'জয়যাত্রা' নির্মাণ করেছি আজ থেকে ১৮ বছর আগে। সেই সময় সিনেমাটি নির্মাণ আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল। এত বছর পরও সিনেমাটি টিকে আছে, এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালে আমার বয়স ছিল ৫ বছর। এক সময় আমার ভাবনায় এসেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় যদি তরুণ থাকতাম কিংবা বড় থাকতাম তাহলে আমি কী করতাম? অবশ্যই যুদ্ধে যেতাম। যখন সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা করি, প্রথমেই বেছে নিই মুক্তিযুদ্ধকে। আমাদের জাতীয় জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একাত্তর। 'জয়যাত্রা' আমার কাছে একাত্তরে ফিরে যাওয়ার মতো।

'জয়যাত্রা' ছবিতে সহশিল্পীর সঙ্গে [বামে] ইন্তেখাব দিনার, [ডানে] তারিক আনাম খান


জয়যাত্রা দেশের ইতিহাসে ভিন্ন কারণেও স্মরণযোগ্য। স্বাধীনতার পর এটিই প্রথম সিনেমাস্কোপ ছবি। সিনেমায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সম্পৃক্ততা ছিল। যুদ্ধকালীন আবহ সিনেমায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। টয়োটা গাড়ি দিয়ে একাত্তরের জিপ দেখাতে চাইনি। সিনেমার ৬০ শতাংশ শুটিং হয়েছিল বগুড়ার বাঙালি নদীতে। একটি নৌকার দৃশ্যধারণের জন্য আশপাশে সাতটি ট্রলার থাকত। এত বছর পরও দর্শক সিনেমাটি দেখছেন, ভুলে যাননি- তা ভেবে ভালো লাগছে। এটি দেখার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে সবাই জানতে পারছেন।