- ফিচার
- রূপচর্চায় তুলসী-পুদিনা
রূপচর্চায় তুলসী-পুদিনা

বাড়ির উঠান কিংবা বারান্দার টবে লাগানো তুলসী ও পুদিনা পাতা দিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। এই দুটি ভেষজ উপাদান যুগ যুগ ধরে ত্বকের যত্নে ব্যবহূত হয়ে আসছে। এগুলো কেবল স্বাস্থ্য ভালো রাখে তা নয়, ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও বাড়ায়। সঠিক নিয়ম মেনে ঘরে বসে রূপচর্চা করলে আপনার বাড়তি টাকা খরচ হবে না। সেই সঙ্গে ত্বকের কোনো ক্ষতিও হবে না।
ত্বকের যত্নে পুদিনা পাতা
ব্রণ কমায় :ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন না- এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুস্কর। এই সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে পুদিনা পাতা। পুদিনা পাতা ভিটামিন এ ও স্যালিসিলিক এসিডসমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলো ত্বক থেকে সিবাম অয়েলের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। পুদিনা পাতা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসমৃদ্ধ। তাই এই পাতা প্রদাহ দূর করার সঙ্গে সঙ্গে ব্রণও দূর করতে বেশ কার্যকরী। পুদিনা পাতা ভালো করে ধুয়ে পেস্ট করে নিন। সেই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ব্রণের দাগ দূর হবে এবং রোমকূপ পরিস্কার থাকবে।
ক্ষত নিরাময়ে কার্যকরী :ত্বকের যে কোনো ধরনের ক্ষত নিরাময়ে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। পুদিনা পাতার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বকে মশার কামড়, ক্ষত, কাটা-ছেঁড়া, চুলকানি এসব দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের আক্রান্ত স্থানে পুদিনা পাতার রস লাগিয়ে নিন। এতে ক্ষত সেরে উঠবে এবং সেই সঙ্গে কমবে ত্বকের জ্বালাপোড়া।
ত্বককে কোমল ও আর্দ্র রাখে :পুদিনা পাতা ত্বককে ভেতর থেকে কোমল ও আর্দ্র রাখতে বেশ কার্যকরী। এই পাতা কাজ করে মাইল্ড অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে। তাই পুদিনা পাতা ব্যবহারে ত্বক কোমল হয় প্রাকৃতিকভাবেই। এ ছাড়া পুদিনা পাতা রোমকূপ থেকে ময়লা বের করে ত্বককে সুন্দর ও সতেজ রাখে। ত্বকের রক্ত সঞ্চালনও উন্নত করে পুদিনা পাতা, যা ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে। পুদিনা পাতা পেস্ট করে প্রায় ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
চোখের নিচের কালো দাগ দূর :কাজের চাপ, দুশ্চিন্তা, ক্লান্তি এসব কারণে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে। প্রাকৃতিকভাবে পুদিনা পাতা দিয়ে এই দাগ দূর করা যায়। চোখের নিচের কালো দাগে পুদিনা পাতার পেস্ট লাগিয়ে রাখুন। সারারাত লাগিয়ে রাখতে হবে। সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে চোখের নিচের কালো দাগ সহজেই দূর হবে।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্যে :পুদিনা পাতার অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য ত্বকের র্যাশ ও দাগের সমস্যা দূর করে ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া সূর্যের আলোর প্রভাবে ত্বকে যে ক্ষতি হয়, তাও কমিয়ে দেয় পুদিনা পাতার রস।
ত্বকের যত্নে তুলসী পাতা
তারুণ্য ধরে রাখতে :তুলসী পাতায় আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বককে কোমল, টানটান ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তুলসী পাতা পেস্টের সঙ্গে গোলাপ জল, চন্দন বাটা মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট ১০-১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর মুখ মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ত্বকে লাবণ্য বাড়বে। ত্বক হবে আগের চেয়ে টানটান।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে :রোদে পুড়ে, মেকআপ করে বা ক্লান্তির ভারে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য দিন দিন অনেকটা মলিন হয়ে যায়। তুলসী পাতার রসের সঙ্গে লেবুর রস ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে সেই পেস্ট রাতে ঘুমানোর আগে লাগিয়ে রাখুন। কিছুটা শুকিয়ে এলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ও সতেজতা নিজেই দেখতে পাবেন।
চুলকানি ও ব্রণ প্রতিরোধে :
তুলসী পাতার পেস্টের সঙ্গে কমলার খোসার গুঁড়া মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। ৫-১০ মিনিট পর আলতো হাতে ঘষে স্ট্ক্রাবের মতো করে পেস্টটি তুলে নিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু-তিনবার ব্যবহারে ব্রণ ও ব্রণের দাগ অনেকটাই কমে আসবে। গরমের দিনে অনেকের ত্বকে র্যাশ, ঘামাচি বা চুলকানির মতো সমস্যা দেখা যায়। তুলসী পাতার পেস্টের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে সেই পেস্ট ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে চুলকানির সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। া
