- ফিচার
- গোছানো বসার ঘর
গোছানো বসার ঘর

বসার ঘরের সাজের শুরুটা করতে পারেন বর্ণিল নান্দনিক নকশার কার্পেট, ফ্লোর ম্যাট কিংবা শতরঞ্জি দিয়ে। বাজারে দুই ধরনের কার্পেট রয়েছে- একটি পিস কার্পেট, অন্যটি ওয়াল টু ওয়াল কার্পেট। মূলত পিস কার্পেট গৃহের জন্য ব্যবহূত হয়ে থাকে। শীতকালে এর চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। এটি শীতে মেঝের ঠান্ডা থেকে আপনাকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে নান্দনিক বাহারি রং ও কারুকার্য ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। আপনার সুবিধামতো বিভিন্ন পিসের কার্পেট কিনতে পারবেন ১ হাজার ৮০০ থেকে ১২ হাজার টাকায়।
আসবাবপত্র দিয়ে যেভাবে সাজাবেন :বসার ঘর কোন আসবাব দিয়ে সাজাবেন, তা নির্ধারণ করার আগে ঘরের আয়তন সম্পর্কে আপনার সম্যক ধারণা থাকা উচিত। বসার ঘর একটু বড় হলে দেয়ালজুড়ে একটি বইয়ের তাক বানাতে পারেন। টিভি দেখার পাশাপাশি অবসরে বই পড়ার চমৎকার জায়গা হতে পারে এটি। যদি বসার ঘর একটু বড় হয়, তা হলে একপাশে উঁচু সোফা ব্যবহার করতে পারেন এবং অন্য পাশে মেঝেতে ফোম বিছিয়ে ছোট-বড় নানা ধরনের কুশন রাখতে পারেন। এটা আপনার বসার ঘরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। এ ছাড়া লো হাইট সোফা বা ফ্লোরিংয়ের সঙ্গে কয়েকটি মোড়া বা টুলও রাখতে পারেন। দুই সোফার মধ্যে রাখতে পারেন ল্যাম্প শেড। তার ভেতরে ইচ্ছামতো রঙের বাতি। রাতে সেটা জ্বেলে দিলে জমকালো আবহ সৃষ্টি করবে। আবার সোফার সঙ্গে সংযুক্ত টেবিলের ওপর ফুল বা কৃত্রিম ক্যান্ডেলের সুভাস আপনার ঘরকে মুগ্ধকর করে তুলবে।
দেয়াল সাজাবেন যেভাবে :এ ছাড়া বসার ঘরের দেয়ালে বিভিন্ন পেইন্টিং, ক্যানভাস, ফ্যামিলি ফটোফ্রেম রাখতে পারেন। দেয়ালে শোপিস র্যাকও রাখতে পারেন। বসার ঘরে ঢোকার দরজায় থাকতে পারে নানা ডিজাইনের কলিংবেল। এ ছাড়া বসার ঘরে এখন অনেকেই ফলস সিলিং ও স্পট লাইট ব্যবহার করেন; যা ড্রইং রুমকে দেয় এক অভিজাত চেহারা।
সোফার ফেব্রিক :অনেক সময় সঠিক ফেব্রিক উপস্থাপন করতে না পারার কারণেও বসার ঘরের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে না। যেমন সোফার ফেব্রিক নির্বাচন বসার ঘরের সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ ক্ষেত্রে হালকা রঙের দেয়ালের সঙ্গে হালকা কন্ট্রাস্ট কালারের ফেব্রিক খুব ভালো মানায়। গাঢ় রঙের ফেব্রিকও নির্বাচন করতে পারেন, যদি আপনার বসার ঘর খুব বেশি ব্যবহার হয়; এতে আপনার ফেব্রিক ময়লা দেখাবে না।
সোফাতে স্টেইন প্রুফ ফেব্রিক নির্বাচন করুন। এই ফেব্রিকের একটি বিশেষত্ব হচ্ছে, এটিতে কোনো ধরনের লিকুইড পড়লে তা সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেললে সেখানে কোনো ধরনের দাগ পড়ে না। এ ছাড়া বসার ঘরে দরজা-জানালা থাকলে ভারী পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। এতে শীতের ঠান্ডা হাওয়া থেকে রেহাই পাবেন। তবে পর্দা কিংবা আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে রুচি অনুযায়ী রং বাছাই করতে পারেন। তা ছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, লাল, সবুজ, হলুদ, নীলের সঙ্গে হালকা বাদামি রঙের কম্বিনেশন বসার ঘরে মানুষের মধ্যে আড্ডার আমেজ তৈরি করে। তাই আপনি চাইলে এ ধরনের নান্দনিক রং ব্যবহার করতে পারেন।
আলোকসজ্জা :ড্রইং রুম সাজাতে ঝাড়বাতির ব্যবহার খুবই কমন। একটি সুন্দর ঝাড়বাতি আপনার ড্রইং রুমের পুরো আবহই পরিবর্তন করে দিতে পারে। এ ছাড়া ড্রইং রুমের কোনায় একটি বড় ল্যাম্পও দিতে পারে আপনার রুমকে একটি অভিজাত ও রুচিশীল লুক। তা ছাড়া দিনের বেলায় বাইরের ঝলমলে আলোও ড্রইং রুমের শোভা বাড়ায়। সিলিংয়েও দিতে পারেন ঝাড়বাতি। কম খরচে চাইলে রঙিন হ্যাংগিং বাতি ব্যবহার করতে পারেন।
বুক শেলফ :ছুটির দিনে একটু আরাম-আয়েশ করে পছন্দের বই পড়া অনেকেরই শখ। অনেকেই আবার ড্রইং রুমে নিজের পছন্দের বইগুলো সাজিয়ে রাখতে চান। এতে করে ড্রইং রুমের সৌন্দর্য যেমন বাড়ে, পাশাপাশি বাসায় থাকা মানুষগুলো যে মেধা ও মননের প্রতি আগ্রহী, তারও একটি বহিঃপ্রকাশ ঘটে একটি সুন্দর বুক শেলফে জনপ্রিয় কিছু লেখকের বই সাজিয়ে রাখার মাধ্যমে। া
বিষয় : বসার ঘর ঘরের সাজ নকশার কার্পেট ফ্লোর ম্যাট শতরঞ্জি
মন্তব্য করুন