ভবিষ্যতে আর কোনো রানা প্লাজা, তাজরীন গার্মেন্টস কিংবা বিএম কন্টেইনার মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা দেখতে না চাইলে, প্রতিটি ঘর এবং কর্মক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ইলেকট্রনিক সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসাব) মহাসচিব এম মাহমুদুর রশিদ। একই সঙ্গে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে যথাযথ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রয়োগ করতে হবে বলে মত দেন তিনি।

বুধবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) আয়োজিত ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এক্সারসাইজ- ২ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

ইসাব মহাসচিব বলেন, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের চলমান অবকাঠামো উন্নয়ন বিস্ময়কর। এই উন্নয়নের অনবদ্য অংশ হচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা। সব কর্মক্ষেত্রে এ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসতে হবে সব স্তরের সচেতন মহলকে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চাকরির বাজারে এখন একটি আকর্ষণীয় ক্ষেত্র ফায়ার সেফটি, সিকিউরিটি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা। এখানে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এই খাতে ইতিমধ্যেই প্রায় ৫ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ক্রমাগত বাড়ছে এর পরিধি। 


কর্মশালায় ইসাবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পরিবেশন করেন সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির উদ্দিন আহমেদ। তিনি দেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সময়ের দুর্ঘটনার কেস স্টাডি তুলে ধরেন এবং শিক্ষণীয় অংশগুলো ব্যাখ্যা করেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) অনুযায়ী, ভবন নির্মাণের সময় ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিভাগের ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। উঁচু ভবনের ক্ষেত্রে এসবের সঙ্গে ফায়ার ডিটেক্টর, স্মোক ডিটেকটর এবং স্প্রিংকলা সিস্টেম থাকাও বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন নগরীর বেশিরভাগ ভবন নির্মাণে এসব কোড ঠিকমতো মানা হয় না। যার ফলে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইউপি'র উপাচার্য মেজর জেনারেল মাহবুব-উল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।