
এশিয়াটিক সোসাইটি আর্ট গ্যালারিতে চলছে কারান দাসে আর্ট ক্যাম্প প্রদর্শনী। এগারোজন শিল্পীর অন্তত দুটি করে শিল্পকর্ম এতে স্থান পেয়েছে। শিল্পীরা হলেন- হামিদুজ্জামান খান, বীরেন সোম, আইভি জামান, রোকেয়া সুলতানা, রশীদ আমিন, সৈয়দ গোলাম দস্তগীর, আজমীর হোসাইন, অনুকূল মজুমদার, ম. ম. ময়েজ উদ্দিন, তারেক আমিন ও মঞ্জুর রশীদ।
আঁকা ছবিগুলোর ভেতর একটি সাধারণ দিক হচ্ছে, প্রতিটি ছবিতেই ব্যবহার করা হয়েছে সুইস প্রতিষ্ঠান কারান দাসের তৈরি রং। কারান দাসে পৃথিবীর নানান দেশে শিল্পীদের ভেতর সুপরিচিত রং প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে এ বছর এপ্রিলে ময়মনসিংহের মেঘমাটি রিসোর্টে একটি আর্ট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। চার দিনের এই আর্ট ক্যাম্পে প্রবীণ প্রথিতযশা ও নবীন প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীরা অন্তত দুটি করে ছবি আঁকেন। ছবিগুলো নিয়ে ১৮ নভেম্বর থেকে এ প্রদর্শনী চলছে। ছবিতে অঙ্কন-মাধ্যম হিসেবে ব্যবহূত হয় অ্যাক্রেলিক, গোয়াশ, জলরং, জলযোগে ব্যবহারযোগ্য প্যাস্টেল রং, জলরং পেন্সিল প্রভৃতি।
হামিদুজ্জামানের আঁকা ছবি ফর্ম ১ ও ফর্ম ২-এ যথাক্রমে নীল ও লালের প্রাধান্যে তাঁর নিজস্ব শৈলীর কিছু জ্যামিতিক আকৃতি স্থান পেয়েছে। তৃতীয় ছবিটি একটি জ্যামিতিক বিমূর্ত দৃশ্যচিত্র। তিনটি ছবিই ১২২ সেমি (সেন্টিমিটার) ু ১২২ সেমি ক্যানভাসে আঁকা এবং ছবিতে অ্যাক্রেলিক রং ব্যবহূত হয়েছে।
বীরেন সোমের দুটি চিত্রকর্ম যথাক্রমে কম্পোজিশন ও উওম্যান ইন নেচার। কম্পোজিশন আঁকা হয়েছে ক্যানভাসে। উওম্যান ইন নেচার কাগজে। দুটো ছবিতে অঙ্কন-মাধ্যম অ্যাক্রেলিক। ১২২ সেমি ু ১২২ সেমি ক্যানভানে আঁকা 'কম্পোজিশন' প্রাকৃতিক জীবাকৃতির বিমূর্ত উপস্থাপন। বীরেন সোম সচরাচর রেখাচিত্র অঙ্কন করেন। রেখার প্রাধান্য কম্পোজিশনে না থাকলেও উওম্যান ইন নেচার তার অভাব পূরণ করেছে।
বিমূর্ত চিত্রকলা শিল্পী রোকেয়া সুলতানার অন্যতম শক্তির জায়গা। আর্টক্যাম্পে আঁকা ছবি দুটিই বিমূর্ত ঘরানার। ছবি দুটির নাম যথাক্রমে মেঘমাটি ১ ও ২। উজ্জ্বল মৌলিক রঙের প্রতি শিল্পী রোকেয়া সুলতানার ঝোঁক রয়েছে। ১২২ সেমি ু ১২২ সেমি ক্যানভাসে মেঘমাটি ১-এ উজ্জ্বল রং দুয়েকটি রেখার আঁচড়ে সীমাবদ্ধ থাকলেও ব্যাপক পটভূমি তৈরিতে ব্যবহূত হয়েছে মেঘমাটি ২ ছবিতে।
