- ফিচার
- রহিমের গাছের চারা তুরস্কে
রহিমের গাছের চারা তুরস্কে

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে উন্নত জাতের মাল্টার বাগানে আব্দুর রহিম-সমকাল
জীবিকার সন্ধানে কয়েক বছর আগে বাড়ি ছেড়েছিলেন আব্দুর রহিম। ঢাকার জিরানী বাজার এলাকায় রাস্তার পাশে ফুটপাতে খোলেন মুদি দোকান। একদিন রাস্তা সম্প্রসারণের সময় তার দোকানটি ভেঙে ফেলা হয়। ব্যবসা হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন। নিরাশ হয়ে আবার ফেরেন গ্রামের বাড়িতে। কিন্তু হাল ছাড়েননি। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সেই আব্দুর রহিমই এখন সফল উদ্যোক্তা। তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে গাছের চারা। তিনি এখন চারা রপ্তানি করেন তুরস্কে। তার নার্সারিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির চারা। গাছের চারা বিক্রি করে এখন প্রতি মাসে তাঁর গড় আয় এক লাখ টাকার বেশি। কৃষি বিভাগ থেকে রহিম পেয়েছেন বিশেষ সম্মাননা।
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কিশামত দশলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম গাছের চারা বিক্রিতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়েছেন। তার নার্সারিতে উৎপাদিত চারার ৬০ শতাংশই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।
নিজ গ্রামে ২০১৯ সালে সামান্য জমি ভাড়া নিয়ে নার্সারি শুরু করেন রহিম। নার্সারির জমির পরিমাণ এখন প্রায় ২০ বিঘা। প্রতিদিন সেখানে কাজ করেন ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক। সব কিছু দেখভালের জন্য সঙ্গে নিয়েছেন ছোট ভাই সাইফুল ইসলামকে। তাঁদের চারা আশপাশের জেলায় হোম ডেলিভারির ব্যবস্থাও রেখেছেন।
তার নার্সারিতে আছে দেশি-বিদেশি ফলের চারাসহ শতাধিক প্রজাতির চারা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিদেশি জাতের সূর্য ডিম ফল (জাপান), চিয়াংমাই ফল (চায়না), থাই জাম্বুরা, দার্জিলিং কমলা, থাই-১২ মাসি আম, থ্রিটেজ ফল, কিং অফ ফল, ডকমাই ফল, ফিনিক্স প্লান্ট ও লংগন। আছে মাল্টা বারী-১ এবং বারী-২ জাত, কদবেল, আনারস চারা, লেবু-ছিটলেজ, মিষ্টি কামরাঙা চারা, লটকন ও আমের চারা।
কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বসুনিয়া বলেন, সাদুল্যাপুর উপজেলার আয়তন ও জনবসতি অনুযায়ী চারা উৎপাদনে তিন শতাধিক নার্সারি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে নার্সারি আছে ১০২টি। তাদের মধ্যে সেরা আব্দুর রহিমের নার্সারি। উত্তরাঞ্চল থেকে তিনিই প্রথম বিদেশে চারা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন।
আব্দুর রহিম জানান, 'সাতভাই ডটকম অনলাইন নার্সারি'র মাধ্যমে তিনি বিদেশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিক্রি শুরু করেন। তুরস্কের 'নেচার গার্ডেন ফ্লাওয়ার সেল সেন্টার' তার প্রথম বিদেশি গ্রাহক। তাদের কাছে বিক্রি করা ১৫ হাজার ২০২ মার্কিন ডলার মূল্যের চারা পাঠানো হয় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর। এর পর ওই দেশেই দ্বিতীয়বার চারা পাঠানো হয় চলতি বছরের ১৫ জুন। সাদুল্যাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে চারাগুলো তুরস্কে নেওয়া হয়। বিদেশে রপ্তানির আগে এসব চারায় 'পোকা-মাকড়ের আক্রমণ' নেই মর্মে কৃষি বিভাগ থেকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়েছে।
বিদেশে রপ্তানি করা চারার মধ্যে রয়েছে লংগন ফল, স্টার ফ্রুটস, ক্রিসমাস প্ল্যান্ট, ফিনিক্স প্লান্ট, অ্যাডেনিয়াম, বিলিম্বি, আম, লিচু, কাঁঠাল, জামরুল, লটকন, শিমুল, রামফুল, বকুল ফুল এবং বিভিন্ন কাঠের গাছের চারা।
আব্দুর রহিমের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে 'সাতভাই ডটকম অনলাইন নার্সারি'র মাধ্যমে জাপান, কেনিয়া ও আফ্রিকা থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে চারার জন্য। তাদের নার্সারি থেকে প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকার চারা বিক্রি হচ্ছে।
