- ফিচার
- ব্যোমকেশ বক্সী: শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
কালের খেয়া কুইজ ৪৯
ব্যোমকেশ বক্সী: শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
![শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় [জন্ম :৩০ মার্চ ১৮৯৯ -মৃত্যু :২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭০]](https://samakal.com/uploads/2022/03/online/photos/Untitled-48-samakal-622a44dd07596.jpg)
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় [জন্ম :৩০ মার্চ ১৮৯৯ -মৃত্যু :২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭০]
বাংলা কথাসাহিত্যের রোমাঞ্চকর এক শিল্পীর নাম শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র 'ব্যোমকেশ বক্সী' শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির মধ্যে অন্যতম। কিন্তু তিনি কেবল গোয়েন্দা কাহিনির জন্যই বিখ্যাত নন- তার ব্যোমকেশ বক্সী যেমন জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল তেমনই তার ঐতিহাসিক উপন্যাসগুলোও পাঠকমনে সাড়া ফেলে।
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস 'ঝিন্দের বন্দী' ও 'তুঙ্গভদ্রার তীরে'সহ 'কালের মন্দিরা', 'গৌর মল্লার' ইত্যাদি উপন্যাস বাংলা কথাশিল্পে তার স্বকীয়তা ও মেধার স্বাক্ষর রেখেছে। সামাজিক উপন্যাস যেমন 'জাতিস্মর', 'বিষের ধোঁয়া' বা অতিপ্রাকৃত বিষয় নিয়ে তার 'বরদা সিরিজ' ও অন্যান্য গল্প এখনও বেস্টসেলার। শরদিন্দু ছোটগল্প ও শিশুসাহিত্য রচনাতেও পারদর্শী ছিলেন। তার সৃষ্ট অন্য আরেকটি চরিত্র 'সদাশিব' মারাঠা বীর শিবাজীর অভিযানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্র নিয়ে তেত্রিশটি কাহিনি রচনা করেছেন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যোমকেশ একজন গোয়েন্দা। নিজেকে তিনি সত্যান্বেষী বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। প্রথমে শরদিন্দু অজিত চরিত্রের কলমে লিখতেন। কিন্তু পরে তিনি তৃতীয়পুরুষে লিখতে শুরু করেন ব্যোমকেশ বক্সীর কাহিনিগুলো।
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর শহরে, মাতুলালয়ে। আদিনিবাস পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যস্থিত উত্তর কলকাতার বরানগর কুঠিঘাট অঞ্চল। তার রচিত প্রথম সাহিত্য প্রকাশিত হয় ২০ বছর বয়সে, যখন তিনি কলকাতায় বিদ্যাসাগর কলেজে আইন নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। পড়াশোনার সাথেই তিনি সাহিত্য চর্চাও করতে থাকেন। তার সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী আত্মপ্রকাশ করে ১৯৩২ সালে। তারপর চার বছর ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে দশটি গল্প লেখার পর বহু বছর ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে কিছু লেখার কথা ভাবেননি, দীর্ঘ ১৫ বছর পর কলকাতায় পরিমল গোস্বামীর ছেলেমেয়েদের কাছে ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে গল্প না লেখায় অভিযোগ শোনেন, তারপর আবার ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে দীর্ঘ বছর পর লেখেন 'চিত্রচোর'।
