
প্রফেট ও জিবরান, লেখক-জাহানারা পারভীন, প্রকাশক-কথাপ্রকাশ, মূল্য-৩০০ টাকা
'প্রফেট ও জিবরান' গ্রন্থটি জীবন ও সাহিত্যবিষয়ক। এটির সৃষ্টিতে লেখক জাহানারা পারভীনের সময় লেগেছে প্রায় এক যুগ। কাহলিল জিবরানের 'দ্য প্রফেট' সাহিত্যের ইতিহাসে যে বিস্ময় তৈরি করেছে, 'প্রফেট ও জিবরান' গ্রন্থে লেখক তারই আলোকপাত করেছেন। যুগের পর যুগ দ্য প্রফেট পাঠকের মনে দাগ কেটেছে। এখনও সাহিত্যানুরাগী পাঠকমাত্রই এ গ্রন্থ সম্পর্কে জানেন এবং জানাতে চান। তারই ধারাবাহিকতায় দ্য প্রফেট গ্রন্থের বিষয়াবলি আরও সহজবোধ্য করে পাঠকের সামনে তুলে ধরার কাজটি করেছেন জাহানারা পারভীন।
লেবাননের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা এক বালক। যিনি পরবর্তী সময়ে বেড়ে ওঠেন আমেরিকায়। শিল্প ও শিল্পসত্তার প্রতি অগাধ প্রেমবোধ থেকেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন সময়ের সেরা কবি। আরব বিশ্বে জিবরানকে সাহিত্য ও রাজনৈতিক বিদ্রোহী হিসেবে দেখা হয়। আধুনিক আরবি সাহিত্যের রেনেসাঁয় তাঁর রোমান্টিক ধারা ধ্রুপদি ধারা থেকে আলাদাভাবে জায়গা করে নিয়েছে, বিশেষত তার গদ্য কবিতা। লেবাননে এখনও সাহিত্যের বীর হিসেবে সম্মানিত হন কাহলিল জিবরান।
কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত 'প্রফেট ও জিবরান' গ্রন্থটিতে লেখক সূচিক্রম সাজিয়েছেন এভাবে- আত্মার অসুখ সারানোর দাওয়াই, এপ্রিলের আলোয় লেখা, এ স্ট্রেঞ্জ লিটল বুক, মৃত্যুর প্রেমে পড়া হৃদয়, পশ্চিমের পথে পূর্বের বাঁশিওয়ালা, সন্ন্যাসীর আশ্রম, জাগতিক বিস্ময়, অজাগতিক আলো, জীবনের জীয়নকাঠি, সে তোমাকে ছুড়ে দেবে পবিত্র আগুনে, দৃশ্যান্তরের দুনিয়া, শেকড়ের কাছে ফেরা এবং গ্যালারি।
গ্যালারি অধ্যায়ে তিনি মূলত কিছু বিখ্যাত চিত্রকর্ম যুক্ত করেছেন। সেখানে কিশোর জিবরানের স্থিরচিত্র যুক্ত রয়েছে। আরও যুক্ত করা হয়েছে জিবরানের আঁকা চিত্রকর্ম। যেগুলো দেখলে তাঁর চিত্রশিল্পের প্রতি যে অগাধ ভালোবাসা, নেশা ছিল সেটি ধারণা করা যাবে।
জাহানারা পারভীন রচিত গ্রন্থটি পড়ে দ্য প্রফেটের কেন্দ্রীয় চরিত্র আল মোস্তাফা সম্পর্কে স্পষ্ট একটি ধারণা পাওয়া যায়। আসলে কে এই আল মুস্তাফা? তিনি কি জিবরানের মানসপুত্র? তাঁর ছায়া, না আত্মপ্রতিকৃতি? এই আল মোস্তাফার ভেতরেই কি কাহলিল জিবরান লুকিয়ে রয়েছেন? এ যেন এক গভীর রহস্য! জিবরান কোথায় পেলেন এ রকম একটি চরিত্র সৃষ্টির অনুপ্রেরণা- এ নিয়ে বহু গবেষণা রয়েছে। তবে সবকিছু ধোঁয়াশাই রেখেছেন কাহলিল জিবরান।
