- ফিচার
- ব্রুইনিদের সোনালি প্রজন্ম এখন সত্যিই বুড়ো!
ব্রুইনিদের সোনালি প্রজন্ম এখন সত্যিই বুড়ো!

মরক্কোর বিপক্ষে ডি ব্রুইনি। ছবি: এএফপি
ভেতরে ভেতরে কত জল বয়ে গেছে কেভিন ডি ব্রুইনি, এডেন হ্যাজার্ডরা সম্ভবত আঁচ করতে পেরেছিলেন। বারবার বেলজিয়ামকে ফেবারিট বলা হলেও তারা কেবলই এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। হ্যাজার্ড যেমন এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিল-ফ্রান্সকে ফেবারিট উল্লেখ করে জানান যে, তিনি নিয়মিত খেলার মধ্যে ছিলেন না। লুকাকু ইনজুরিতে আছেন। তাদের তাই তেমন সুযোগ নেই।
কানাডার বিপক্ষেই যেন বেলজিয়ামের সমস্যা আলগা হয়ে গিয়েছিল। ওই ম্যাচে বেলিসরা ১-০ গোলে জিতলেও তাদের রক্ষণ কাঁপিয়ে দিয়েছিল ১৯৮৬ সালের পর বিশ্বকাপে জায়গা পেয়ে তরুণ দল নিয়ে কাতারে আসা কানাডা। ম্যাচে ১৫টি শট নিয়েছিল তারা। একটি পেনাল্টিও মিস করেছিল। অথচ বিশ্বকাপ জিততে আসা বেলজিয়ামকে মাঠে খুঁজেই পাওয়া যায়নি।
মরক্কোর বিপক্ষে শক্তি দেখাতে হতো বেলজিয়ামের। ওই ম্যাচের আগে অকপট মন্তব্য করেন দলটির সেরা তারকা কেভিড ডি ব্রুইনি। বিশ্বকাপে জয়ের চান্স আছে এমন প্রশ্নে ডি ব্রুইনা বলেন যে, তাদের কোন সুযোগই নেই, ‘(আমাদের কোন) সুযোগই নেই। আমরা বুড়ো হয়ে গেছি। আমার মনে হয়, ২০১৮ সালে আমাদের সুযোগ ছিল। আমাদের দলটা ভালো, কিন্তু বয়স হয়ে গেছে।’
ব্রুইনির বুড়িয়ে যাওয়া কথার সঙ্গে অবশ্য পুরোপুরি একমত হওয়ার সুযোগ কম। হ্যাজার্ড, লুকাকু, কর্তোয়া, থরগান, কাসটাগনের মতো ব্রুইনি আছেন ত্রিশের আশপাশেই। তাদের বুড়োর চেয়ে বেশি অভিজ্ঞ। তবে উইটসেল, টমাস মুনিয়েরের বয়স ৩৫ বছরের কাছাকাছি। ক্লাবে তারা সেরা ছন্দে থেকেই বিশ্বকাপে এনেছেন। কিন্তু দল হিসেবে হয়তো উজ্জীবিত নয় বেলজিয়াম।
ব্রুইনির কথা মতো, মরক্কোর বিপক্ষে বুড়ো বেলজিয়ামকেই যেনদেখা গেছে। কাউন্টার অ্যাটাকে মরক্কো যে কটা আক্রমণ তুলেছে বেলজিয়াম ডিফেন্ডারদের তার বিপক্ষে ভুগতে হয়েছে। বল পায়ে রেখেও হ্যাজার্ড-ব্রুইনিরা গোল হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। এখন দলটি গ্রুপ পর্বেই বিদায়ের শঙ্কার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
মন্তব্য করুন