ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) কাওয়ালির আয়োজনে আসার সময় সিলসিলা ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা লুৎফর রহমানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। তবে লুৎফরের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে টিএসসির ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত লুৎফুর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। 

ঘটনার পর সিলসিলা ব্যান্ডের পেজ থেকে লাইভে আসেন ভুক্তভোগী লুৎফুর রহমান। লাইভে তিনি বলেন, আমি আমার আইডি থেকে পোস্ট করেছিলাম আমরা সিলসিলার পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে কাওয়ালির আয়োজন করব। আমি টিএসসি আসার সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকতের অনুসারীরা আমাকে ঘিরে রাখে। তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে আমি সরে বইমেলার দিকে আসি। কিন্তু টিএসসির ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে তারা আমার পথরোধ করে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ১৫-১৫ জন আমার ওপর হামলা করে। আমাকে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়েছে। আমি উঠে দাঁড়াতে পারছি না। ওখানে কয়েকজন পুলিশ ছিল, তাদের সামনে আমাকে মার হয়েছে। আমার হাঁটু ছিলে গেছে, বুকে বাজেভাবে আঘাত করেছে। আমি দাঁড়াতে পারছি না।

কাওয়ালির আয়োজক গোষ্ঠীর সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি আসিফ মাহমুদ সমকালকে বলেন, আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় টিএসসিতে কাওয়ালির আয়োজন করবেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আমি, ঢাবির ছাত্র অধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান ও ঢোলবাদক মো. রাফি আগেই টিএসসি যাই। এ সময় তানভীর হাসান সৈকত তার অনুসারীদের আমাদের দিকে ইশারা করে। আমরা হামলার আশঙ্কা করে সরে যাই। তবে লুৎফর রহমান ভাই পরে আসায় তিনি বুঝতে পারেননি। তাকে ফোনেও পাচ্ছিলাম না। তিনি টিএসসি এসে পৌঁছালে সৈকতের অনুসারীরা তার ওপর হামলা করে।

এ বিষয়ে তানভীর হাসান সৈকত সমকালকে বলেন, এটা পুরোপুরি বানোয়াট ঘটনা। ছাত্রলীগকে জড়িয়ে মিডিয়া কাভারেজের জন্যই তারা এসব অভিযোগ করছে। ছাত্রলীগ কেন তাদের মারতে যাবে। এ ধরণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি প্রক্টরিয়াল বডিকে খোঁজ নিয়ে আমাদের জানাতে বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।