ভুলগুলো সব ফুল হয়ে যাক
3 মডেল : নাজমী জান্নাত
ফাহমিদা রিমা
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০০:৪২
আমরা প্রায়ই ভুলে যাই। তরুণদের এমন ভুলোমনা স্বভাব স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া যায় না। চলুন, একজন ভুলোমনা মানুষের মুখোমুখি হই, যিনি নানা সমস্যায় পড়েছেন–
দেরি করার অভ্যাস: ধরুন, আপনি আর সেই লোকটি। তিনি নিজেই আপনাকে বলে যাচ্ছেন, তিনি একসঙ্গে অনেক ব্যাপারে মাথা ঘামাতে অপছন্দ করেন। এ ছাড়া তিনি খুবই অন্যমনস্ক। রিমাইন্ডার ছাড়া কোনো কাজই করতে পারেন না। এ ছাড়া তাঁর যে কোনো কাজে দেরি করার অভ্যাস।
সময়ের হিসাবে গন্ডগোল : মাঝেমধ্যে ভুলভাবে সময়ের হিসাব করি। যেমন, আমার বাস আসার কথা সকাল ৯টায়। তাহলে বাসা থেকে বের হলেই বাস– এটা ভেবে আমি রেডি হই ৮টা ৫৫ মিনিটে। কিন্তু তখনই মনে হয় আমার ব্যাগ গোছানো হয়নি অথবা আমার ওয়ালেটটা খুঁজে পাচ্ছি না। ফলে বাস মিস করি। কিংবা হয়তো ১০ মিনিটের জন্য গান শুনতে শুরু করলাম। যখনই খেয়াল হলো, ততক্ষণে ৩০ মিনিট পেরিয়ে গেল। অমনি পিছিয়ে পড়লাম।
রাজ্যের কাজ : যে কোনো ধরনের কাজ বারবার বা সেই একই কাজের পুনরাবৃত্তি অপছন্দ করি। যদিও আমি ওই কাজে পারদর্শী নই। ধরুন, আমি একটি রেস্টুরেন্টের কিচেনে কাজ করতাম। তখন আমি খুব বাজে সময় কাটিয়েছিলাম। কারণ সেখানে একত্রে নানা রকম কাজ করতে হতো আমাকে।
সমাধানের সহজ পাঠ
ওপরের প্রতিটি ঘটনার জন্য আলাদা সমাধান দেওয়া যেতে পারে। অনেকেই বলতে পারেন, এসব ব্যাপার এড়ানো খুবই সহজ। বাস্তবে এ ধরনের সমস্যা কাটিয়ে ওঠা খুব কঠিন। তবে সঠিক কৌশল অবলম্বন করে আপনি এ ধরনের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনি খেয়াল রাখতে পারেন–
রুটিন, চেকলিস্ট ও টাইমার: রুটিন ও চেকলিস্ট ভুলে যাওয়ার অভ্যাস রোধে এ ব্যাপারটি অনুসরণ করতে পারেন। নিয়মিত দিনের শেষ দিকে আপনার মোবাইল ফোনে চার্জ দিন ও সকালের দিকে মোবাইলটি চার্জার থেকে ডিসকানেক্ট করুন। মোবাইল ফোন কিংবা হাতঘড়ির টাইমারটা ওপেন করে কাজ শুরু করুন।
লঞ্চ প্যাড এবং অভিজ্ঞতা : এটি একটি নির্ধারিত জায়গা, যেখানে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা থাকবে। যেন বাসা থেকে বের হওয়ার পথে সহজেই খুঁজে পান। যে কাজে আপনার কম দক্ষতা, তার সমাধানে অভিজ্ঞ কাউকে খুঁজুন। তবে সব কাজে এটি সম্ভব নাও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনিও অন্য কাউকে সাহায্য করতে পারেন। ‘নেভার বি লেট এগেইন’–এ বইটি পড়তে পারেন। বইটি থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারেন। এ ছাড়া ভুলে যাওয়ার অভ্যাস রোধে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হতে পারে– গুরুত্বপূর্ণ কাজ নির্দিষ্ট সাইটে সংরক্ষণ করে রাখা। সামনের জরুরি কাজ ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রাখা। যে কাজ খুব জরুরি, যা আপনাকে করতেই হবে, সেগুলোর জন্য ‘আইওয়ান্টসেন্ডি’ ব্যবহার করুন, যার কাছ থেকে আপনাকে সময়মতো ই-মেইল পাঠানো হবে। n