে চেঁচিয়ে বলতে লাগলো, টিকটিকি ছুটে আসছে মাকড়সার জাল ভেঙে দিতে। ঘাসফড়িঙের কথা কানে গেলো মাকড়সার। নিজের জালের দিকে এগিয়ে আসতেই সে বুঝতে পারলো ঘাসফড়িং বিপদে পড়েছে। সুযোগ বুঝে সে জাল ছুড়ে দিলো টিকটিকির দিকে। টিকটিকি জালে আটকে গেলো।
ঘাসফড়িঙের কাছে দৌড়ে এলো মাকড়সা। জাল কেটে মুক্ত করলো তাকে। খেতে দিলো কচি পাতা আর মধু। মাকড়সাকে ধন্যবাদ দিয়ে ঘাসফড়িং উড়ে চললো নদীর দিকে। এতোক্ষণে শহর দেখার সাধ মিটে গেছে তার!
- বিষয় :
- ঘাসফড়িঙের শহর দেখা