বার্ধক্য কোনো ব্যাধি নয়। জীবন প্রক্রিয়ার একটি স্বাভাবিক অংশ। বর্তমানে আমাদের দেশে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। ফলে বয়স্ক ব্যক্তি বা প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও বেড়েছে। আর এই প্রবীণ জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই বয়সজনিত হাড়ের ক্ষয়রোগে আক্রান্ত। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যেমন চুল পেকে যায়, তেমনি হাড়ের ক্ষয়ও বৃদ্ধি হতে থাকে। বিশেষ করে নারীদের মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তির কারণে হাড়ের ক্ষয় দ্রুত হতে থাকে। এই হাড়ের ক্ষয় ছাড়াও জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধির অভ্যন্তরীণ উপাদান, যেমন- সাইনোভিয়াল ফ্লুইড কমে আসা এবং এর ফলে শরীরের জয়েন্টগুলো ব্যথা-বেদনার শিকার হয়। বিশেষ করে মেরুদণ্ড, ঘাড়, কোমর, হাঁটু, কাঁধ ইত্যাদি জয়েন্টে বেশ ব্যথা অনুভূত হয়। স্পনডাইলোসিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস, গাউট- এসব রোগজনিত ব্যথার কারণে জীবন দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়ায়।
বয়স্ক রোগীদের সমস্যা হলো- বসা থেকে উঠতে পারেন না, নিচে বসতে পারেন না, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে পারেন না, টয়লেটে বসতে পারেন না।
এই সমস্যাগুলো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন আধুনিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে কমিয়ে এনে রোগীকে স্বাভাবিক জীবনযাপনের উপযোগী করে তোলা সম্ভব এবং পাশাপাশি রোগীর মাংসপেশির শক্তি বজায় রাখার জন্য বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের নির্দেশিত ব্যায়াম নিয়মিত করলে বার্ধক্যজনিত ব্যথা-বেদনামুক্ত সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। া