ত্বকের যত্নে পুদিনা পাতা
ব্রণ কমায় :ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন না- এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুস্কর। এই সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে পুদিনা পাতা। পুদিনা পাতা ভিটামিন এ ও স্যালিসিলিক এসিডসমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলো ত্বক থেকে সিবাম অয়েলের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। পুদিনা পাতা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসমৃদ্ধ। তাই এই পাতা প্রদাহ দূর করার সঙ্গে সঙ্গে ব্রণও দূর করতে বেশ কার্যকরী। পুদিনা পাতা ভালো করে ধুয়ে পেস্ট করে নিন। সেই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ব্রণের দাগ দূর হবে এবং রোমকূপ পরিস্কার থাকবে।
ক্ষত নিরাময়ে কার্যকরী :ত্বকের যে কোনো ধরনের ক্ষত নিরাময়ে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। পুদিনা পাতার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বকে মশার কামড়, ক্ষত, কাটা-ছেঁড়া, চুলকানি এসব দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের আক্রান্ত স্থানে পুদিনা পাতার রস লাগিয়ে নিন। এতে ক্ষত সেরে উঠবে এবং সেই সঙ্গে কমবে ত্বকের জ্বালাপোড়া।
ত্বককে কোমল ও আর্দ্র রাখে :পুদিনা পাতা ত্বককে ভেতর থেকে কোমল ও আর্দ্র রাখতে বেশ কার্যকরী। এই পাতা কাজ করে মাইল্ড অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে। তাই পুদিনা পাতা ব্যবহারে ত্বক কোমল হয় প্রাকৃতিকভাবেই। এ ছাড়া পুদিনা পাতা রোমকূপ থেকে ময়লা বের করে ত্বককে সুন্দর ও সতেজ রাখে। ত্বকের রক্ত সঞ্চালনও উন্নত করে পুদিনা পাতা, যা ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে। পুদিনা পাতা পেস্ট করে প্রায় ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
চোখের নিচের কালো দাগ দূর :কাজের চাপ, দুশ্চিন্তা, ক্লান্তি এসব কারণে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে। প্রাকৃতিকভাবে পুদিনা পাতা দিয়ে এই দাগ দূর করা যায়। চোখের নিচের কালো দাগে পুদিনা পাতার পেস্ট লাগিয়ে রাখুন। সারারাত লাগিয়ে রাখতে হবে। সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে চোখের নিচের কালো দাগ সহজেই দূর হবে।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্যে :পুদিনা পাতার অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য ত্বকের র্যাশ ও দাগের সমস্যা দূর করে ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া সূর্যের আলোর প্রভাবে ত্বকে যে ক্ষতি হয়, তাও কমিয়ে দেয় পুদিনা পাতার রস।
ত্বকের যত্নে তুলসী পাতা
তারুণ্য ধরে রাখতে :তুলসী পাতায় আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বককে কোমল, টানটান ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তুলসী পাতা পেস্টের সঙ্গে গোলাপ জল, চন্দন বাটা মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট ১০-১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর মুখ মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ত্বকে লাবণ্য বাড়বে। ত্বক হবে আগের চেয়ে টানটান।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে :রোদে পুড়ে, মেকআপ করে বা ক্লান্তির ভারে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য দিন দিন অনেকটা মলিন হয়ে যায়। তুলসী পাতার রসের সঙ্গে লেবুর রস ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে সেই পেস্ট রাতে ঘুমানোর আগে লাগিয়ে রাখুন। কিছুটা শুকিয়ে এলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ও সতেজতা নিজেই দেখতে পাবেন।
চুলকানি ও ব্রণ প্রতিরোধে :
তুলসী পাতার পেস্টের সঙ্গে কমলার খোসার গুঁড়া মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। ৫-১০ মিনিট পর আলতো হাতে ঘষে স্ট্ক্রাবের মতো করে পেস্টটি তুলে নিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু-তিনবার ব্যবহারে ব্রণ ও ব্রণের দাগ অনেকটাই কমে আসবে। গরমের দিনে অনেকের ত্বকে র্যাশ, ঘামাচি বা চুলকানির মতো সমস্যা দেখা যায়। তুলসী পাতার পেস্টের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে সেই পেস্ট ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে চুলকানির সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। া
বিষয় : রূপচর্চা
মন্তব্য করুন