
'ভেড়িয়া' সিনেমায় কৃতি শ্যানন ও বরুণ ধাওয়ান
ঘন অন্ধকার জঙ্গলে এক নেকড়ে তাড়া করে ভাস্করকে। প্রাণে বাঁচতে তিনি প্রাণপণে দৌড়াতে থাকেন। তবুও শেষরক্ষা হলো না! নেকড়ের হাতে কামড় খেলেন তিনি। এর পরেই বদলে গেল তাঁর জীবন। প্রতিদিন রাতে আস্ত একটা নেকড়ে হয়ে উঠতে শুরু করেন ভাস্কর। এমন গল্প নিয়ে বলিউডের নতুন হরর কমেডি সিনেমা 'ভেড়িয়া' মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল। ছবিটি মুক্তির আগেই প্রকাশ হয়েছে ট্রেলার। সেখানে দেখা যায়, 'নেকড়ের কামড় খাওয়ার পর থেকেই অস্বস্তিতে ভুগছেন ভাস্কর। তাঁর শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে।
পাশাপাশি নিজের রাগ সামলাতে পারছেন না তিনি। তিনি 'ইচ্ছাধারী নেকড়ে'-তে পরিণত হতে পারেন। নিজের পরিবর্তন নিয়ে বন্ধুদের জানান, প্রতিদিন রাতে তাঁর পশ্চাদ্দেশ থেকে বাস্তবেই একটি বিরাট লেজ গজায়। তাঁর কথায়, 'ড্রাকুলার মতো দাঁত', 'রামপুরী চাকু'র সমান নখ তৈরি হয় হাতে। কুকুররা তাঁকে দেখে 'পিসেমশাই' বলে সম্মোধন করে। এমন জীবন থেকে মুক্তি চান ভাস্কর। বন্ধুরা সবাই মিলে ভাস্করকে কীভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়, সেই উপায় খুঁজতে বের হন। ট্রেলারের একদম শেষে দেখা যায়, গভীর রাতে 'নেকড়ে' রূপ ধারণ করে বন্ধুদের গাড়ির ওপরই হামলা করেন ভাস্কর।
কিন্তু তাঁর পরনের নীল রঙা 'আন্ডারগার্মেন্ট' দেখে চিনতে পারেন তাঁরা। ট্রেলারের শেষে বাজতে থাকে 'জঙ্গলবুক'-এর গান 'জঙ্গল জঙ্গল বাত চলি হ্যায়...!' 'ভেড়িয়া' পরিচালনা করেছেন অমর কৌশিক। এর আগে 'স্ত্রী'র মতো হরর কমেডি নির্মাণ করেছেন তিনি। তাই এই ছবি ঘিরেও রয়েছে সিনেপ্রেমীদের দারুণ আগ্রহ। অরুণাচল প্রদেশের জঙ্গলে হয়েছে এই ছবির দৃশ্যধারণ। প্রচলিত লোকগল্পের ওপর ভিত্তি করে ছবিটি নির্মাণ করেছেন অমর কৌশিক। পরিচালক বলেন, "অনেক আগেই আমরা হলিউডের ছবিতে 'ওয়ারউলফ' দেখেছি। এবার হিন্দি ছবির পর্দায় নেকড়ের হুঙ্কার শোনানোর পালা।"
ছবিতে ভাস্কর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বরুণ ধাওয়ান। আরও অভিনয় করেছেন কৃতি শ্যানন, দীপক ডোবরিয়াল ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 'দিলওয়ালে' ছবির প্রায় সাত বছর পর আবার বড় পর্দায় ফিরছে বরুণ-কৃতি জুটি। কৃতি বলেন, 'দ্বিতীয় ছবিটা করতে আমাদের অনেকটা সময় লেগে গেল। অভিনেতা হিসেবে ও আগের চেয়ে অনেকটাই পরিণত।' বরুণ জানালেন, তিনি এই ছবির জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। ছবিতে তাঁর চরিত্রটি খুবই চ্যালেঞ্জিং। যে দৃশ্যে তাঁকে মানুষ থেকে নেকড়ে হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে, সেটি করতে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫টি টেক দিতে হতো। এটি করা তাঁর কাছে মোটেও সহজ ছিল না। পাশাপাশি কিছু মজার অভিজ্ঞতাও বললেন তিনি। তাঁর ভাষ্যে, 'শুটিংয়ে গিয়ে তাঁকে সবাই বলেছেন, তিনি নাকি ডায়েট করতে গিয়ে অরুণাচলের সব চিকেন খেয়ে ফেলেছেন।'
মন্তব্য করুন