দিন দিন মানুষের আগ্রহ বাড়ছে ছাদবাগানে। করোনা মহামারিতে মানুষ ঘরবন্দি থাকার সময় অনুভব করেছেন ছাদকৃষি কতটা জরুরি। পরিবারের সারা বছরের ফল-সবজির জোগান দেয় একটু টুকরো ছাদ। হাঁটাহাঁটি করে সময় কাটানো বা কাপড় শুকানোর পাশাপাশি ১০-১২টি টবের জায়গা করে দিলে, সেখানে পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষটির তত্ত্বাবধানেও গড়ে উঠতে পারে ছাদকৃষি।

সিলেটে নগর কৃষিবিষয়ক নতুন প্রযুক্তি নিয়ে এলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক চন্দ্র কান্ত দাশ। বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের অর্থায়নে কৃষি অনুষদ ভবনের ছাদে গড়ে তোলা হয়েছে এই ছাদবাগান। মোট ২ হাজার ৩০০ বর্গফুট জায়গায় ফলদ-ভেষজ গাছের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে নানা দেশি-বিদেশি প্রজাতির ফুল গাছ।

২২ প্রজাতির সবজি, ৩৫ প্রজাতির ফল, ৩০ প্রজাতির ফুল, ১৩ প্রজাতির মসলা এবং ইনডোর প্লান্ট, সাকুলেন্ট ও ক্যাকটাস মিলে মোট ১৬৫টিরও অধিক প্রজাতির গাছ লাগিয়েছেন। ফুল ও ফল গাছের সারিগুলো তিনি এমনভাবে সাজিয়েছেন যেন ফল গাছের পরাগায়নে সুবিধা হয়। পরাগায়নের সুবিধার্থে তিনি ছাদে কয়েকটি মৌচাক বক্স স্থাপন করেছেন। অধ্যাপক চন্দ্র কান্ত দাশ বলেন, 'প্রাথমিক অবস্থায় শখের বসেই কয়েকটি টব দিয়ে শুরু করা উচিত। ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে সবজি, ফল, ফুলসহ চাইলে কেউ বাণিজ্যিকভাবেও ছাদকৃষি করতে পারেন। তবে ছাদবাগানে সফল হতে চাইলে শুরু থেকেই পরিকল্পিতভাবে করতে হবে।' া