- ফিচার
- দশমীর রাতে ১৯ জনকে বাঁচিয়ে ‘সুপার হিরো’ বনে গেলেন ৩ তরুণ
দশমীর রাতে ১৯ জনকে বাঁচিয়ে ‘সুপার হিরো’ বনে গেলেন ৩ তরুণ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে তাদের।
প্রাণ বাঁচাতে যখন হাজার হাজার মানুষ নদী থেকে উঠে পাড়ে ছুটছে, তখন তীরে নিরাপদ অবস্থান ছেড়ে উত্তাল পাহাড়ি নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে একে একে ১৯ জনের প্রাণ বাঁচিয়ে দশমীর রাতে সাক্ষাৎ দেবদূতের ভূমিকায় হাজির হন তিন যুবক। মো. মানিক, মো. তরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম নামের ওই তরুণেরা এখন এলাকায় তো বটেই গোটা ভারতে ‘সুপার হিরো’র মর্যাদা পাচ্ছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয়েছে। তিন যুবককে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীতে চাকরি দেওয়ার ব্যাপারেও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
গত বুধবার দশমীর রাতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময় আচমকা হরপা বানে বিপর্যয় ঘটে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ডুয়ার্সের মাল নদীতে। সবাই তখন আনন্দে প্রতিমা বিসর্জন দেখছিলেন। আর সেই বিসর্জন দেখতে ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় আট হাজার মানুষ বিসর্জন ঘাটে জড় হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন তেশিমলা গ্রামের ওই তিন তরুণও। প্রতিমা বিসর্জনের সময় হঠাৎ বানে ভেসে যেতে থাকে মানুষ। তা দেখে উত্তাল পাহাড়ি নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তারা। প্রায় ১৫ ফুট উঁচু থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে একাই অন্তত ১০ জনের জীবন বাঁচান মো. মানিক। সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে তরিফুল ও ফরিদুল বাঁচান ৯ জনের প্রাণ।
উত্তাল নদীতে এ সময় পায়ে পাথরের আঘাত লাগে মানিক ও তরিকুলের। রাতেই হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদেরকে ছাড়া হয় হাসপাতাল থেকে। এই সাহসী কাজের জন্য রাতারাতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সুপার হিরো’ হয়ে ওঠেন তারা। স্থানীয় পর্যায়ে এখন নানা সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন তারা।
উল্লেখ্য, প্রতিমা বিসর্জনের সময় মাল নদীতে বানে ভেসে মৃত্যু হয় ৮ জনের। এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৩ জন।
মন্তব্য করুন