আল মোস্তাফা বারো বছর ধরে অপেক্ষা করছেন জাহাজের জন্য, যাতে করে তিনি তাঁর স্বদেশে ফিরে যেতে পারেন। এই বারোটি বছর তিনি কাটিয়েছেন ওরফেলিসে। আল মোস্তাফার একাকী সময়, দুঃখের সময়ের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে ওই দেশের মানুষ ও মাটি। একদিন পাহাড়ের ওপর উঠে তিনি তাঁর জন্য আসা জাহাজ দেখতে পেলেন। জাহাজে স্বদেশিরা তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল। তাঁর মন আনন্দে ভরে উঠল। আবার একই সঙ্গে তাঁকে বিষণ্ণতায়ও ঘিরে ধরল। কারণ এই বারো বছরে তিনি ওরফেলিসের জনগণের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাই বিদায় বেলায় এই দুঃখ তাঁকে জর্জরিত করে ফেলে। 'দ্য প্রফেট' গ্রন্থটিতে প্রতিটি অনুচ্ছেদে আছে কাব্যিক ঢঙে জীবনের নানা দিকের দার্শনিক উপস্থাপন। আলামিত্রা নামক জনৈক নারীর ভালোবাসাবিষয়ক প্রশ্নের মাধ্যমেই মূলত পুস্তকের শুরু। একে একে কবি, কৃষক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, পান্থশালার মালিকসহ নগরের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন তোলে। প্রতি ক্ষেত্রে আল মোস্তাফার সস্নেহ উত্তর স্বভাবতই হৃদয়গ্রাহী।
গ্রন্থটিতে জিবরানের নিজের আঁকা ১২টি চিত্রকর্মও স্থান পেয়েছিল। এজন্যই শেকসপিয়ার আর লাউজির পরে জিবরানের বই-ই এখন পর্যন্ত সব থেকে বেশি বিক্রীত বই। সে গ্রন্থের প্রেক্ষাপট নিয়ে জাহানারা পারভীন লিখেছেন 'প্রফেট ও জিবরান', যা এক ভিন্ন মাত্রা ও বিস্ময় তৈরি করেছে।
'যে তোমাকে ছুড়ে দেবে পবিত্র আগুনে' অধ্যায়ে জিবরান ও মেরির দাম্পত্য জীবনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তাঁদের প্রেম ছিল নিস্কাম। পুরোপুরি আত্মিক। কিন্তু জিবরান ছিলেন পুরোপুরি মেরির ওপর নির্ভরশীল। জীবনের যে কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মেরির সঙ্গে আলোচনা করে নিতেন। যে কোনো সংকটে মেরির সাহায্য চেয়েছেন। দ্য প্রফেট প্রকাশের পরের বছর ব্যবসায় লোকসানের পরও মেরির পরামর্শ চেয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, মেরিই একমাত্র তাঁকে সঠিক বুদ্ধি-পরামর্শ দিতে পারেন। তিনি লিখেছেন-
'দুজনেই চেষ্টা করছি নিজেদের অস্তিত্বের সীমা স্পর্শ করতে। অতীতের মহৎ কবিরা সব সময় জীবনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। কোনো কিছু প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেননি। কোনো কিছুর জট খোলা বা গোপনীয়তা ভাঙতে চাননি। নিজের আত্মাকে আবেগের কাছে সমর্পিত হতে দিয়েছেন। মানুষ সব সময় নিরাপত্তা চায়। কখনও কখনও পেয়েও যায়। কিন্তু নিরাপত্তারও একটা সীমা আছে ...।'
মেরির সারাজীবনের আকুতি ছিল জিবরানের প্রেমিকার স্বীকৃতি। কিন্তু জিবরানের ছিল শঙ্কা, আশঙ্কা। ছিল হাজারো দ্বিমত; যা মেরিকে বারবার আঘাত করেছে। তিক্ততা, বিরক্ত মনোভাব থেকে আস্তে আস্তে তাঁরা বেরিয়ে আসেন। মেরিই হয়ে উঠেন জিবরানের লেখার একমাত্র পরামর্শক, সম্পাদক। কিন্তু এরপরও জীবদ্দশায় কাছের মানুষ জানতেই পারেননি এ সম্পর্কের কথা!