শিল্পী আইভি জামানের আঁকায় বাংলাদেশের পতাকা উঠে এসেছে। সঙ্কটের জড় অরণ্যে পতাকার দৃঢ় অবস্থান দেশাত্মবোধ প্রকাশক। ছবিটির নাম ১৯৭১। অপর ছবিটির নাম বীরাঙ্গনা। ব্যথার গাঢ় কালচে নীল পটভূমিতে একজন বীরাঙ্গনা ক্রমশ উঠে দাঁড়াচ্ছেন। দুটো ছবিই অ্যাক্রেলিক রঙে ১২২ সেমি ু ১২২ সেমি ক্যানভাসে আঁকা।
অ্যাক্রেলিক রং ব্যবহার করে শিল্পী রশিদ আমিন ১২২ সেমি ু ১২২ সেমি ক্যানভাসে এঁকেছেন নেচার ১। উজ্জ্বল এক সবুজাভ বিকেলে যেন নেচে চলেছে কিছু আদিম বিরুৎ। রেখা ও বিন্দুর সুচারু কাজ রয়েছে ছবিতে। রয়েছে মৌলিক রঙের নান্দনিক ব্যবহার। অ্যাক্রেলিক ও প্যাস্টেল রং ব্যবহার করে ৫১ ু ৫৮ সেমি কাগজের ওপর আঁকা পরের ছবিটি নেচার ২। এবার আর বিরুৎ নয়, বরং বৃক্ষের আরণ্যক সমাজ।
এ ছাড়া শিল্পী সৈয়দ গোলাম দস্তগীর অ্যাক্রেলিক রঙে ক্যানভাসে এঁকেছেন আরবান আই ইউ বি। আজমীর হোসাইন জলরং দিয়ে কাগজে এঁকেছেন মাইন্ডস্কেপ নামে একটি বিমূর্ত ছবি ও আনটাইটেলড নামে একটি দৃশ্যচিত্র। মাইন্ডস্কেপ আজমীর হোসেনের স্বকীয়তার স্বাক্ষর বহন করে। অনুকূল মজুমদার এঁকেছেন স্টোরি অব স্কাই ও স্টোরি অব উইন্টার ডে। ক্যানভাসে রং মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন অ্যাক্রেলিক ও চারকোল।
প্রদর্শনীর একটি উল্লেখযোগ্য ছবি ময়েজ উদ্দিনের আঁকা অর্গানিক সলিডারিটি ১। ১২২ সেমি ু ১২২ সেমি ক্যানভাসে অ্যাক্রেলিক মাধ্যমে মানবায়িত বিমূর্ত প্রতিকৃতি সৃষ্টি করেছেন ময়েজ। দ্বিতীয় ছবিটি অর্গানিক সলিডারিটি ২ অ্যাক্রেলিক মাধ্যমে ১০৭ সেমি ু ৫৯ সেমি আকারের কাগজে আঁকা। শিল্পী তারেক আমিন উৎকৃষ্ট বাস্তবধর্মী ছবি এঁকে থাকেন। তবে ২৬ সেমি ু ৫১ সেমি আয়তাকার কাগজে প্যাস্টেল রং ব্যবহার করে আঁকা স্লথফুল আফটারনুন ছবিটি নিখুঁত বাস্তবধর্মিতাকে পাশ কাটিয়ে সোনালি আলোর বিভোর এক আধবিমূর্ত অভিব্যক্তি প্রকাশ করছে। দ্বিতীয় ছবিটি অ্যাক্রেলিক ও চারকোল যোগে ১২২ সেমি ু ১২২ সেমি ক্যানভাসে আঁকা 'শ্যামা', বৃত্তের ভেতর বাস্তব নারীমুখ।
মঞ্জুর রশীদের আঁকা ন্যারেটিভ অব বিউটি ১ ও ২। দুটোই বিমূর্ত চিত্রপটে বাগানবিলাসের গোলাপি পাপড়ি, কৃশ ডালপালা ও সবুজ পাতার বাস্তবানুগ ছবি এসেছে। প্রথম ছবিটি ক্যানভাসে অ্যাক্রেলিক ও গোয়শ ব্যবহার করে আঁকা। দ্বিতীয় ছবিটি অ্যাক্রেলিক ও প্যাস্টেল ব্যবহার করে ৩৬ সেমি ু ৫১ সেমি কাগজে আঁকা হয়েছে।