১৯২৬ সালে পাটনা থেকে আইন পাস করেন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ওকালতি শুরু করেন। কিন্তু বেশিদিন নয়, ১৯২৯ সালে ওকালতি ছেড়ে দেন। ১৯৩৮ সালে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় পাটনা ছেড়ে মুম্বাই যান, সেখানে বোম্বে টকিজ মুভিজের জন্য স্ট্ক্রিনপ্লে লিখতে শুরু করেন কিন্তু বেশিদিন নয়- ১৯৫২ তে মুম্বাই ছেড়ে পুনে আসেন এবং সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। ২০ বছর বয়সে কলেজে পড়ার সময় শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম সাহিত্য প্রকাশিত হয়, 'যৌবন-স্মৃতি' নামক কবিতার সংকলন, যার মধ্যে ছিল বাইশটি কবিতা। পাঠকহৃদয়ে চিরস্মরণীয়ে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়েন্দা কাহিনি যেমন জনপ্রিয়, তেমনি জনপ্রিয় তার গল্প বর্ণনা রীতি, ভূতুড়ে কাহিনি হোক কিংবা ঐতিহাসিক রচনা তার কল্পনার বিস্তার; গল্পের চমক পাঠকের মনে এক ধরনের আনন্দের সঞ্চার করে।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্য রচনার প্রেরণার কথা বলতে গিয়ে লিখেছেন, 'ঐতিহাসিক গল্প লেখার প্রেরণা পাই বঙ্কিমচন্দ্র্র পগে। বঙ্কিমচন্দ্র্রের কাছ থেকেই শিখেছি ভাষার মধ্যেই বাতাবরণ সৃষ্টি করা যায়- ঐতিহাসিক বাতাবরণ' (জীবন কথা)। ১৯৭০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলা আধুনিক কথাসাহিত্যের অন্যতম মেধা শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনাবসান ঘটলেও তার সৃষ্টির মাধ্যমে আজও তিনি পাঠক হৃদয়ে অধিষ্ঠিত।
প্রশ্ন
১। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন গ্রন্থ অবলম্বনে চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন সত্যজিৎ রায়?
২। কত সালে তিনি সামরিক প্রশিক্ষণে যান?
৩। ১৯৩৬ সালের রবীন্দ্রজয়ন্তীতে বেতারে লেখদের নিয়ে 'বৈকুণ্ঠের খাতা' অভিনিত হয়। সেখানে শরদিন্দু কোন ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন?
কুইজ ৪৮-এর উত্তর
১। অল্পদর্শী
২। উপন্যাস
৩। 'বৈহাসিকের পার্শ্বচিন্তা'
কুইজ ৪৮-এর জয়ী
নকীব আব্দুল্লাহ
সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা।
মাকসুদা খাতুন
গোপাল পুর, নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
আহাম্মদ নবী
কাজী নজরুল ইসলাম রোড, সদরঘাট, চট্টগ্রাম।
নিয়ম
পাঠক, কুইজে অংশ নিতে আপনার উত্তর পাঠিয়ে দিন ১৫ মার্চ মঙ্গলবারের মধ্যে কালের খেয়ার ঠিকানায়। পরবর্তী কুইজে প্রথম তিন বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হবে। বিজয়ীর ঠিকানায় পৌঁছে যাবে পুরস্কার।
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস 'ঝিন্দের বন্দী' ও 'তুঙ্গভদ্রার তীরে'সহ 'কালের মন্দিরা', 'গৌর মল্লার' ইত্যাদি উপন্যাস বাংলা কথাশিল্পে তার স্বকীয়তা ও মেধার স্বাক্ষর রেখেছে। সামাজিক উপন্যাস যেমন 'জাতিস্মর', 'বিষের ধোঁয়া' বা অতিপ্রাকৃত বিষয় নিয়ে তার 'বরদা সিরিজ' ও অন্যান্য গল্প এখনও বেস্টসেলার। শরদিন্দু ছোটগল্প ও শিশুসাহিত্য রচনাতেও পারদর্শী ছিলেন। তার সৃষ্ট অন্য আরেকটি চরিত্র 'সদাশিব' মারাঠা বীর শিবাজীর অভিযানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্র নিয়ে তেত্রিশটি কাহিনি রচনা করেছেন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যোমকেশ একজন গোয়েন্দা। নিজেকে তিনি সত্যান্বেষী বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। প্রথমে শরদিন্দু অজিত চরিত্রের কলমে লিখতেন। কিন্তু পরে তিনি তৃতীয়পুরুষে লিখতে শুরু করেন ব্যোমকেশ বক্সীর কাহিনিগুলো।