প্রফেট ও জিবরান গ্রন্থটি কাহলিল জিবরানের জীবন-দর্শন-রাজনীতি সম্পর্কে জানার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পাঠক তাঁর নিজ প্রয়োজনেই গ্রন্থটি পাঠ করুক। এর আলো ছড়িয়ে পড়ুক চিন্তাশীল-মননশীল পাঠকগোষ্ঠীর মধ্যে।
এ গ্রন্থের লেখক জাহানারা পারভীন সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তবে তাঁর মূল পরিচয়, তিনি একজন কবি। কবিতার সঙ্গেই তাঁর নিত্যবাস। কবিতার জন্য পেয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃত্তিবাস পুরস্কার, জাতীয় কবিতা পরিষদের শামসুর রাহমান সম্মাননা, শব্দগুচ্ছ পুরস্কার, ছোটকাগজ চৈত্রসংক্রান্তি সম্মাননা।
লেবাননের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা এক বালক। যিনি পরবর্তী সময়ে বেড়ে ওঠেন আমেরিকায়। শিল্প ও শিল্পসত্তার প্রতি অগাধ প্রেমবোধ থেকেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন সময়ের সেরা কবি। আরব বিশ্বে জিবরানকে সাহিত্য ও রাজনৈতিক বিদ্রোহী হিসেবে দেখা হয়। আধুনিক আরবি সাহিত্যের রেনেসাঁয় তাঁর রোমান্টিক ধারা ধ্রুপদি ধারা থেকে আলাদাভাবে জায়গা করে নিয়েছে, বিশেষত তার গদ্য কবিতা। লেবাননে এখনও সাহিত্যের বীর হিসেবে সম্মানিত হন কাহলিল জিবরান।
কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত 'প্রফেট ও জিবরান' গ্রন্থটিতে লেখক সূচিক্রম সাজিয়েছেন এভাবে- আত্মার অসুখ সারানোর দাওয়াই, এপ্রিলের আলোয় লেখা, এ স্ট্রেঞ্জ লিটল বুক, মৃত্যুর প্রেমে পড়া হৃদয়, পশ্চিমের পথে পূর্বের বাঁশিওয়ালা, সন্ন্যাসীর আশ্রম, জাগতিক বিস্ময়, অজাগতিক আলো, জীবনের জীয়নকাঠি, সে তোমাকে ছুড়ে দেবে পবিত্র আগুনে, দৃশ্যান্তরের দুনিয়া, শেকড়ের কাছে ফেরা এবং গ্যালারি।
গ্যালারি অধ্যায়ে তিনি মূলত কিছু বিখ্যাত চিত্রকর্ম যুক্ত করেছেন। সেখানে কিশোর জিবরানের স্থিরচিত্র যুক্ত রয়েছে। আরও যুক্ত করা হয়েছে জিবরানের আঁকা চিত্রকর্ম। যেগুলো দেখলে তাঁর চিত্রশিল্পের প্রতি যে অগাধ ভালোবাসা, নেশা ছিল সেটি ধারণা করা যাবে।
জাহানারা পারভীন রচিত গ্রন্থটি পড়ে দ্য প্রফেটের কেন্দ্রীয় চরিত্র আল মোস্তাফা সম্পর্কে স্পষ্ট একটি ধারণা পাওয়া যায়। আসলে কে এই আল মুস্তাফা? তিনি কি জিবরানের মানসপুত্র? তাঁর ছায়া, না আত্মপ্রতিকৃতি? এই আল মোস্তাফার ভেতরেই কি কাহলিল জিবরান লুকিয়ে রয়েছেন? এ যেন এক গভীর রহস্য! জিবরান কোথায় পেলেন এ রকম একটি চরিত্র সৃষ্টির অনুপ্রেরণা- এ নিয়ে বহু গবেষণা রয়েছে। তবে সবকিছু ধোঁয়াশাই রেখেছেন কাহলিল জিবরান।
আল মোস্তাফা বারো বছর ধরে অপেক্ষা করছেন জাহাজের জন্য, যাতে করে তিনি তাঁর স্বদেশে ফিরে যেতে পারেন। এই বারোটি বছর তিনি কাটিয়েছেন ওরফেলিসে। আল মোস্তাফার একাকী সময়, দুঃখের সময়ের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে ওই দেশের মানুষ ও মাটি। একদিন পাহাড়ের ওপর উঠে তিনি তাঁর জন্য আসা জাহাজ দেখতে পেলেন। জাহাজে স্বদেশিরা তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল। তাঁর মন আনন্দে ভরে উঠল। আবার একই সঙ্গে তাঁকে বিষণ্ণতায়ও ঘিরে ধরল। কারণ এই বারো বছরে তিনি ওরফেলিসের জনগণের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাই বিদায় বেলায় এই দুঃখ তাঁকে জর্জরিত করে ফেলে। 