আমি স্বরচিত। গানে ও প্লাবনে দিঘি হয়ে ছোটো, যেন তোমার চেয়ে দীর্ঘ কোনো দিক নেই। ঘন হয়ে আসে ছায়ার অন্ধকার, তাকে সত্যে নিয়ে এসো। আমি এ পৃথিবীর প্রথম পুষ্পের মতো পবিত্র। আয়নায় দ্যাখো।
এসো, অগ্নিচন্দনে রাখি দেহ, যুগলে হই নত আমাদের সীমার কাছে। স্নান কিংবা সারাংশ নিঃশেষে পুড়ে খাক। দু'চোখ দেখুক দু'চোখে দেখা যায় যতটা। বলো তারপর ভালো থাকবে তো?
না। জানি লোকাচার ভাসিয়ে দেবে লাল শাড়ি, গোখরোর দংশনে তবু কী আশ্চর্য আয়ুবাদ!
তুমি দিতে জানো, জানো নিতেও চমৎকার!
সে বাল্মিকী আমি তার সখা, তাই একা। তুমিও তো জানো এই সব কথা। তবু কেন চোখ? তবু কেন জল? তবু সমুদ্রে ত্রিতাল ঢেউ কেন এতটা রেখেছ!
বলো মেঘ জমাবার কতদূর? এই আকাশখানেক জমিয়েছি তার বাকিটা ইন্দ্রজাল। হেসে খুন আমি! খাঁচায় পুরবে আর কতটা খাঁচা? এসো দিন গুনি।
কী দিয়ে গুনবে? সংখ্যারা ভেঙেছে আকাশ ওরফে শূন্যতা।

বিষয় : পদাবলি

মন্তব্য করুন