জেনে রাখুন
শরীরে আয়রনের অভাবে...

প্রতীকী ছবি
ডা. তারিক হাসান
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ০০:০৭ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ০০:০৭
আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আয়রন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, মানসিক সুস্থতা, পেশি এবং শক্তির জন্য লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে আয়রন খুবই দরকারি। এ ছাড়া শিশুদের সুস্থ মস্তিষ্কের বিকাশ এবং বেড়ে ওঠার জন্য আয়রন গুরুত্বপূর্ণ।
লোহিত রক্তকণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক প্রোটিনের অংশ গঠন করে আয়রন। হিমোগ্লোবিন রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন পরিবহন করে।
আয়রনের অভাব খুব সাধারণ একটি সমস্যা। মূলত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অভাবেই শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। যেহেতু শরীর নিজে থেকেই এ খনিজ উপাদান তৈরি হয় না, তাই আমাদের খাদ্য থেকে পর্যাপ্ত আয়রন নিতে হবে। যে কোনো বয়সের মানুষের মধ্যেই আয়রনের ঘাটতি দেখা যেতে পারে। তবে শিশু, প্রসূতি বা ঋতুস্রাব হওয়া নারী এবং কিডনির জটিলতায় ডায়ালাইসিস নেওয়া ব্যক্তিরাই তুলনামূলক এ সমস্যার ঝুঁকিতে বেশি থাকেন।
শরীরে আয়রনের ঘাটতির লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ক্লান্তি এবং দুর্বল বোধ করা। শরীরে আয়রনের অভাব দেখা দিলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে কিংবা মাথা ঘোরা এবং ঝিমঝিম বোধ হতে পারে। আয়রনের অভাব হলে যে কোনো কাজে মনোযোগ এবং কোনো কিছু মনে রাখতে সমস্যা হয়। লিবিডো (যৌন চাহিদা) কমে যাওয়াও আয়রনের ঘাটতির আরেকটি লক্ষণ।
তবে এসব লক্ষণ যে শুধু আয়রনের ঘাটতির জন্য হবে, তা না; বরং অন্যান্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। আমরা মূলত দুটি উপায়ে খাবার থেকে আয়রন পেয়ে থাকি– হিম আয়রন এবং নন-হিম আয়রন। হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ অনুযায়ী, নন-হিম আয়রনের চেয়ে শরীরে হিম আয়রন ভালোভাবে শোষিত হয়। হাঁস-মুরগি এবং সামুদ্রিক খাবারের মতো প্রাণিজ মাংসে হিম আয়রন পাওয়া যায়।
অন্যদিকে, উদ্ভিজ্জ খাবার যেমন– দানা শস্য, বাদাম, বীজ, লেবু এবং শাকসবজি থেকে নন-হিম আয়রন পাওয়া যায়। এ ধরনের খাবারের সঙ্গে ভিটামিন সি খেলে শরীরে হিম আয়রন এবং নন-হিম আয়রন ভালোভাবে শোষিত হয়। v