'দ্য প্রফেট' গ্রন্থটিতে প্রতিটি অনুচ্ছেদে আছে কাব্যিক ঢঙে জীবনের নানা দিকের দার্শনিক উপস্থাপন। আলামিত্রা নামক জনৈক নারীর ভালোবাসাবিষয়ক প্রশ্নের মাধ্যমেই মূলত পুস্তকের শুরু। একে একে কবি, কৃষক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, পান্থশালার মালিকসহ নগরের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন তোলে। প্রতি ক্ষেত্রে আল মোস্তাফার সস্নেহ উত্তর স্বভাবতই হৃদয়গ্রাহী।
গ্রন্থটিতে জিবরানের নিজের আঁকা ১২টি চিত্রকর্মও স্থান পেয়েছিল। এজন্যই শেকসপিয়ার আর লাউজির পরে জিবরানের বই-ই এখন পর্যন্ত সব থেকে বেশি বিক্রীত বই। সে গ্রন্থের প্রেক্ষাপট নিয়ে জাহানারা পারভীন লিখেছেন 'প্রফেট ও জিবরান', যা এক ভিন্ন মাত্রা ও বিস্ময় তৈরি করেছে।
'যে তোমাকে ছুড়ে দেবে পবিত্র আগুনে' অধ্যায়ে জিবরান ও মেরির দাম্পত্য জীবনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তাঁদের প্রেম ছিল নিস্কাম। পুরোপুরি আত্মিক। কিন্তু জিবরান ছিলেন পুরোপুরি মেরির ওপর নির্ভরশীল। জীবনের যে কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মেরির সঙ্গে আলোচনা করে নিতেন। যে কোনো সংকটে মেরির সাহায্য চেয়েছেন। দ্য প্রফেট প্রকাশের পরের বছর ব্যবসায় লোকসানের পরও মেরির পরামর্শ চেয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, মেরিই একমাত্র তাঁকে সঠিক বুদ্ধি-পরামর্শ দিতে পারেন। তিনি লিখেছেন-
'দুজনেই চেষ্টা করছি নিজেদের অস্তিত্বের সীমা স্পর্শ করতে। অতীতের মহৎ কবিরা সব সময় জীবনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। কোনো কিছু প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেননি। কোনো কিছুর জট খোলা বা গোপনীয়তা ভাঙতে চাননি। নিজের আত্মাকে আবেগের কাছে সমর্পিত হতে দিয়েছেন। মানুষ সব সময় নিরাপত্তা চায়। কখনও কখনও পেয়েও যায়। কিন্তু নিরাপত্তারও একটা সীমা আছে ...।'
মেরির সারাজীবনের আকুতি ছিল জিবরানের প্রেমিকার স্বীকৃতি। কিন্তু জিবরানের ছিল শঙ্কা, আশঙ্কা। ছিল হাজারো দ্বিমত; যা মেরিকে বারবার আঘাত করেছে। তিক্ততা, বিরক্ত মনোভাব থেকে আস্তে আস্তে তাঁরা বেরিয়ে আসেন। মেরিই হয়ে উঠেন জিবরানের লেখার একমাত্র পরামর্শক, সম্পাদক। কিন্তু এরপরও জীবদ্দশায় কাছের মানুষ জানতেই পারেননি এ সম্পর্কের কথা!
প্রফেট ও জিবরান গ্রন্থটি কাহলিল জিবরানের জীবন-দর্শন-রাজনীতি সম্পর্কে জানার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পাঠক তাঁর নিজ প্রয়োজনেই গ্রন্থটি পাঠ করুক। এর আলো ছড়িয়ে পড়ুক চিন্তাশীল-মননশীল পাঠকগোষ্ঠীর মধ্যে।
এ গ্রন্থের লেখক জাহানারা পারভীন সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তবে তাঁর মূল পরিচয়, তিনি একজন কবি। কবিতার সঙ্গেই তাঁর নিত্যবাস। কবিতার জন্য পেয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃত্তিবাস পুরস্কার, জাতীয় কবিতা পরিষদের শামসুর রাহমান সম্মাননা, শব্দগুচ্ছ পুরস্কার, ছোটকাগজ চৈত্রসংক্রান্তি সম্মাননা।
মন্তব্য করুন