আমার বাড়ি ছনে ছাওয়া তোমার চালে টিন
তোমার দিনটা কাটছে ভালোই আমার খারাপ দিন।
ওটা কোনো ব্যাপার তো নয়, মাথা রাখার ঠাঁই
কারও আছে দালানকোঠা, কারও কিছুই নাই।
ছোট্ট বাড়ির মধ্যে থাকে কারও ছোট্ট ঘর
কেউ কাটায় অ্যাপার্টমেন্টে হয় তো জীবনভর।
কারও আছে মোবাইল বাড়ি পথেই কাটে তার
সেই বাড়িতেই ভালো থাকে নেই জীবনের ভার।
হাউস বোটে জীবন কাটায় কতো মানুষজন
এক জীবনে কাটে কতো দুঃখ হাসির ক্ষণ।
ইয়টকে কেউ বাড়ি বানায় জলের জীবন নিয়ে
জলের সঙ্গে জীবন গাথা কান্না হাসি দিয়ে।
বেদের জীবন নৌকা জীবন নৌকা বাড়িঘর
বংশ পরম্পরায় থাকে নৌকারই ওপর।
বোহেমিয়ান জীবন নিয়ে এ-ঘাট ও-ঘাট করে
জীবন কাটায় বেদে সমাজ সেই নৌকার ঘরে।
পলিথিনের ঘরের ভেতর যারা করেন বাস
এ-গ্রাম থেকে ও-গ্রামে যান কাটে বারো মাস।
গাছের ওপর কাঠের বাড়ি বানিয়ে থাকেন কেউ
পাখির জীবন কাটে তাদের সঙ্গে হাওয়ার ঢেউ।
মাচার ওপর বাঁধা ঘরের আদিবাসী জন
নিরাপত্তার জন্যেও এই ঘরটা প্রয়োজন।
এস্কিমোদের ইগলু হলো বরফ দিয়ে গাঁথা
দেয়াল মেঝে ছাদটাতেও থাকে বরফ পাতা।
তিনটি স্তরের গৃহসজ্জা অবাক করার মতো
এই জীবনই কাটাচ্ছে সব বছর শত শত।
হাজার রকম বাড়ি আছে, হাজার রকম ঘরে
কাটছে জীবন এই মানুষের হাজার বছর ধরে।

বিষয় : ছড়া-কবিতা চন্দন কৃষ্ণ পাল

মন্তব্য করুন