- ফিচার
- ফোনে বিজয় কি-বোর্ড বিনামূল্যে দেওয়া হবে :মোস্তাফা জব্বার
ফোনে বিজয় কি-বোর্ড বিনামূল্যে দেওয়া হবে :মোস্তাফা জব্বার

দেশের অনুমোদিত সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিনামূল্যে দেওয়া হবে বিজয় কি-বোর্ড অ্যাপ। বিজয় কি-বোর্ড অ্যাপ ইনস্টলে মোবাইল ফোন নির্মাতা/ আমদানিকারক অথবা গ্রাহক কাউকেই কোনো টাকা দিতে হবে না। এটি পুরোপুরি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি এ অ্যাপ ব্যবহারে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক সংশ্নিষ্টতাও থাকবে না অ্যাপটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আনন্দ কম্পিউটার্সের। মঙ্গলবার সমকালের সঙ্গে এ কথা বলেন বিজয় কি-বোর্ডের স্বত্বাধিকারী ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, 'কোনো টাকা তো নেওয়া হবেই না, এমনকি এ অ্যাপ ব্যবহারের সময় বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয়ও করবে না আনন্দ কম্পিউটার্স।'
তবে কেন বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য বাধ্যবাধকতা দেওয়া হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য ফোনে বাংলা লেখায় একটি স্ট্যান্ডার্ড কি-বোর্ড যেন থাকে, এটি সরকার নিশ্চিত করতে চায়। তবে বাংলা লিখতে গিয়ে যেন আবার বাড়তি খরচ কোনো পক্ষকে করতে না হয়, সেটিও আমরা দেখছি। বিজয় কি-বোর্ডকে বিএসটিআই 'স্ট্যান্ডার্ড' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশনায় সে কারণে বিজয় কি-বোর্ডের কথাই বলা হয়েছে। এখন বাংলা স্ট্যান্ডার্ড কি-বোর্ড একাধিক থাকলে একাধিক থেকে যে কোনো একটি অন্তত ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা দেওয়া হতো। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। আমাদের যদি কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য থাকত, তবে সমালোচনা গ্রহণযোগ্য হতো।
উল্লেখ্য, সব অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে দেশের মোবাইল ফোন নির্মাতা ও আমদানিকারকদের নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি। গত শুক্রবার কোম্পানিগুলোকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। চিঠিতে বলা হয়েছে, আমদানি করা ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা সব অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে বিজয় অ্যান্ড্রয়েড এপিকে ফাইল ব্যবহারের লক্ষ্যে বিটিআরসির তরঙ্গ বিভাগ থেকে বিনামূল্যে ফাইলটি দেওয়া হবে। স্মার্টফোনগুলো কমিশন থেকে বাজারজাতকরণের অনুমতি নেওয়ার আগে এপিকে ফাইলটি ইনস্টল করে তা প্রদর্শন করতে হবে। না হলে ফোন বাজারজাতে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হবে। চিঠি দেওয়ার দিন থেকেই নির্দেশনাটি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। এ নির্দেশনা জারির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েছে বিটিআরসি।
মন্তব্য করুন