পরিবারের সবার জন্য অনেক কেনাকাটা হয়েছে। তবুও গহনা, সিঁদুর, আলতা কিংবা ছোট ছোট জিনিস বাদ পড়ে যায়। শেষ মুহূর্তে প্রয়োজনীয়গুলো কিনে নিতে পারেন অনলাইন থেকে। লিখেছেন অনিন্দ্য শুভ
পুরোনো শাখা জোড়ায় আর কত দিন? পূজা যে একেবারে নিকটে। সবাই ব্যস্ত নতুনের মোড়কে নিজেকে সাজাতে। এবার আপনিও পুরোনো শাখা ছেড়ে নতুন একজোড়া নিয়ে নিন। সেইসঙ্গে মঙ্গলসূত্রও বদলে নিন। শুধু এ দুটো বদলালেই কি হবে? নথ, বাজু, বালা, আংটি, মঙ্গলসূত্র, নূপুর পরে মেতে উঠুন সম্পূর্ণ বাঙালিয়ানায়। পূজার শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করতে ঢুঁঁ মারতে পারেন অনলাইনে। আজকাল অনলাইন শপগুলো বিভিন্ন উপলক্ষের সঙ্গে মিল রেখে পণ্যের পসরা সাজায়। পূজাও তার ব্যতিক্রম নয়। বেশকিছু অনলাইন শপের ফেসবুক পেজে ঢুঁঁ মেরে দেখা যায়, পূজা ও শরতের মিশেলে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এসেছে তারা। এই পেজগুলোতে শাঁখা, বালা, নথ, বাজুসহ পূজায় নিজেকে রাঙিয়ে তোলার সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে।
'ত্রিনিত্রি' নামক অনলাইন শপ নিয়ে এসেছে পূজা উপলক্ষে প্রতিমার মুখচ্ছবিওয়ালা মালা ও কানের দুল। এর কোনোটায় শুধু দেবীর মুখের ভাস্কর্য, আবার কোনোটায় শোভা পাচ্ছে অসুর-বধের পুরো দৃশ্য। এই মালা ও কানের দুলের সঙ্গে মিল রেখে আংটিও এনেছে তারা। সেখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রতিমার মুখ। এই পেজ থেকে মালা, কানের দুল কিনতে হলে আপনাকে গুনতে হবে ৪৫০ থেকে ১ হাজার টাকা। এর মধ্যে বিভিন্ন ডিজাইনের মনমতো গহনা খুঁজে নিতে পারবেন সহজেই।
'অনলাইন শপ কন্যা' পূজা উপলক্ষে নিয়ে এসেছে নজরকাড়া সব নথ, নূপুর, বাজু, কানের দুলসহ সোনা ও রুপার প্রলেপ দেওয়া জুয়েলারি সামগ্রী। এর মধ্যে মৃণালিনী নথ, নকশিকাঁথার কানের দুল, নূপুর উল্লেখযোগ্য। কন্যার সিলভার প্লেটেড নথের দাম শুরু হয়েছে ২৫০ টাকা থেকে। ৪৫০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নথের মূল্য। এই পেজটিতে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বালা। এগুলো কিনতে হলে আপনাকে একটু বেশিই খরচ করতে হবে। ডিজাইন ভিন্নতায় ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা গুনলেই বালাগুলো আপনার হাতে তার জৌলুস ছড়াবে। বাড়িয়ে তুলবে আপনার সৌন্দর্য।
এ ছাড়া গোল্ড প্লেটেড নূপুর আপনি এখানে পাবেন ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। সিলভার ও গোল্ড প্লেটেড বাজু ও আংটি পাবেন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে।
'রূপসা' নামক ভার্চুয়াল শপে পাওয়া যাচ্ছে পূজা উপলক্ষে শাড়ি ও গহনা। সম্পূর্ণ দেশীয় মোটিফে তৈরি এই শাড়ি, গহনাগুলো দেখতে দারুণ। এখানে মঙ্গলসূত্রে যুক্ত করা হয়েছে দেবীমুখের টেরাকোটা। ধুপিয়ান সিল্ক্কসহ বিভিন্ন ধরনের শাড়িতে রংতুলিতে ও সুই-সুতোয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানা নকশা। শাড়িগুলো কিনতে আপনাকে গুনতে হবে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। মঙ্গলসূত্র পাবেন আপনি ৪২০-৫০০ টাকার মধ্যে।
তবে আপনি যদি সশরীরে উপস্থিত হয়ে নেড়েচেড়ে দেখে পূজায় নিজেকে রাঙিয়ে তোলার উপকরণ কিনতে চান, তবে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গজিয়ে ওঠা বিপণিবিতানগুলোর বিকল্প নেই। পূজায় আপনাকে সাজিয়ে তুলতে এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে বিপণিবিতানগুলো। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাকের শোরুমগুলোতে এখন পূজার পোশাকে বাজার জমে উঠেছে। আড়ং থেকে শুরু করে দেশীদশ যেখানেই যাবেন, সেখানেই আপনি দেখবেন থরে থরে সাজানো রয়েছে শাড়ি, ধুতি, পাঞ্জাবিসহ হরেক রকম পোশাক। এসব শোরুম থেকে আপনি সাধ্যের মধ্যে নিতে পারেন পছন্দসই পোশাক। এ ছাড়া আপনি ঢুঁ মারতে পারেন নিউমার্কেট-গাউছিয়াতে। এখানে সাশ্রয়ী দামে পছন্দসই ব্লক, বুটিকের পোশাক, গহনা সব সংগ্রহ করতে পারবেন আপনি।
ষষ্ঠীতে পূজার শুরু দশমীতে শেষ। এ সময় নতুন শাখা পরে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন নারীরা। বিভিন্ন অনলাইন শপ থেকে সহজেই সংগ্রহ করতে পারবেন শাখা ও সিঁদুর। পাশাপাশি নতুন শাখা সিঁদুর আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন শাঁখারি বাজারে। কেননা পূজার সময় ১০০ উপাদান নিয়ে সেজে ওঠে এই শাঁখারি বাজার। ফলে শাখা সিঁদুর ছাড়াও প্রয়োজনীয় সব উপাদান পাবেন এখানে। অতএব আর দেরি কেন, দেবীকে বরণ করে নিতে নিজেকেও একটু পরিপাটি করে নিন পছন্দসই গহনা ও পোশাকে।