পরিপাটি ফ্লোর। ঝলমলে আলো খেলা করছে পুরো জায়গায়। সেখানে আছে কাঠসহ নানান জিনিস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন শিল্পকর্ম। মূল সভাকক্ষে ঢুকতেই একপাশে হ্যান্ডপেইন্ট করা হারিকেন, কুপি ইত্যাদির দেখা মিলল। আরেকটু সামনে এগোতেই দেখা মিলল পানির ফোয়ারার। আহ্‌ কী শীতল! তাড়া খাওয়া হরিণীর মতো যেন অবিরাম ঝরে পড়ছে। তার ঠিক পাশেই দেয়ালজুড়ে সবুজ ফার্নের বসবাস। একদিকে সবুজ, অন্যদিকে পানির ফোয়ারা! মনটা নিমেষেই ভালো হয়ে গেল। এবার মূল কথায় আসি। ভোজনরসিকদের জন্য ঢাকার শেরাটন হোটেল টার্কিশ খাবারের আয়োজন করেছে। সেখানে ২ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলছে টার্কিশ ফুড ফেস্টিভ্যাল। বনানীতে অবস্থিত শেরাটন হোটেলের গার্ডেন কিচেনে এ আয়োজন চলছে। গত ৩১ আগস্ট এ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়।
ঢাকার রিপাবলিক অব তুরস্কের দূতাবাস কামাল বুরাক তেমিজেল, শেরাটন ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার ড্যানিয়েল মুহর, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাকাওয়াথ হোসেন, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মহিউল ইসলাম, তুরস্কের অতিথি শেফ এবং শেরাটনের কর্মকর্তারা ফিতা কেটে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের পর টার্কিশ শেফদের খাবারের স্বাদ নেওয়ার সেশন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অতিথিরা টার্কিশ খাবারের স্ব্বাদ নিতে পেরেছেন। সেসব খাবারগুলোই ফুড ফেস্টিভ্যালে পরিবেশন করা হবে।
টার্কিশ শেফ আহমেত গুলার, সাইত দুরসন, মেহমেত আসলান এবং শেরাটন ঢাকার এরহান ডেমির এ ফেস্টিভ্যালে খাবার পরিবেশন করবেন। অতিথিরা হুংকার বেগেন্দি, বেগুন কর্নিয়ারিক, গুভেক, আলু ও টুর্টমার মতো খাঁটি টার্কিশ খাবারগুলো উপভোগ করতে পারবেন। মাংসপ্রেমীদের জন্য আছে বিখ্যাত সব কাবাব। আদানা কাবাব, উরফা কাবাব, বটি কাবাব, ল্যাম্ব শিশ এবং আরও অনেক রসালো কাবাব। তাব্বুলেহ, ফাতুশ, বেগুন দোলমা, বোস্তান সালাদ, মুয়াম্মারা, হায়দারি, ইজমে, সোগাসের মতো বিভিন্ন খাবারও উপভোগ করার সুযোগ আছে। টার্কিশ মিষ্টান্ন যেমন পিস্তা বাকলাভা, আখরোট বাকলাভা, পিস্তাচিও ডুরম, চকোলেট সেকারপেয়ার, হাভুক দিলিম এবং সোবিয়েতের স্ব্বাদ নেওয়া যাবে। গ্র্যান্ড টার্কিশ খাবার শুধু রাতের খাবারের সময় পাওয়া যাবে। এ বুফের দাম জনপ্রতি ৮ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া ১৫টির বেশি ব্যাংকের কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য রয়েছে একটি কিনলে একটি ফ্রি-এর সুবিধা। া