প্রদর্শনীটি আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। গ্যালারির ঠিকানা ৫, ওল্ড সেক্রেটারিয়েট রোড, নিমতলী, রমনা, ঢাকা।
আঁকা ছবিগুলোর ভেতর একটি সাধারণ দিক হচ্ছে, প্রতিটি ছবিতেই ব্যবহার করা হয়েছে সুইস প্রতিষ্ঠান কারান দাসের তৈরি রং। কারান দাসে পৃথিবীর নানান দেশে শিল্পীদের ভেতর সুপরিচিত রং প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে এ বছর এপ্রিলে ময়মনসিংহের মেঘমাটি রিসোর্টে একটি আর্ট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। চার দিনের এই আর্ট ক্যাম্পে প্রবীণ প্রথিতযশা ও নবীন প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীরা অন্তত দুটি করে ছবি আঁকেন। ছবিগুলো নিয়ে ১৮ নভেম্বর থেকে এ প্রদর্শনী চলছে। ছবিতে অঙ্কন-মাধ্যম হিসেবে ব্যবহূত হয় অ্যাক্রেলিক, গোয়াশ, জলরং, জলযোগে ব্যবহারযোগ্য প্যাস্টেল রং, জলরং পেন্সিল প্রভৃতি।
হামিদুজ্জামানের আঁকা ছবি ফর্ম ১ ও ফর্ম ২-এ যথাক্রমে নীল ও লালের প্রাধান্যে তাঁর নিজস্ব শৈলীর কিছু জ্যামিতিক আকৃতি স্থান পেয়েছে। তৃতীয় ছবিটি একটি জ্যামিতিক বিমূর্ত দৃশ্যচিত্র। তিনটি ছবিই ১২২ সেমি (সেন্টিমিটার) ু ১২২ সেমি ক্যানভাসে আঁকা এবং ছবিতে অ্যাক্রেলিক রং ব্যবহূত হয়েছে।
বীরেন সোমের দুটি চিত্রকর্ম যথাক্রমে কম্পোজিশন ও উওম্যান ইন নেচার। কম্পোজিশন আঁকা হয়েছে ক্যানভাসে। উওম্যান ইন নেচার কাগজে। দুটো ছবিতে অঙ্কন-মাধ্যম অ্যাক্রেলিক। ১২২ সেমি ু ১২২ সেমি ক্যানভানে আঁকা 'কম্পোজিশন' প্রাকৃতিক জীবাকৃতির বিমূর্ত উপস্থাপন। বীরেন সোম সচরাচর রেখাচিত্র অঙ্কন করেন। রেখার প্রাধান্য কম্পোজিশনে না থাকলেও উওম্যান ইন নেচার তার অভাব পূরণ করেছে।
বিমূর্ত চিত্রকলা শিল্পী রোকেয়া সুলতানার অন্যতম শক্তির জায়গা। আর্টক্যাম্পে আঁকা ছবি দুটিই বিমূর্ত ঘরানার। ছবি দুটির নাম যথাক্রমে মেঘমাটি ১ ও ২। উজ্জ্বল মৌলিক রঙের প্রতি শিল্পী রোকেয়া সুলতানার ঝোঁক রয়েছে। ১২২ সেমি ু ১২২ সেমি ক্যানভাসে মেঘমাটি ১-এ উজ্জ্বল রং দুয়েকটি রেখার আঁচড়ে সীমাবদ্ধ থাকলেও ব্যাপক পটভূমি তৈরিতে ব্যবহূত হয়েছে মেঘমাটি ২ ছবিতে।
শিল্পী আইভি জামানের আঁকায় বাংলাদেশের পতাকা উঠে এসেছে। সঙ্কটের জড় অরণ্যে পতাকার দৃঢ় অবস্থান দেশাত্মবোধ প্রকাশক। ছবিটির নাম ১৯৭১। অপর ছবিটির নাম বীরাঙ্গনা। ব্যথার গাঢ় কালচে নীল পটভূমিতে একজন বীরাঙ্গনা ক্রমশ উঠে দাঁড়াচ্ছেন। দুটো ছবিই অ্যাক্রেলিক রঙে ১২২ সেমি ু ১২২ সেমি ক্যানভাসে আঁকা।
