- ফিচার
- অভিভাবকত্বের বিজ্ঞান
অভিভাবকত্বের বিজ্ঞান

অভিভাবকত্ব একটি বিজ্ঞান। সেটির ধরন বদলেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। অভিভাবকত্বের ওপর নির্ভর করে শিশুর মানসিক গঠন। অতিরিক্ত শাসন বা প্রশ্রয় কোনোটিই ভালো নয়। শিশুদের যদি দায়িত্ব ও অনুভূতিশীল করে গড়ে তোলা না হয়, তাহলে সে বড় হয়ে বাবা-মায়ের দায়িত্ব নেবে না। কারণ তার ভেতরে সেই মানসিকতা গড়ে তোলা হয়নি।
যৌথ পরিবারে শিশুরা অনুভূতি বা মনের কথা বিনিময়ের সুযোগ পেত। এখন সে সুযোগটা অনেক কমে গেছে। সে ক্ষেত্রে একটু বেশি যত্ন নিয়ে বা সময় দিয়ে সংবেদনশীল মানসিকতা গড়ে তোলার দায়িত্ব বাবা-মায়ের।
শৈশব থেকেই বেড়ে ওঠার বিভিন্ন পর্যায়ে বয়স অনুযায়ী দায়িত্ব নিতে শেখানো উচিত। এতে সে পারিবারিক, সামাজিক, নৈতিক দায়িত্বগুলো নিতে মানসিক দিক থেকেই তাগিদ অনুভব করবে। কিন্তু বর্তমানে গতানুগতিক স্রোতে গা ভাসাতে গিয়ে আমরা সন্তানদের ডিভাইসনির্ভর করে গড়ে তুলছি। তাতে শিশু বেড়ে উঠছে ভার্চুয়াল বিশ্বে, জীবনের সঙ্গে সংশ্নিষ্টতা তৈরি হচ্ছে না। এ দায়ভার তো বাবা-মাকেই নিতে হবে।
এমন প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যখন সে বড় হচ্ছে, তখন মানবীয় আবেগ-অনুভূতি তৈরি হচ্ছে না। পেশাগত চাপ নিতে না পারা, ব্যক্তি বা পারিবারিক জীবনের আরাম-আয়েশ, শান্তি বা স্বাচ্ছন্দ্য হারিয়ে ফেলছে, অল্পতেই উদ্বিগ্ন বা রেগে যাচ্ছে। সব সময় ইচ্ছাকৃতভাবে বাবা-মা এটা করছেন, তাও নয়। অনেক সময় তাঁরা মনে করছেন, হয়তো এতে সন্তানের ভালো হবে। অভিভাবকত্বের বিষয়ে বাবা-মায়ের সচেতনতার বিকল্প নেই।
লেখক :সহযোগী অধ্যাপক
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
যৌথ পরিবারে শিশুরা অনুভূতি বা মনের কথা বিনিময়ের সুযোগ পেত। এখন সে সুযোগটা অনেক কমে গেছে। সে ক্ষেত্রে একটু বেশি যত্ন নিয়ে বা সময় দিয়ে সংবেদনশীল মানসিকতা গড়ে তোলার দায়িত্ব বাবা-মায়ের।
শৈশব থেকেই বেড়ে ওঠার বিভিন্ন পর্যায়ে বয়স অনুযায়ী দায়িত্ব নিতে শেখানো উচিত। এতে সে পারিবারিক, সামাজিক, নৈতিক দায়িত্বগুলো নিতে মানসিক দিক থেকেই তাগিদ অনুভব করবে। কিন্তু বর্তমানে গতানুগতিক স্রোতে গা ভাসাতে গিয়ে আমরা সন্তানদের ডিভাইসনির্ভর করে গড়ে তুলছি। তাতে শিশু বেড়ে উঠছে ভার্চুয়াল বিশ্বে, জীবনের সঙ্গে সংশ্নিষ্টতা তৈরি হচ্ছে না। এ দায়ভার তো বাবা-মাকেই নিতে হবে।
এমন প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যখন সে বড় হচ্ছে, তখন মানবীয় আবেগ-অনুভূতি তৈরি হচ্ছে না। পেশাগত চাপ নিতে না পারা, ব্যক্তি বা পারিবারিক জীবনের আরাম-আয়েশ, শান্তি বা স্বাচ্ছন্দ্য হারিয়ে ফেলছে, অল্পতেই উদ্বিগ্ন বা রেগে যাচ্ছে। সব সময় ইচ্ছাকৃতভাবে বাবা-মা এটা করছেন, তাও নয়। অনেক সময় তাঁরা মনে করছেন, হয়তো এতে সন্তানের ভালো হবে। অভিভাবকত্বের বিষয়ে বাবা-মায়ের সচেতনতার বিকল্প নেই।
লেখক :সহযোগী অধ্যাপক
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
মন্তব্য করুন