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর শহরে, মাতুলালয়ে। আদিনিবাস পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যস্থিত উত্তর কলকাতার বরানগর কুঠিঘাট অঞ্চল। তার রচিত প্রথম সাহিত্য প্রকাশিত হয় ২০ বছর বয়সে, যখন তিনি কলকাতায় বিদ্যাসাগর কলেজে আইন নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। পড়াশোনার সাথেই তিনি সাহিত্য চর্চাও করতে থাকেন। তার সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী আত্মপ্রকাশ করে ১৯৩২ সালে। তারপর চার বছর ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে দশটি গল্প লেখার পর বহু বছর ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে কিছু লেখার কথা ভাবেননি, দীর্ঘ ১৫ বছর পর কলকাতায় পরিমল গোস্বামীর ছেলেমেয়েদের কাছে ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে গল্প না লেখায় অভিযোগ শোনেন, তারপর আবার ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে দীর্ঘ বছর পর লেখেন 'চিত্রচোর'।
১৯২৬ সালে পাটনা থেকে আইন পাস করেন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ওকালতি শুরু করেন। কিন্তু বেশিদিন নয়, ১৯২৯ সালে ওকালতি ছেড়ে দেন। ১৯৩৮ সালে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় পাটনা ছেড়ে মুম্বাই যান, সেখানে বোম্বে টকিজ মুভিজের জন্য স্ট্ক্রিনপ্লে লিখতে শুরু করেন কিন্তু বেশিদিন নয়- ১৯৫২ তে মুম্বাই ছেড়ে পুনে আসেন এবং সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। ২০ বছর বয়সে কলেজে পড়ার সময় শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম সাহিত্য প্রকাশিত হয়, 'যৌবন-স্মৃতি' নামক কবিতার সংকলন, যার মধ্যে ছিল বাইশটি কবিতা। পাঠকহৃদয়ে চিরস্মরণীয়ে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়েন্দা কাহিনি যেমন জনপ্রিয়, তেমনি জনপ্রিয় তার গল্প বর্ণনা রীতি, ভূতুড়ে কাহিনি হোক কিংবা ঐতিহাসিক রচনা তার কল্পনার বিস্তার; গল্পের চমক পাঠকের মনে এক ধরনের আনন্দের সঞ্চার করে।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্য রচনার প্রেরণার কথা বলতে গিয়ে লিখেছেন, 'ঐতিহাসিক গল্প লেখার প্রেরণা পাই বঙ্কিমচন্দ্র্র পগে। বঙ্কিমচন্দ্র্রের কাছ থেকেই শিখেছি ভাষার মধ্যেই বাতাবরণ সৃষ্টি করা যায়- ঐতিহাসিক বাতাবরণ' (জীবন কথা)। ১৯৭০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলা আধুনিক কথাসাহিত্যের অন্যতম মেধা শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনাবসান ঘটলেও তার সৃষ্টির মাধ্যমে আজও তিনি পাঠক হৃদয়ে অধিষ্ঠিত।
প্রশ্ন
১। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন গ্রন্থ অবলম্বনে চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন সত্যজিৎ রায়?
২। কত সালে তিনি সামরিক প্রশিক্ষণে যান?
৩। ১৯৩৬ সালের রবীন্দ্রজয়ন্তীতে বেতারে লেখদের নিয়ে 'বৈকুণ্ঠের খাতা' অভিনিত হয়। সেখানে শরদিন্দু কোন ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন?
কুইজ ৪৮-এর উত্তর
১। অল্পদর্শী
২। উপন্যাস
৩। 'বৈহাসিকের পার্শ্বচিন্তা'
কুইজ ৪৮-এর জয়ী
নকীব আব্দুল্লাহ
সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা।
মাকসুদা খাতুন
গোপাল পুর, নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
আহাম্মদ নবী
কাজী নজরুল ইসলাম রোড, সদরঘাট, চট্টগ্রাম।
নিয়ম
পাঠক, কুইজে অংশ নিতে আপনার উত্তর পাঠিয়ে দিন ১৫ মার্চ মঙ্গলবারের মধ্যে কালের খেয়ার ঠিকানায়। পরবর্তী কুইজে প্রথম তিন বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হবে। বিজয়ীর ঠিকানায় পৌঁছে যাবে পুরস্কার।
মন্তব্য করুন