বিদেশে গাছের চারা রপ্তানিকারক হিসেবে গত মাসে আব্দুর রহিমকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
দামোদরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আব্দুর রহিমকে অনুসরণ করে আরও অনেকে নার্সারি ব্যবসায় এগিয়ে আসছেন।
ইউএনও রোকসানা বেগম বলেন, যাঁরা নিজেকে কর্মহীন-বেকার ভাবেন, তাঁরা আব্দুর রহিমকে দেখে শিক্ষা নিতে পারেন।
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কিশামত দশলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম গাছের চারা বিক্রিতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়েছেন। তার নার্সারিতে উৎপাদিত চারার ৬০ শতাংশই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।
নিজ গ্রামে ২০১৯ সালে সামান্য জমি ভাড়া নিয়ে নার্সারি শুরু করেন রহিম। নার্সারির জমির পরিমাণ এখন প্রায় ২০ বিঘা। প্রতিদিন সেখানে কাজ করেন ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক। সব কিছু দেখভালের জন্য সঙ্গে নিয়েছেন ছোট ভাই সাইফুল ইসলামকে। তাঁদের চারা আশপাশের জেলায় হোম ডেলিভারির ব্যবস্থাও রেখেছেন।
তার নার্সারিতে আছে দেশি-বিদেশি ফলের চারাসহ শতাধিক প্রজাতির চারা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিদেশি জাতের সূর্য ডিম ফল (জাপান), চিয়াংমাই ফল (চায়না), থাই জাম্বুরা, দার্জিলিং কমলা, থাই-১২ মাসি আম, থ্রিটেজ ফল, কিং অফ ফল, ডকমাই ফল, ফিনিক্স প্লান্ট ও লংগন। আছে মাল্টা বারী-১ এবং বারী-২ জাত, কদবেল, আনারস চারা, লেবু-ছিটলেজ, মিষ্টি কামরাঙা চারা, লটকন ও আমের চারা।
কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বসুনিয়া বলেন, সাদুল্যাপুর উপজেলার আয়তন ও জনবসতি অনুযায়ী চারা উৎপাদনে তিন শতাধিক নার্সারি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে নার্সারি আছে ১০২টি। তাদের মধ্যে সেরা আব্দুর রহিমের নার্সারি। উত্তরাঞ্চল থেকে তিনিই প্রথম বিদেশে চারা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন।
আব্দুর রহিম জানান, 'সাতভাই ডটকম অনলাইন নার্সারি'র মাধ্যমে তিনি বিদেশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিক্রি শুরু করেন। তুরস্কের 'নেচার গার্ডেন ফ্লাওয়ার সেল সেন্টার' তার প্রথম বিদেশি গ্রাহক। তাদের কাছে বিক্রি করা ১৫ হাজার ২০২ মার্কিন ডলার মূল্যের চারা পাঠানো হয় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর। এর পর ওই দেশেই দ্বিতীয়বার চারা পাঠানো হয় চলতি বছরের ১৫ জুন। সাদুল্যাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে চারাগুলো তুরস্কে নেওয়া হয়। বিদেশে রপ্তানির আগে এসব চারায় 'পোকা-মাকড়ের আক্রমণ' নেই মর্মে কৃষি বিভাগ থেকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়েছে।
বিদেশে রপ্তানি করা চারার মধ্যে রয়েছে লংগন ফল, স্টার ফ্রুটস, ক্রিসমাস প্ল্যান্ট, ফিনিক্স প্লান্ট, অ্যাডেনিয়াম, বিলিম্বি, আম, লিচু, কাঁঠাল, জামরুল, লটকন, শিমুল, রামফুল, বকুল ফুল এবং বিভিন্ন কাঠের গাছের চারা।
আব্দুর রহিমের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে 'সাতভাই ডটকম অনলাইন নার্সারি'র মাধ্যমে জাপান, কেনিয়া ও আফ্রিকা থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে চারার জন্য। তাদের নার্সারি থেকে প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকার চারা বিক্রি হচ্ছে।
বিদেশে গাছের চারা রপ্তানিকারক হিসেবে গত মাসে আব্দুর রহিমকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
দামোদরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আব্দুর রহিমকে অনুসরণ করে আরও অনেকে নার্সারি ব্যবসায় এগিয়ে আসছেন।
ইউএনও রোকসানা বেগম বলেন, যাঁরা নিজেকে কর্মহীন-বেকার ভাবেন, তাঁরা আব্দুর রহিমকে দেখে শিক্ষা নিতে পারেন।
মন্তব্য করুন