অ্যাক্রেলিক রং ব্যবহার করে শিল্পী রশিদ আমিন ১২২ সেমি ু ১২২ সেমি ক্যানভাসে এঁকেছেন নেচার ১। উজ্জ্বল এক সবুজাভ বিকেলে যেন নেচে চলেছে কিছু আদিম বিরুৎ। রেখা ও বিন্দুর সুচারু কাজ রয়েছে ছবিতে। রয়েছে মৌলিক রঙের নান্দনিক ব্যবহার। অ্যাক্রেলিক ও প্যাস্টেল রং ব্যবহার করে ৫১ ু ৫৮ সেমি কাগজের ওপর আঁকা পরের ছবিটি নেচার ২। এবার আর বিরুৎ নয়, বরং বৃক্ষের আরণ্যক সমাজ।
এ ছাড়া শিল্পী সৈয়দ গোলাম দস্তগীর অ্যাক্রেলিক রঙে ক্যানভাসে এঁকেছেন আরবান আই ইউ বি। আজমীর হোসাইন জলরং দিয়ে কাগজে এঁকেছেন মাইন্ডস্কেপ নামে একটি বিমূর্ত ছবি ও আনটাইটেলড নামে একটি দৃশ্যচিত্র। মাইন্ডস্কেপ আজমীর হোসেনের স্বকীয়তার স্বাক্ষর বহন করে। অনুকূল মজুমদার এঁকেছেন স্টোরি অব স্কাই ও স্টোরি অব উইন্টার ডে। ক্যানভাসে রং মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন অ্যাক্রেলিক ও চারকোল।
প্রদর্শনীর একটি উল্লেখযোগ্য ছবি ময়েজ উদ্দিনের আঁকা অর্গানিক সলিডারিটি ১। ১২২ সেমি ু ১২২ সেমি ক্যানভাসে অ্যাক্রেলিক মাধ্যমে মানবায়িত বিমূর্ত প্রতিকৃতি সৃষ্টি করেছেন ময়েজ। দ্বিতীয় ছবিটি অর্গানিক সলিডারিটি ২ অ্যাক্রেলিক মাধ্যমে ১০৭ সেমি ু ৫৯ সেমি আকারের কাগজে আঁকা। শিল্পী তারেক আমিন উৎকৃষ্ট বাস্তবধর্মী ছবি এঁকে থাকেন। তবে ২৬ সেমি ু ৫১ সেমি আয়তাকার কাগজে প্যাস্টেল রং ব্যবহার করে আঁকা স্লথফুল আফটারনুন ছবিটি নিখুঁত বাস্তবধর্মিতাকে পাশ কাটিয়ে সোনালি আলোর বিভোর এক আধবিমূর্ত অভিব্যক্তি প্রকাশ করছে। দ্বিতীয় ছবিটি অ্যাক্রেলিক ও চারকোল যোগে ১২২ সেমি ু ১২২ সেমি ক্যানভাসে আঁকা 'শ্যামা', বৃত্তের ভেতর বাস্তব নারীমুখ।
মঞ্জুর রশীদের আঁকা ন্যারেটিভ অব বিউটি ১ ও ২। দুটোই বিমূর্ত চিত্রপটে বাগানবিলাসের গোলাপি পাপড়ি, কৃশ ডালপালা ও সবুজ পাতার বাস্তবানুগ ছবি এসেছে। প্রথম ছবিটি ক্যানভাসে অ্যাক্রেলিক ও গোয়শ ব্যবহার করে আঁকা। দ্বিতীয় ছবিটি অ্যাক্রেলিক ও প্যাস্টেল ব্যবহার করে ৩৬ সেমি ু ৫১ সেমি কাগজে আঁকা হয়েছে।
প্রদর্শনীটি আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। গ্যালারির ঠিকানা ৫, ওল্ড সেক্রেটারিয়েট রোড, নিমতলী, রমনা, ঢাকা।
মন্তব্য করুন