যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁরা তো বটেই, এমনকি যাঁরা নন, তাঁদেরও দৈনন্দিন ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডাল থাকা জরুরি। বাঙালির রোজকার খাদ্য তালিকায় ডালের উপস্থিতি অপরিহার্য। সাদামাটা চেহারার এই ডাল কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর। শুধু তাই নয়, ডাল প্রোটিনের অন্যতম প্রধান উৎস। তাই যাঁরা নিরামিষ খান তাঁদের ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডাল থাকলে প্রোটিনের ঘাটতি অনেকটাই মেটানো সম্ভব।

মসুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া মসুর ডালে প্রচুর ফাইবারও থাকে। তবে শুধু প্রোটিন নয়, ডালে নানা রকমের ভিটামিন, মিনারেল এবং ফসফরাসও রয়েছে। তা ছাড়া মসুর ডালেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, আয়রন ও জিঙ্ক। মসুর ডাল পেটের যে কোনো সমস্যা দূরে রাখতেও সাহায্য করে। মসুর ডালের পাশাপাশি মুগ ডালও যথেষ্ট জনপ্রিয়। মুগ ডাল সহজপাচ্য। চাল-ডাল মেশানো খিচুড়ি খুবই পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার।

মুগ ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন এবং ফাইবার থাকে। তা ছাড়া মুগ ডাল শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। অড়হর ডালে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামিনো এসিড। তা ছাড়া অড়হর ডালে প্রচুর ভিটামিনও রয়েছে।

ছোলার ডালে প্রোটিন ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। তা ছাড়া এতে ফোলেট, আয়রন এবং ফসফরাসও রয়েছে। ছোলা কনস্টিপেশনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ছোলার ফ্যাটের বেশিরভাগই পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। ডায়াবেটিসের রোগীরাও অনায়াসে ছোলার ডাল খেতে পারেন। বিউলির ডালে রয়েছে প্রোটিন, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি প্রয়োজনীয় খনিজ। া