- ফিচার
- গোপালগঞ্জে বঙ্গমাতা পাঠাগারের যাত্রা শুরু
গোপালগঞ্জে বঙ্গমাতা পাঠাগারের যাত্রা শুরু

ছবি: সমকাল
গোপালগঞ্জে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বঙ্গমাতা পাঠাগারের যাত্রা শুরু হয়েছে। সোমবার এটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।
বঙ্গমাতা পাঠাগারে ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ওপর রচিত বইসহ বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা বই রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আধুনিক চক্ষু রোগ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রকাশিত বিখ্যাত জার্নালগুলোও এখানে স্থান পেয়েছে। পাঠাগারে বসে মনোরম পরিবেশে বই পড়ার সুযোগ রয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী বলেন, 'মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অজানা ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে জানান দিতে আমরা বঙ্গমাতা পাঠাগার করেছি। এখানে চিকিৎসক, শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের উপযোগী বই রাখা হয়েছে।'
চিকিৎসক দিপংকর সাহা বলেন, 'পাঠাগারটি নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে। এখানে বই যেমন রয়েছে, তেমনি পাঠককে আকর্ষণ করার মতো পরিবেশও তৈরি করা হয়েছে। এই পাঠাগার থেকে আমরা উদ্ভাবনী চিন্তার উন্মেষ ঘটাতে পারব।'
হাসপাতালের মিড লেভেল অফথালমিক পার্সোনেল (এমএলও) অফথালমিক অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্সের শিক্ষার্থী পাপিয়া রায় বলেন, 'গোপালগঞ্জে বঙ্গমাতার নামে কোনো পাঠাগার ছিল না। এবার হাসপাতালে পাঠকদের জন্য বঙ্গমাতা পাঠাগার যাত্রা শুরু করেছে। এখান থেকে বঙ্গমাতার জীবন, কর্ম ও সাহসী ভূমিকার কথা জানতে পারব। সেই সঙ্গে ক্যারিয়ার গড়তে পাঠাগার আমাদের খুবই সহায়ক হবে।'
অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়ের নামের পাঠাগারটি হবে প্রজন্মের বাতিঘর। এখান থেকে জ্ঞান অর্জন করে চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সমাজে আলো ছড়াবে। আলোকিত মানুষ গড়তে এই পাঠাগার অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এই পাঠাগারকে সমৃদ্ধ করতে সব ধরনের সহযোগিতা করব।'
মন্তব্য করুন