'কোমর ও পায়ের হাড়ের সমস্যা নিয়ে দুবার ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছি। কোনো সুফল পাইনি। তবে এ ক্যাম্পে এসে চিকিৎসার ধরন দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আশা করি, নিজের এলাকায়ই ভালো চিকিৎসা পাব'- খুলনার ডুমুরিয়া সুহৃদ সমাবেশ আয়োজিত মেডিকেল ক্যাম্পে এসে এসব বলছিলেন আরাজি সাজিয়াড়া গ্রামের রহিমা বেগম (৫৫)।

'দীর্ঘদিন ধরে দুই পায়ের গোড়ালিতে হাড়ে ব্যথা নিয়ে ভুগছিলাম। চিকিৎসা নিয়েও কোনো ফল পাইনি। এই ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে এখন বেশ ভালো আছি। যারা এমন আয়োজন করছে তাদের জন্য আশীর্বাদ রইল।' ডুমুরিয়া সদরে চা বিক্রেতা বিধবা তৃপ্তি রানী অধিকারী (৪৫) চিকিৎসা পেয়ে এভাবেই অনুভূতি ব্যক্ত করেন। শুধু রহিমা বেগম বা তৃপ্তি রানী নয়, শংকরি অধিকারী, রোকেয়া বেগম, মতিয়ার রহমান, রোবেনা সুলতানা, দেবু দেবনাথসহ অনেকেই সেবা পেয়ে ইতিবাচক অনুভূতি ব্যক্ত করেন। সবার প্রত্যাশা, চিকিৎসকরা যেন এই অজপাড়াগাঁয়ে এমন আয়োজন নিয়মিতভাবে পরিচালনা করেন।
সারাদেশে সুহৃদ সমাবেশ জনকল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডুমুরিয়ার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা তৈরির জন্য সভার আয়োজন করা হয়। ৩১ মে মঙ্গলবার দিনব্যাপী এ আয়োজনে ৩৪ দরিদ্র নারী-পুরুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।

ডুমুরিয়া সুহৃদ সভাপতি ড. তাজিয়া সরকারের উদ্যোগ এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডুমুরিয়ার সুহৃদ সদস্যরা স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পের আগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচার-প্রচারণা চালান। নির্ধারিত উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নে গুটুদিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী সমাজসেবক শেখ আকরামের বাসভবনে এ আয়োজনে দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সের মানুষ চিকিৎসা নিতে আসেন।

সুহৃদ সমাবেশের সার্বিক সহযোগিতায় ক্যাম্পটি তত্ত্বাবধান করেন সংশ্নিষ্ট ইউনিয়নের শিক্ষক জেসমিন আক্তার জুঁই। স্বাস্থ্যসেবা দেন ডুমুরিয়া ঢাকা ব্যাক ইন মোশান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আব্দুল্লহ ইউসুফ। উপস্থিত ছিলেন সুহৃদ মশিউর রহমান সবুজ, শেখ ছালাম প্রমুখ।
ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি