- ফিচার
- ল্যানসেটে প্রকাশ পেল ডা. বায়জীদ খুরশীদের নেতৃত্বে করা গবেষণা
ল্যানসেটে প্রকাশ পেল ডা. বায়জীদ খুরশীদের নেতৃত্বে করা গবেষণা

অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ। তার নেতৃত্বে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারিকালে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর এর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব, কুশলবস্থা, সংশ্লিষ্ট ফ্যাক্টরসমূহ এবং মানিয়ে নেওয়ার কৌশল' শীর্ষক এক গবেষণা বিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেটে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
জরিপটি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে পরিচালিত হয় ১ হাজার ৩৯৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর। একই বছর ২৬ মে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর 'মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড হেলথ ম্যানপাওয়ার ডেভেলপমেন্ট' অপারেশনাল প্ল্যানের সৌজন্যে (নিপসম) জরিপকাজ সম্পাদন করে। এই গবেষণার প্রধান ছিলেন নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ। গবেষক দলে কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. জিয়াউল ইসলাম অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেন।
গবেষণায় উঠে আসে করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকের পোস্ট ট্রমাটিক স্টেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) ঝুঁকির কথা। বেশি ঝুঁকিতে ছিলেন নারী স্বাস্থ্যকর্মীরা। যাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৯ শতাংশের নারীর পিটিএসডি পাওয়া যায়। জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৫৯৬ জন চিকিৎসক, ৭১৩ জন নার্স ও ৮৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। তারা প্রত্যেকে অন্তত এক মাস করোনা রোগীদের সঙ্গে কাজ করেছেন।
গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, করোনাকালে স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের কাজের চাপ অনেক বেশি ছিল, তারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রীর (পিপিই) অপ্রতুলতায় ছিলেন এবং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে ছিলেন।
বাংলাদেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ পিটিএসডি আক্রান্ত হন। স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের মধ্যে চিকিৎসকদের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক হয়েছিল। এরপরই ছিলেন টেকনোলজিস্ট ও নার্স। পিটিএসডিতে আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক ২৪ দশমিক ৩০ শতাংশ, টেকনোলজিস্ট ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ ও নার্স ২২ দশমিক ৮০ শতাংশ।
ল্যানসেটে প্রকাশের পর ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ বলেন, এটি অনেক আনন্দের সংবাদ। যদিও এর আগে আমার দুটি গবেষণাপত্র বিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছিল। তবে তাতে আমি সহলেখক হিসেবে ছিলাম। এবার প্রকাশিত গবেষণায় আমি প্রধান গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।
মন্তব্য করুন