তুমি টিনেজ নদী, কিছু পাগলপারা
আমি প্রাচীন দেয়াল, ঝুরো পলেস্তারা
তুমি কাচের বিষাদ, মিহি বাতাস ঝালর
আমি বেমক্কা হাত, বাঙি ব্যাথর আলো
তুমি অসম্ভবা। চিরসুপার লোটো।
আমি বাদলদিনে একা দেবব্রত
তুমি সফল পথের ধারে পরাগধানী
আমি সামান্য লোক, দুটো ম্যাজিক জানি

তাতে আধেক জোটে, থাকে আধেক দেনা
এক পাঁকাল হাতে লেখা দাঁড়াচ্ছে না।
তবু লেখাই দাঁড়ায়, ছোটে কী জোর হাওয়া-
জিয়া ধড়ক ধড়ক... যেন ট্রেনের আওয়াজ

আমি নতুন মাতাল। জমে দু'পেগ হেবি।
যদি প্রসাদ না পাই তুমি কিসের দেবী?
তুমি কীসের মহৎ তুমি কীসের উদার
যদি সাপের কামর খেয়ে মেটাই ক্ষুধা

যদি বিষের পায়েস খেয়ে হজম করি
তবে প্রসাদ পাব? তবে কভার স্টোরি?
এসো খেলাও আমায়। আমি সুরের আদল
দেখি সাহস কত, দুটো কথায় বাঁধো-

দ্যাখো বাঁধন ছিঁড়ে ওড়ে লেখার খাতা
মাথা আকাশছোঁয়া, নীচে, হ্যাঁ, কলকাতা
তারও পাড়ায়-পাড়ায় কত পাগল ছেলে
গেল নিরুদ্দেশে... তুমি আরাম পেলে

জানি আমার প্রিয়, তুমি আগুনরূপা
রাতে চিতার মতো জ্বলে তোমার দু'পাশ
জ্বলে দেমার শিখা। তবু সজাগ থেকো
হাতে সময় ঢালাও। তুমি যতই পালাও
তুমি যতই জ্বালাও
আমি আগুন খেকো।

বিষয় : শ্রীজাতের কবিতা

মন্তব্য করুন