উপকূলীয় অঞ্চলে পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের অপুষ্টি কমিয়ে আনতে কাজ করছে ‘রাইট টু গ্রো কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশ’। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রান্তিক শিশুদের অপুষ্টি কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ‘সিভিল সোসাইটি অ্যালায়েন্স ফর স্কেলিং আপ নিউট্রিশন (সিএস এ ফর সান, বাংলাদেশ)’।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, খুলনা, বরগুনা, সাতক্ষীরা ও পটুয়াখালী জেলার ৪০টি ইউনিয়নের প্রান্তিক শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার খুবই উচ্চ। এসব শিশুদের মধ্যে অপুষ্টিজনিত খর্বকায় শিশুর সংখ্যাও কম নয়। এ অবস্থার পরিবর্তনে যৌথভাবে আগামী পাঁচ বছর কাজ করবে এই দুই সংস্থা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেল এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তাঁরা এসব কথা জানান। রাইট টু গ্রো কনসোর্টিয়ামের পক্ষে ম্যাক্স ফাউন্ডেশন কান্ট্রি ডিরেক্টর ইমাম মাহমুদ রিয়াদ এবং সিএস এ ফর সান এর পক্ষে নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাইকা সিরাজ সমঝোতা স্মারক সই করেন। এই পুরো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রক্রিয়া ফ্যাসিলিটেট করেছে সেভ দ্যা চিলড্রেন। সেভ দ্যা চিলড্রেন রাইট টু প্রজেক্ট এ লবি এবং এডভোকেসি কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করে আসছে।

রাইট টু গ্রো প্রজেক্ট ব্যবস্থাপক তাওফীকুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সেভ দ্য চিলড্রেনের এফএসএল/চাইল্ড পোভার্টি পরিচালক তানিয়া শারমিন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট কান্ট্রি ডিরেক্টর বদিউল আলম মজুমদার, অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর তপন কুমার চক্রবর্তী, সিএস এ ফর সান বাংলাদেশের সচিব ও সেভ দ্য চিলড্রেনের চিফ অব পার্টি ডা. শাহেদ রহমান, রাইট টু গ্রো প্রজেক্ট কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশের টিম লিড ইকবাল আজাদ প্রমুখ।

এ সময় জানানো হয়, সিএস এ ফর সান হল বিশ্বব্যাপী একটি সুশীল সমাজ আন্দোলন যা ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য অপুষ্টি দূর করার জন্য জাতীয় পর্যায়ে বহুখাতভিত্তিক পুষ্টি কার্যক্রম পরিচালনা করে। রাইট টু গ্রো প্রতিটি ৫ বছরের নিচের শিশু যেন তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা নিয়ে বেড়ে উঠার সক্ষমতা লাভ করে সেই জন্য কাজ করে যাচ্ছে। শিশুদের কে অপুষ্টি থেকে রক্ষা করার জন্য রাইট টু গ্রো কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশ এবং সিএসএ ফর সান বাংলাদেশ এক সঙ্গে কাজ করবে এবং পুষ্টির সংশ্লিষ্ট প্রাসঙ্গিক প্ল্যাটফর্মে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে যৌথভাবে কাজ করবে।